রবিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভূগর্ভের তাপ ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদনের চেষ্টা বিজ্ঞানীদের

প্রকাশিত : ০৮:০৪ পূর্বাহ্ণ, ২ আগস্ট ২০২৫ শনিবার ২৭ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

ভূগর্ভের গভীরে আছে প্রচণ্ড চাপ ও তাপ। যা হাজার বছর ধরে জমে আছে পাথরের ভেতর। বিজ্ঞানীরা এখন চেষ্টা করছেন ভূগর্ভের এই তাপ ব্যবহার করে পরিচ্ছন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদন করার। খবর: সিএনএন

সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদন জানাচ্ছে, সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইউটাহ মরুভূমিতে এক প্রকল্পে প্রায় ৩ মাইল গভীর পর্যন্ত ড্রিল করা হয়েছে। এই ড্রিলিংয়ের লক্ষ্য তেল বা গ্যাস অনুসন্ধান নয় বরং ভেতরের তাপকে তুলে এনে বিদ্যুৎ উৎপাদনের চেষ্টা করা।

ফার্ভো এনার্জি নামের হিউস্টনভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান তেল-গ্যাস খাতের প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভূতাপবিদ্যুৎ (জিওথার্মাল) উৎপাদনের নতুন উপায় উদ্ভাবনে কাজ করছে। এর লক্ষ্য বিশ্বজুড়ে নিরবচ্ছিন্ন ও পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ সরবরাহ করা।

আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থার তথ্যমতে, আধুনিক জিওথার্মাল প্রযুক্তি বৈশ্বিক বিদ্যুৎ চাহিদার ১৪০ গুণ জোগান দিতে পারে। তবে এটি বাস্তবায়নে ব্যয়বহুল ড্রিলিং, জটিল প্রকৌশল ব্যবস্থাপনা, ভূকম্পনের ঝুঁকি এবং পানি ও জমি ব্যবস্থাপনাসহ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে।

ফার্ভো এনার্জির এনহ্যান্সড জিওথার্মাল সিস্টেমে (ইজিএস) দুটি কূপ খনন করে ভূগর্ভস্থ পাথরকে ফাটিয়ে দেয়া হয়। এরপর সেই ফাটলের মধ্য দিয়ে পানি প্রবাহিত করে সেটিকে উত্তপ্ত করা হয় এবং সেটিকে বাইরে বের করে আনা হয়।

এই পদ্ধতির ভিত্তি তৈরি হয়েছিল ১৯৭০-এর দশকে। বর্তমানে ইউটাহ ফোর্জ ও ফার্ভোর দুটি প্রকল্পে প্রযুক্তিটি নতুনভাবে কাজে লাগানো হচ্ছে। ফার্ভো ইউটাহতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় জিওথার্মাল প্ল্যান্ট নির্মাণ করছে, যা ২০২৮ সালের মধ্যে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে।

তবে সমস্যা হলো, এ ধরনের প্রকল্পে ভূমিকম্পের ঝুঁকি থাকে বলে মনে করা হয়। ২০১৭ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার পোহাং শহরে ভূমিকম্পের জন্য একটি জিওথার্মাল প্রকল্পকে দায়ী করা হয়। অবশ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যথাযথ নজরদারিতে এই ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণযোগ্য।

কানাডার ইয়েভর ও যুক্তরাষ্ট্রের কোয়েজ এনার্জি ভূকম্পনের ঝুঁকি এড়াতে ভিন্ন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের চেষ্টা করছে। কেউ ফ্র্যাকিং ছাড়াই পাইপের মাধ্যমে পানি ঘোরানোর পদ্ধতি নিচ্ছে, আবার কেউ পাথর গলিয়ে আরো গভীর থেকে তাপ সংগ্রহ করার চেষ্টা করছে।

তবে অনেক বিশেষজ্ঞ এই প্রযুক্তিগুলোর টেকসইতা নিয়ে সন্দিহান।

তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, বাণিজ্যিকভাবে বড় পরিসরে এই প্রযুক্তি বাস্তবায়ন এখনও সময়সাপেক্ষ।

তবে সফল হলে এটি হতে পারে পরিচ্ছন্ন জ্বালানির নতুন দিগন্ত। ফার্ভোর সিইও বলেন, ‘ভূপৃষ্ঠের নিচে থাকা তাপ দিয়েই মানবজাতির শত কোটি বছরের শক্তির চাহিদা মেটানো সম্ভব।’

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT