সোমবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭ই ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রয়াণের তিন দশক পর খোলা হলো প্রিন্সেস ডায়ানার টাইম ক্যাপসুল

প্রকাশিত : ০৬:০২ অপরাহ্ণ, ৩০ আগস্ট ২০২৫ শনিবার ৪ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

প্রয়াণের তিন দশকেরও বেশি সময় পর অবশেষে খোলা হলো ব্রিটেনের প্রয়াত প্রিন্সেস অব ওয়েলস ডায়ানার রেখে যাওয়া টাইম ক্যাপসুল। লন্ডনের গ্রেট অরমন্ড স্ট্রিট হাসপাতাল ফর চিলড্রেন (জিওএসএইচ)-এ এই ছোট বাক্সটি পুঁতে রাখা হয়েছিল। হাসপাতালের সভাপতি হিসেবেই ডায়ানা ১৯৯১ সালের মার্চে ভ্যারাইটি ক্লাব বিল্ডিংয়ের ভিত্তির নিচে সীসা-আবৃত কাঠের সেই টাইম ক্যাপসুলটি স্থাপন করেছিলেন।
সাম্প্রতিক সময়ে শিশুদের জন্য নতুন ক্যান্সার সেন্টার নির্মাণকাজ শুরুর সময় ক্যাপসুলটি বেরিয়ে আসে বলে সিএনএন জানিয়েছে। বুধবার জিওএসএইচের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ১৯৯১ সালে জন্ম নেওয়া বা ওই সময় হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন—এমন কয়েকজন কর্মী মিলেই বাক্সটি উন্মোচন করেন।

ভেতরে পাওয়া গেছে নব্বইয়ের দশকের শুরুর জীবনের এক টুকরো প্রতিচ্ছবি। এর মধ্যে ছিল পকেট টেলিভিশন, কাইলি মিনোগের একটি সিডি এবং কিছু গাছের বীজ।

‘ব্লু পিটার’ নামের শিশুতোষ টিভি শোর এক প্রতিযোগিতায় জয়ী হয়েছিল দুই শিশু—সিলভিয়া ফাউলকেস ও ডেভিড ওয়াটসন। তাদের হাতেই ঠিক হয়েছিল ক্যাপসুলের ভেতর কী রাখা হবে। তারা দিয়েছিল কাইলি মিনোগের ‘রিদম অব লাভ’ অ্যালবামের সিডি, একটি ইউরোপীয় পাসপোর্ট, পুনর্ব্যবহৃত কাগজ, পকেট টিভি, নির্বাচিত ব্রিটিশ মুদ্রা, তুষারকণার হলোগ্রাম, কিউ গার্ডেনসের গাছের বীজ ও সৌরশক্তিচালিত ক্যালকুলেটর। এছাড়া ছিল তাদের লেখা চিঠি, দ্য টাইমস পত্রিকার একটি কপি এবং প্রিন্সেস ডায়ানার একটি ছবি।

আর্কাইভ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তিন দশক মাটির নিচে থাকার পরও অধিকাংশ জিনিস অক্ষত রয়েছে। শুধু কিছু কাগজে সামান্য পানি ঢুকে ক্ষতি হয়েছে।

টাইম ক্যাপসুলটি তোলার কাজে সহায়তা করা রোচনা রেডকার, যিনি বর্তমানে শিশু ক্যান্সার ও অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন ইউনিটের ফেলো, বলেন—‘আমি মাত্র ছয় মাস আগে জিওএসএইচে যোগ দিয়েছি এবং ক্যাপসুলটি তোলার কাজে যুক্ত হতে পেরে ভীষণ আনন্দিত। যেই বছরে আমি জন্মেছিলাম, সেই বছরেই এটি মাটিচাপা দেওয়া হয়েছিল।’

হাসপাতালের সিনিয়র হেলথ প্লে স্পেশালিস্ট জ্যানেট হোমস বলেন, ‘পকেট টিভি দেখে অনেক স্মৃতি ভেসে উঠল। আমি আমার স্বামীর জন্যও একটি কিনেছিলাম, যখন তিনি সারা দেশে কোচ চালাতেন। তখন এগুলো খুবই দামি ছিল।’

জিওএসএইচের নির্বাহী পরিচালক জেসন ডসন, যিনি ক্যাপসুল উন্মোচন তদারকি করেন, বলেন—‘এটি ছিল বেশ আবেগঘন মুহূর্ত… যেন প্রজন্মের রেখে যাওয়া স্মৃতির সঙ্গে আমাদের সংযোগ তৈরি হলো।’

প্রিন্সেস ডায়ানা ১৯৮৯ থেকে ১৯৯৭ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত হাসপাতালটির সভাপতি ছিলেন। তিনি বহুবার এখানে সফর করেন, কখনও আবার তাঁর দুই পুত্র প্রিন্স উইলিয়াম ও প্রিন্স হ্যারিকে সঙ্গে নিয়ে আসেন।

এরও আগে, ১৮৭২ সালে ওয়েলসের তৎকালীন রাজকুমারী আলেকজান্দ্রা হাসপাতালের পুরনো ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। সেবার তিনিও একটি টাইম ক্যাপসুল রেখেছিলেন, যাতে ছিল রানী ভিক্টোরিয়ার ছবি ও দ্য টাইমস-এর একটি কপি। তবে সেটি আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।

বর্তমানে নতুন হাসপাতাল ভবনের সংস্কার কাজ শেষ হলে জিওএসএইচ একটি নতুন টাইম ক্যাপসুল স্থাপন করার পরিকল্পনা করছে।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT