সোমবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩১শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফ্রান্সে পেনশন সংস্কারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলছেই

প্রকাশিত : ০৯:৪৮ পূর্বাহ্ণ, ২৪ মার্চ ২০২৩ শুক্রবার ১৪৪ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

ফ্রান্সে অবসর নেওয়ার বয়সসীমা ৬২ থেকে ৬৪ বছরে উন্নীত করার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলছেই। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর বোর্দোর টাউন হল ভবনের সামনের গেটে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে এর জন্য কারা দায়ী তা জানা যায়নি। দমকল কর্মীরা দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার ফ্রান্সজুড়ে ১০ লাখেরও বেশি মানুষ ও রাজধানী প্যারিসে এক লাখ ১৯ হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছে। পুলিশ সারাদেশ থেকে ৮০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, প্যারিসে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে মধ্য থেকে মুখোশপরা দাঙ্গাকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। যারা দোকানের জানালা ভেঙে দেয়, রাস্তার আসবাবপত্র ভেঙে দেয় ও ম্যাকডোনাল্ডসের একটি রেস্টুরেন্টে হামলা চালায়। এসময় পুলিশ টিয়ারশেল এবং কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে।

এপি নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, প্যারিস থেকে ৩৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গত দুই মাস ধরে অবসর নেওয়ার বয়সসীমা সংস্কারের ব্যাপারটি নিয়ে আলোচনা চলছে। এরই মধ্যে এ প্রস্তাবের পক্ষে ও বিপক্ষে জনমতও গঠিত হয়েছে। সরকারপন্থীদের দাবি— পেনশনের বয়সসীমা বাড়ালে দেশের সার্বিক কর্মসংস্থানে কোনো চাপ পড়বে না এবং প্রশাসনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে অচলাবস্থা শুরু হয়েছে, সেটি রোধ করা যাবে।

তবে পার্লামেন্টের বিরোধী দলগুলো বলছে, কয়েকটি ট্রেড ইউনিয়ন এবং জনসাধারণের একাংশ সরকারের এ প্রস্তাব নিয়ে একমত হতে পারেনি।

গত দুই মাস এ নিয়ে পার্লামেন্টে তুমুল তর্ক-বিতর্ক হয়েছে, একাধিক ধর্মঘটও হয়েছে দেশটিতে। তবে গত ১৬ মার্চ পেনশনের বয়সসীমা বর্ধিতকরণের সিদ্ধান্ত কার্যকর করার পর বিক্ষোভ শুরু হয়। ওইদিন প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর নেতৃত্বাধীন সরকার অবসর নেওয়ার বয়সসীমা ৬২ বছর থেকে বাড়িয়ে ৬৪ করার ঘোষণা দেয়। তবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে এ সংক্রান্ত বিল পার্লামেন্টে উত্থাপন ও তার ওপর পার্লামেন্ট সদস্যদের ভোট নেওয়া হয়নি, যা একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় আবশ্যক।

২৫ মার্চ এই ঘোষণার পর ১৬ মার্চ ফ্রান্সের বামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলোর জোট নুপেসের পার্লামেন্ট সদস্যরা ও স্বতন্ত্র আইনপ্রণেতারা সরকারের এ পদক্ষেপের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করেন। একই পথে হাঁটে দেশটির প্রধান বিরোধী দল ন্যাশনাল র‌্যালি পার্টিও। এই দলটি ফ্রান্সের উগ্র ডানপন্থী দল হিসেবে পরিচিত।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT