বৃহস্পতিবার ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১৪ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফিলিস্তিনকে ৩ দেশের স্বীকৃতিতে কী লাভ?

প্রকাশিত : ০৭:৩৮ পূর্বাহ্ণ, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ সোমবার ৩২ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

ফিলিস্তিনকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে যুক্তরাজ্য। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে এ ঘোষণা দিয়েছেন। যুক্তরাজ্যের এ ঘোষণার পর কানাডা ও অস্ট্রেলিয়াও ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে।

এই সিদ্ধান্তকে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রনীতিতে একটি বড় পরিবর্তন হিসেবে দেখা হচ্ছে। এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে যুক্তরাজ্য প্রথম জি-৭ দেশ হিসেবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়। এমন পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বলে মনে করা হচ্ছে।

এ ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা আগে স্টারমারের ডেপুটি বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, একটি দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের পক্ষে দাঁড়ানোর এটাই সঠিক সময়। তবে এ স্বীকৃতি রাতারাতি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

বিবিসি জানিয়েছে, গত কয়েক সপ্তাহে গাজার পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী স্টারমার গাজার অনাহার ও সহিংসতাকে ‘অসহনীয়’ বলে বর্ণনা করেছেন। এ ছাড়া পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের অবৈধ বসতি সম্প্রসারণ এবং সেখানকার সহিংসতা একটি কার্যকর দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের সম্ভাবনাকে ধ্বংস করছে বলে যুক্তরাজ্যের মন্ত্রীরা মনে করছেন।

এদিকে যুক্তরাজ্যের ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার এ পদক্ষেপের তীব্র বিরোধিতা করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি এ পদক্ষেপকে ‘সন্ত্রাসবাদকে পুরস্কৃত করা’র শামিল বলে অভিহিত করেছেন।

নেতানিয়াহুর মতে, এটি হামাসের ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামলাকে বৈধতা দেবে। তবে যুক্তরাজ্যের মন্ত্রীরা যুক্তি দিয়েছেন, দীর্ঘমেয়াদি শান্তিচুক্তির আশা টিকিয়ে রাখার জন্য এটি তাদের নৈতিক দায়িত্ব।

যুক্তরাজ্যের এ ঘোষণার পর কানাডা ও অস্ট্রেলিয়াও ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণা করেছে। এ ছাড়া ফ্রান্স, পর্তুগাল, লুক্সেমবার্গসহ আরও কয়েকটি পশ্চিমা দেশ একই পথে হাঁটবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ধারণা করা হচ্ছিল, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডা চলতি সপ্তাহে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার ব্যাপারে ঘোষণা দেবে। কিন্তু তার আগেই যুক্তরাজ্যের সঙ্গে কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া স্বীকৃতি দিয়ে দেয়।

উল্লেখ্য, জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্য দেশের প্রায় তিন-চতুর্থাংশই ইতিমধ্যে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

যুক্তরাজ্যের এ ঘোষণা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক ব্রিটেন সফরের পর এল। ট্রাম্প তখন বলেছিলেন, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে স্টারমারের অবস্থান যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে একটি বিরল মতবিরোধের ক্ষেত্র।

এর আগে যুক্তরাজ্যের এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ ও প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। স্টারমার ও আব্বাস একমত হয়েছেন যে ভবিষ্যতে যেকোনো ফিলিস্তিনি শাসনব্যবস্থায় হামাসের কোনো ভূমিকা থাকবে না।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT