বৃহস্পতিবার ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১৪ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে বিমান হামলা, নিহত অন্তত ৩০ বেসামরিক

প্রকাশিত : ০৭:২৯ পূর্বাহ্ণ, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ মঙ্গলবার ৩১ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের তিরাহ উপত্যকায় ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়েছে দেশটির বিমানবাহিনী।

হামলায় অন্তত ৩০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এএফপি জানিয়েছে, সোমবার ভোররাতে সংঘটিত এ ঘটনায় নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে। স্থানীয় পুলিশের বরাত দিয়ে জানানো হয়, হামলায় চারটি বাড়ি সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে।

বিরোধী দলের সংসদ সদস্য ইকবাল আফ্রিদি অভিযোগ করেছেন, সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে পাকিস্তান সেনাবাহিনী রাতের আঁধারে এ হামলা চালায়। তবে সরকার বা সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি আসেনি।

এক সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা এএফপিকে জানান, নিহতদের মধ্যে সাতজন নারী ও চারজন শিশু রয়েছে। তিনি বলেন, তিরাহ ভ্যালি পাকিস্তান-আফগান সীমান্তের কাছে অবস্থিত, যেখানে দীর্ঘদিন ধরে তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) সক্রিয়। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে এ এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর একাধিক হামলার ঘটনা ঘটেছে।

খাইবার পখতুনখোয়া পুলিশের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত এ প্রদেশে ৬০৫টি সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে, যেখানে অন্তত ১৩৮ বেসামরিক ও ৭৯ পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। শুধু আগস্ট মাসেই ১২৯টি হামলা ঘটে।

বিমান হামলার পর সোমবার বিকেলে পাশের একটি শহরে প্রায় দুই হাজার মানুষ বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন।

অন্যদিকে ভারতের গণমাধ্যমগুলো দাবি করেছে, খাইবার পখতুনখোয়ার তিরাহ ভ্যালির মাত্রে দারা গ্রামে পাকিস্তান বিমানবাহিনীর বোমা হামলায় কমপক্ষে ৩০ জন নিহত হয়েছেন। এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় রাত ২টার দিকে পাকিস্তানি যুদ্ধবিমানগুলো টানা আটটি এলএস-৬ বোমা নিক্ষেপ করে।

এর আগে রোববার পাকিস্তান সেনাবাহিনী ডেরা ইসমাইল খান জেলায় একটি গোয়েন্দা অভিযানে সাতজন টিটিপি সন্ত্রাসী নিহতের দাবি করেছিল। ১৩ ও ১৪ সেপ্টেম্বরও অন্তত ৩১ জন টিটিপি সদস্যকে হত্যা করা হয়েছিল।

২০২১ সালে আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতায় ফেরার পর থেকে টিটিপির হামলার মাত্রা বেড়েছে। সন্ত্রাসীরা ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় আস্তানা বানায় এবং বেসামরিক মানুষকে মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করে, ফলে সীমান্তবর্তী অঞ্চলে বেসামরিক প্রাণহানির আশঙ্কা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

সূত্র : এনডিটিভি, এএফপি

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT