রবিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জীবনের সবচেয়ে ‘ভয়াবহ’ পরিস্থিতিতে খামেনি

প্রকাশিত : ০৭:৩৯ অপরাহ্ণ, ২৩ জুন ২০২৫ সোমবার ৫৬ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গত শনিবার রাতে ইরানের তিনটি প্রধান পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালানোর পর সোমবার (২৩ জুন) মার্কিন প্রেসিডেন্ট দাবি করেছেন, হামলায় ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এখন বিশ্ব দেখার অপেক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলার জবাবে ইরান পাল্টা কী পদক্ষেপ নেয়।

বিষয়টি নিয়ে একজন বিশেষজ্ঞ বলেছেন, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির নেতৃত্বের সামনে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। খবর সিএনএনের।

কার্নেগি এনডাউমেন্ট অফ ইন্টারন্যাশনাল পিসের করিম সাদ্দাদপুর সিএনএনকে বলেন, খামেনি সম্ভবত একজন স্বৈরশাসক হিসেবে তার জীবনের সবচেয়ে ভয়ানক পরিস্থিতির মধ্যে আছেন।

করিম সাদ্দাদপুর আরও বলেছেন, তিনি (খামেনি) বাঙ্কারে আছেন এবং তার বয়স ৮৬ বছর। তার বেশিরভাগ শীর্ষ সামরিক কমান্ডারকে হত্যা করা হয়েছে এবং আকাশসীমা তার নিয়ন্ত্রণ নেই, ইসরাইল নিয়ন্ত্রণ করছে।

এই বিশ্লেষক আরও বলেছেন, এই যুদ্ধ থেকে বের হয়ে আসার উপায় নেই এবং তিনি এই যুদ্ধে জয়ী হতে পারবেন না।

এদিকে গত সপ্তাহে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে খামেনি বলেন, ইরান আত্মসমর্পণ করবে না। তিনি যে কোনো মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন।

অন্যদিকে গত সপ্তাহে খামেনিকে হত্যায় ইসরাইলি পরিকল্পনার কথা উড়িয়ে দেন ট্রাম্প। তবে তিনি বলেন, ‘ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনি সহজ টার্গেট।’

সবশেষ যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় রোববার ট্রাম্প ইরানের সরকারব্যবস্থা পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, শাসনব্যবস্থা পরিবর্তন শব্দটা ব্যবহার করা রাজনৈতিকভাবে সঠিক না। কিন্তু যদি বর্তমান ইরানি সরকার ‘মেইক ইরান গ্রেট এগেইন’ (ইরানকে আবার মহান করে তোলা) করতে না পারে, তাহলে শাসনব্যবস্থা পরিবর্তন হবে না কেন?

এখন প্রশ্ন উঠেছে ইরানে কী হস্তক্ষেপের মাধ্যমে শাসনব্যবস্থা পরিবর্তন করা হবে। সিএনএন বলছে, এমন হলে ইরান বিভক্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে এবং এতে করে অঞ্চলজুড়ে বিপর্যয় নেমে আসতে পারে।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT