রবিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ট্রাম্পের সমালোচনার পর ইউক্রেনে রাশিয়ার রেকর্ড সংখ্যক ড্রোন হামলা

প্রকাশিত : ০৯:০০ পূর্বাহ্ণ, ১০ জুলাই ২০২৫ বৃহস্পতিবার ৩৬ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

বুধবার ভোররাতে রাশিয়া ইউক্রেনে তার সর্ববৃহৎ ড্রোন হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা। তাদের দাবি, যুদ্ধ শুরুর পর এটিই সবচেয়ে বড় আকাশপথে আক্রমণ। ইউক্রেনের বিমান বাহিনীর তথ্যমতে, ৭২৮টি ড্রোন এবং ১৩টি ক্ষেপণাস্ত্র এই হামলায় ব্যবহার করা হয়।

এর আগে গত ৪ জুলাইয়ের হামলায় ৫৩৯টি ড্রোন ব্যবহার হয়েছিল, যা তখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ছিল। এবারের আক্রমণ সেই সংখ্যাকেও ছাড়িয়ে গেছে। তবে ইউক্রেন দাবি করেছে, ৭১৮টি ড্রোন সফলভাবে ধ্বংস করা হয়েছে, এবং তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি। শুধুমাত্র কিয়েভের উপকণ্ঠের শহর ব্রোভারি-তে একজন নারী বুকের আঘাতে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
জানা গেছে, রুশ হামলার মূল লক্ষ্য ছিল উত্তর-পশ্চিম ইউক্রেনের শহর লুটস্ক। এর তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে পোল্যান্ড নিজ দেশের আকাশে বিমান স্ক্র্যাম্বল করতে বাধ্য হয়।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, “এই হামলাটি প্রতীকী। তা এমন সময়েই এসেছে যখন শান্তিচুক্তি বা যুদ্ধবিরতির চেষ্টাগুলো চলছে। কিন্তু রাশিয়া সব প্রত্যাখ্যান করছে।”
তিনি আরও বলেন, “যারা সত্যিই শান্তি চায়, তাদের এখন কার্যকরভাবে পদক্ষেপ নিতে হবে -যাতে রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধের চিন্তা করতে বাধ্য হয়।”

হামলার কয়েক ঘণ্টা আগে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে এক ক্যাবিনেট বৈঠকে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করে বলেন: “পুতিন আমাদের অনেক বানোয়াট কথা বলে- এক কথায় বললে, অনেক ‘বুলশিট’। ও সব সময় ভদ্র আচরণ করে, কিন্তু আসলে তার কোনো মূল্য নেই।”

এর পর ট্রাম্প ঘোষণা দেন, “আমরা ইউক্রেনে আরও সামরিক সহায়তা পাঠাবো। বিশেষ করে প্রতিরক্ষামূলক অস্ত্র।”

ট্রাম্প জানান, ইউক্রেন বর্তমানে গুরুতর আকাশ প্রতিরক্ষা সংকটে, এবং প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজন।

পেন্টাগনের এক মুখপাত্র বলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্দেশে আমরা অতিরিক্ত প্রতিরক্ষামূলক অস্ত্র ইউক্রেনে পাঠাচ্ছি — যাতে তারা নিজেদের রক্ষা করতে পারে, এবং যুদ্ধ থামানোর পথ তৈরি হয়।”
তবে সূত্র বলছে, প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ গত সপ্তাহে অস্ত্র সহায়তা স্থগিতের সিদ্ধান্ত ট্রাম্পকে না জানিয়ে নিয়েছিলেন, যা নিয়ে হোয়াইট হাউসে অস্বস্তি তৈরি হয়েছে।

জার্মানির চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মার্জ পার্লামেন্টে বলেন, “যখন একটি অপরাধী সরকার পুরো জাতিকে ধ্বংস করে ইউরোপের গণতান্ত্রিক শৃঙ্খলা ভাঙার চেষ্টা করে, তখন আমি এবং আমার সরকার সবকিছু করব এই সন্ত্রাস থামাতে।”

তিনি আরও জানান, কূটনৈতিক সমাধানের পথ কার্যত শেষ, তাই সামরিক ও রাজনৈতিক চাপের বিকল্প নেই।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT