রবিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ট্রাম্পকে শান্তি পুরস্কারের জন্য পাকিস্তানের প্রস্তাবকে স্বাগত জানাল হোয়াইট হাউজ

প্রকাশিত : ০৮:৫৯ পূর্বাহ্ণ, ৮ জুলাই ২০২৫ মঙ্গলবার ৩৯ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

পাকিস্তানের পক্ষ থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ২০২৬ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য প্রস্তাব করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ। এ নিয়ে ইসলামাবাদ বলেছে, দক্ষিণ এশিয়ার এক উত্তপ্ত অধ্যায়ে কূটনৈতিক প্রচেষ্টার স্বীকৃতি হিসেবে পাকিস্তান এই প্রস্তাব দিয়েছে।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে জিও নিউজ।

এক সংবাদ সম্মেলনে হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র ক্যারোলিন লেভিট পাকিস্তানের এই মনোনয়নের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্ভাব্য একটি বিপর্যয়কর সামরিক উত্তেজনা প্রশমনে ট্রাম্পের ভূমিকার স্বীকৃতি হিসেবে পাকিস্তান এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

লেভিট বলেন, ‘এই মনোনয়ন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দৃঢ় কূটনৈতিক পদক্ষেপের স্বীকৃতি, যা ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে পারমাণবিক যুদ্ধ প্রতিরোধে সহায়ক হয়েছে।’

সম্প্রতি ইসলামাবাদ ঘোষণা করে, ৬ মে ২০২৫ থেকে শুরু হওয়া ভারত-পাকিস্তান সামরিক সংঘাতের সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হস্তক্ষেপের কারণে তাকে শান্তি পুরস্কারের জন্য প্রস্তাব করবে। ইতোমধ্যে নরওয়ের নোবেল কমিটিতে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।

ট্রাম্পকে এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের এক রিপাবলিকান সদস্যও ২০২৬ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দেন, ইসরাইল-ইরান উত্তেজনা প্রশমনে তার ভূমিকার কারণে।

ট্রাম্প এর আগেও একাধিকবার বলেছেন, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ এড়াতে সহায়তা করার জন্য তিনি নোবেল পুরস্কারের যোগ্য। তবে তার ভাষায়, ‘তারা আমাকে দেবে না, নোবেল তো শুধু লিবারেলদের জন্য।’

প্রসঙ্গত, ভারতের একাধিক ‘অপ্ররোচিত’ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে পাকিস্তান ‘অপারেশন বুনয়া নুম মারসুস’ নামে বড় পরিসরে পাল্টা সামরিক অভিযান চালায় এবং একাধিক ভারতীয় সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা করে।

পাকিস্তান ছয়টি আইএএফ যুদ্ধবিমান, যার মধ্যে তিনটি রাফাল এবং ডজনখানেক ড্রোন ভূপাতিত করে। অন্তত ৮৭ ঘণ্টা স্থায়ী এই যুদ্ধ ১০ মে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তির মাধ্যমে শেষ হয়।

পাকিস্তানের আইএসপিআর জানিয়েছে, সাম্প্রতিক এই সামরিক সংঘর্ষে ভারতের হামলায় ১৩ জন সামরিক সদস্যসহ মোট ৫৩ জন শহীদ হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৪০ জনই ছিলেন বেসামরিক নাগরিক।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT