মিয়ানমারের নির্বাচন ঘিরে ভারত–চীন প্রতিযোগিতা, নজর গোটা অঞ্চলের
প্রকাশিত : ০৬:২৩ পূর্বাহ্ণ, ১৮ আগস্ট ২০২৫ সোমবার ২২ বার পঠিত
মিয়ানমারের রাজনীতিতে ফের বড় পরিবর্তনের আভাস। চার বছর আগে সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চি-কে বন্দি করে ক্ষমতা দখল করেছিল জান্তা।
বিদ্রোহীদের ক্রমবর্ধমান চাপ এবং আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে এ বছর ডিসেম্বরে সাধারণ নির্বাচনের ঘোষণা দিতে বাধ্য হয়েছে সেনারা। তবে নতুন নিয়মে সু চি-র দল এনএলডি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে না।
আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই নির্বাচন শুধু মিয়ানমারের ভবিষ্যৎ নয়, বরং পুরো দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। একদিকে চিন চাইছে তাদের বহু প্রতীক্ষিত ‘চীন–মিয়ানমার অর্থনৈতিক করিডর’ প্রকল্পকে পুনরুজ্জীবিত করতে।
এর মাধ্যমে দক্ষিণ-পূর্ব চিন সরাসরি ভারত মহাসাগরের সঙ্গে যুক্ত হবে। অন্যদিকে ভারত আশঙ্কা করছে, মিয়ানমারে যদি বেজিং দৃঢ়ভাবে প্রভাব বিস্তার করে তবে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তে নতুন নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ দেখা দেবে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, মিয়ানমারের অস্থিরতায় চীন ইতোমধ্যে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোকে প্রভাবিত করছে। অপরদিকে নয়াদিল্লি সীমিতভাবে কিছু গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখলেও এখনো সক্রিয় উদ্যোগে পিছিয়ে আছে। ফলে নির্বাচনের পরবর্তী পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয়, তার ওপর নির্ভর করবে আঞ্চলিক কৌশলগত ভারসাম্য।
এই প্রেক্ষাপটে দক্ষিণ এশিয়ার সব দেশই মিয়ানমারের দিকে তাকিয়ে আছে। কারণ সীমান্ত অস্থিরতা কেবল ভারত বা চীনের নয়, প্রতিবেশী দেশগুলোর অর্থনীতি ও নিরাপত্তার উপরও প্রভাব ফেলতে পারে।
শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।