রবিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নাসা ছাড়ছেন ২ হাজারের বেশি জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা

প্রকাশিত : ০৯:০১ পূর্বাহ্ণ, ১২ জুলাই ২০২৫ শনিবার ৫১ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা থেকে একসঙ্গে ২ হাজারের বেশি জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা চাকরি ছাড়ছেন। এদের অনেকেই নাসার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন। এতে সংস্থাটির ভবিষ্যৎ মহাকাশ মিশন, বিশেষ করে চাঁদ ও মঙ্গলে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা বড় চ্যালেঞ্জে পড়তে যাচ্ছে। নাসার ২৬৯৪ জন কর্মী ইতোমধ্যেই ‘অগ্রিম অবসর’, ‘পদত্যাগ প্রণোদনা’ বা ‘স্থগিত পদত্যাগ’ গ্রহণ করেছেন। এর মধ্যে ২১৪৫ জন হচ্ছেন জ্যেষ্ঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা (জিএস-১৩ থেকে জিএস-১৫)। রয়টার্স।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এদের অনেকেই ছিলেন বিজ্ঞান গবেষণা, মহাকাশ অভিযানের পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনার মূল দায়িত্বে। এভাবে একসঙ্গে এত অভিজ্ঞ মানুষ চলে গেলেন, নাসার কার্যক্রমে বড় ধরনের ‘অভিজ্ঞতাশূন্যতা’ তৈরি হবে। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ, কর্মী ছাড় প্রক্রিয়া চলবে ২৫ জুলাই পর্যন্ত। বিশ্লেষকদের মতে, এসব কর্মী মূলত নাসার মিশন পরিচালনা, বিজ্ঞান গবেষণা এবং মানব মহাকাশ অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন।

নাসার মূল কারিগরি ও ব্যবস্থাপনা দক্ষতার বড় অংশ তাদের ওপরই নির্ভরশীল ছিল। এ ধরনের ব্যাপক ‘অভিজ্ঞতা হারানো’ আগামীতে চাঁদ ও মঙ্গল মিশনের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নকে গভীর সংকটে ফেলতে পারে।

হোয়াইট হাউজের প্রস্তাবিত ২০২৬ সালের বাজেটে নাসার তহবিল ২৫ শতাংশ কমানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। এতে পাঁচ হাজারেরও বেশি জনবল ছাঁটাইয়ের সুপারিশ রয়েছে। এই প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে নাসা ১৯৬০-এর দশকের পর প্রথমবারের মতো সবচেয়ে ছোট কর্মী সংখ্যা ও বাজেটে পরিচালিত হবে। বর্তমানে নাসার ১০টি আঞ্চলিক কেন্দ্র থেকে ছাঁটাই প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি কর্মী হারাচ্ছে ম্যারিল্যান্ডের গডার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টার (৬০৭ জন)। এছাড়া টেক্সাসের জনসন স্পেস সেন্টার থেকে ৩৬৬ জন, ফ্লোরিডার কেনেডি সেন্টার থেকে ৩১১ জন এবং নাসার ওয়াশিংটন সদর দপ্তর থেকে ৩০৭ জন কর্মী ছাড়ছেন।

জনসন সেন্টার, যেখান থেকে নাসার মানব মহাকাশ মিশন পরিচালিত হয়, সেখানে হোয়াইট হাউজের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪১৯ জন ছাঁটাই; ইতোমধ্যে এর প্রায় পুরোটাই পূরণ হয়ে গেছে। একইভাবে নাসার রকেট উৎক্ষেপণের মূল ঘাঁটি কেনেডি সেন্টার থেকেও বড় অংশের কর্মী বিদায় নিচ্ছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, মঙ্গল ও চাঁদে অভিযানের মতো জটিল কার্যক্রম সামনে রেখে এভাবে নীতিনির্ধারক, প্রকৌশলী ও বিজ্ঞানীদের হারানো মার্কিন মহাকাশ নেতৃত্বকে দীর্ঘমেয়াদে দুর্বল করতে পারে।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT