রবিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিগ, বিউটিফুল বিলকে আইনে রূপ দিলেন ট্রাম্প

প্রকাশিত : ১০:৪০ পূর্বাহ্ণ, ৫ জুলাই ২০২৫ শনিবার ৩১ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

মার্কিন স্বাধীনতা দিবসের জমকালো অনুষ্ঠানে আলোচিত ‘বিগ, বিউটিফুল বিল’-এ সই করে এটিকে আইনে পরিণত করলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় শুক্রবার হোয়াইট হাউসে তিনি বিলটিতে সই করেন।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজ জানায়, হোয়াইট হাউসের অনুষ্ঠানে যোগ দেন বিলটিকে পাসে সহায়তাকারী কিছু রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা। ট্রাম্প বিলটিতে সই করে একে আইনে রূপ দেওয়ার সময় তারা দাঁড়িয়ে স্বাগত জানান।

চূড়ান্ত বিলটি সব রিপাবলিকানকে তুষ্ট করতে পারেনি, তবে প্রেসিডেন্ট ও কংগ্রেস তাদের আরোপিত সময়সীমা ৪ জুলাইয়ের মধ্যে বিলটি পাসে সক্ষম হয়েছে।

বিলে সইয়ের বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা যা করেছি, তা হলো এক বিলে সবকিছুকে রেখেছি।’ হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলাইন লেভিট বিলটিকে নির্বাচনি প্রচারের সময় ট্রাম্পের সব নীতির প্রতিফলন ও মার্কিন জনগণের আকাঙ্ক্ষার নির্যাস হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। বিল পাস হওয়ার দিনটিকে তিনি আমেরিকার জনগণের বিজয়ের দিন হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।

টানা কয়েক দিনের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ও আলোচনার পর বৃহস্পতিবার বিকেলে ২১৮-২১৪ ভোটে বিগ, বিউটিফুল বিলটি পাস হয়। এ বিল পাসের বিপক্ষে অবস্থান নেন রিপাবলিকান রিপ্রেজেন্টেটিভ ব্রায়ান ফিটজপ্যাট্রিক ও টমাস ম্যাসি। বিলের পক্ষে ভোট দেননি কোনো ডেমোক্র্যাট।

বিল পাসের আগে রিপাবলিকান বিরোধীদের সঙ্গে বৃহস্পতিবার ভোরে দলটির শীর্ষ নেতৃত্ব ও হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা কথা বলেন।

হোয়াইট হাউসের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের জানান, বিলের প্রক্রিয়ায় ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিলেন প্রেসিডেন্ট। তিনি মধ্যরাতে ফোনকল করে বিলটিকে কংগ্রেসে পাস হওয়ায় সহায়তা করেন।

বিলটি ২০১৭ সালে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদকালে দেওয়া কর ছাড়েরই সম্প্রসারিত রূপ। পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে খরচও বাড়ানো হবে।

এই বিলে কম আয়ের মার্কিন নাগরিকদের জন্য মেডিকেইড নামের স্বাস্থ্য কর্মসূচি ও খাদ্যসহায়তা কর্মসূচির খরচ থেকে প্রায় ৯৩ হাজার কোটি ডলার কাটাছাঁটের কথা বলা হয়েছে। এতে লাখ লাখ আমেরিকান স্বাস্থ্যবিমার বাইরে চলে যাবেন। যদিও ট্রাম্প এ কর্মসূচিতে হাত না দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, এ বিল আইনে রূপ নেওয়ায় আমেরিকার জাতীয় ঋণ এক দশকে বেড়ে দাঁড়াবে তিন দশমিক তিন ট্রিলিয়ন ডলারে।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT