রবিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জেলেনস্কি ও ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে ট্রাম্পের বৈঠক

প্রকাশিত : ০৮:৪৩ পূর্বাহ্ণ, ১৯ আগস্ট ২০২৫ মঙ্গলবার ১৮ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। স্থানীয় সময় সোমবার দুপুরে হোয়াইট হাউসে শুরু হয় বৈঠক। এতে অংশ নিয়েছেন ইউরোপীয় দেশগুলোর শীর্ষ নেতারাও।

বৈঠকের আগে ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ট্রাম্প বলেন, যুদ্ধ বন্ধে আমরা অনেক দূর এগিয়েছি। ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যদি শান্তিচুক্তি হয়, তবে যুক্তরাষ্ট্র তা বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা দেবে। রক্তপাত বন্ধ করাই এখন সবচেয়ে জরুরি।

ট্রাম্প বলেন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধবিরতির কোনো প্রয়োজন নেই। তবে ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তায় যুক্তরাষ্ট্রকে ‘জড়িত’ থাকতে হবে বলে জানান তিনি।
অন্যদিকে ভলোদেমির জেলেনস্কি তার বক্তব্যে জানান, কূটনৈতিক সমাধানের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্টের পরিকল্পনায় ইউক্রেনের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ইউক্রেন চাইলে যুদ্ধ শেষ করতে পারে। তবে একটি ত্রিপক্ষীয় বৈঠক যুদ্ধ শেষ করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। যদি সবকিছু ঠিক মতো হয়, তাহলে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক আয়োজন করা হবে।

এই আলোচনায় যোগ দিতে ওয়াশিংটনে এসেছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ, ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার স্টাব, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার, জার্মানির চ্যান্সেলর, ইউরোপীয় কমিশনের সভাপতি উরসুলা ভন ডের লেইনসহ ইইউ ও ন্যাটোর শীর্ষ নেতারা। তাদের উপস্থিতিকে ইউক্রেনের প্রতি দৃঢ় সমর্থনের বার্তা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

আলোচনার ফাঁকে ট্রাম্প ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে ফটোসেশন করেন। নেতাদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, হোয়াইট হাউসে আপনাদের উপস্থিতি আমাদের জন্য সম্মানের। আজকের দিনটি অত্যন্ত সফল।

অন্যদিকে মস্কো জানিয়ে দিয়েছে, শান্তির প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে তারা ইউক্রেনে ন্যাটোর কোনো উপস্থিতি মেনে নেবে না। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইউক্রেনে ন্যাটো সেনা মোতায়েনের বিষয়টিকে সংঘাতের একটি কার্যকর সমাধান বলে মনে করে না মস্কো এবং এই বিষয়ে যুক্তরাজ্যের সাম্প্রতিক বিবৃতিগুলোকে রাশিয়া উসকানিমূলক বলে মনে করে।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT