সোমবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মালয়েশিয়ায় ভ্রমণকারীদের নিয়ে ইমিগ্রেশনের নতুন ঘোষণা

প্রকাশিত : ০৬:২৪ পূর্বাহ্ণ, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ শনিবার ৫ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

মালয়েশিয়ায় ভ্রমণকারীদের অবস্থানকাল সংক্রান্ত বিষয়ে নতুন ব্যবস্থা ঘোষণা করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ। সর্বোচ্চ ৯০ দিনের মধ্যে অতিরিক্ত সময় অবস্থানকারী বিদেশিদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক জরিমানা ধার্য করা হবে। যা আগামী মাস থেকে কার্যকর হবে। খবর দ্য এজ।

শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) জোহরের সেকোলা কেবাংসান রামবং পুলাইতে ইমিগ্রেশন বিভাগের এক অনুষ্ঠানে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক সেরি সাইফুদ্দিন নাসুতিন ইসমাইল সাংবাদিকদের এ তথ্য দেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মামলা আদালতে আনার প্রয়োজনীয়তা দূর করে আইনি প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করা এবং বিচারপ্রক্রিয়া দ্রুত করার উদ্দেশ্যে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে ৯০ দিনের বেশি অবস্থানকারীদের বিরুদ্ধে তদন্ত চালানো হবে।

জরিমানার নতুন কাঠামো নিয়ে তিনি জানান, ১ থেকে ৩০ দিন পর্যন্ত অতিরিক্ত অবস্থান করলে প্রতিদিন ৩০ রিঙ্গিত জরিমানা, সর্বোচ্চ ৯০০ রিঙ্গিত। ৩১ থেকে ৬০ দিন পর্যন্ত অবস্থান করলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ১ হাজার রিঙ্গিত জরিমানা। ৬১ থেকে ৯০ দিন পর্যন্ত অবস্থান করলে ২ হাজার রিঙ্গিত জরিমানা। ৯০ দিনের বেশি অবস্থান করলে তদন্তপত্র খোলা হবে।

মালয়েশিয়ায় ভ্রমণকারীদের নিয়ে ইমিগ্রেশনের নতুন ঘোষণা

মন্ত্রী আরও জানান, এ পদক্ষেপে বিচারের সময়কাল ১৪ দিন থেকে কমে মাত্র এক দিনে নামিয়ে আনা সম্ভব হবে। একই সঙ্গে অভিবাসন ডিপোতে ভিড়ও কমবে। তবে দুর্ঘটনা, বন্যা বা অন্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের মতো যুক্তিসঙ্গত কারণে দেশে ফিরতে না পারা ব্যক্তিদের জন্য শিথিলতার সুযোগ রাখা হয়েছে।

এই পদ্ধতির মাধ্যমে যুক্তিসঙ্গত কারণে অতিরিক্ত সময় ধরে অবস্থানকারী বিদেশিদের দ্রুত বিষয়টি নিষ্পত্তি করার সুযোগ দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

ইমিগ্রেশন বিভাগের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন অভিবাসন আইন লঙ্ঘনের দায়ে ৩৫ হাজার ২২৫ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে। এ সময় দেশব্যাপী ৯ হাজার ৫০০টি অভিযান চালানো হয়, যেখানে ১ লাখ ৫২ হাজার বিদেশিকে চেক করা হয়।

গ্রেপ্তার হওয়া অভিবাসীদের মধ্যে ইন্দোনেশীয়, মিয়ানমার ও বাংলাদেশিরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। তাদের মধ্যে কেউ বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই দেশে প্রবেশ করেছিলেন, কেউ মেয়াদোত্তীর্ণ অবস্থান করেছেন, আবার কেউ বৈধ পাসপোর্ট বা কাজের অনুমতি অপব্যবহার করেছেন।

এ সময় ১ হাজার ৩৯৫ জন নিয়োগকর্তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হয় অবৈধ অভিবাসী নিয়োগ ও আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে।

এ ছাড়া ২৮ আগস্ট পর্যন্ত ৩৬ হাজার ৫৫৭ জন বিদেশিকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। তাদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া আটকাদেশ, ফেরত পাঠানোর আদেশ এবং বিমানের টিকিট সংগ্রহের ১০ দিনের মধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে।

সূত্র : দ্য এজ

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT