রবিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ছয়টি যুদ্ধ থামিয়েছি, কিন্তু এটা সবচেয়ে কঠিন: ট্রাম্প

প্রকাশিত : ০৯:১৩ পূর্বাহ্ণ, ১৯ আগস্ট ২০২৫ মঙ্গলবার ২১ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

ইউক্রেন যুদ্ধ থামিয়ে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে এক টেবিলে বসেছেন ইউরোপীয় নেতারা। সঙ্গে ছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও। হোয়াইট হাউসে অনুষ্ঠিত সোমবারের ওই বৈঠক শেষে ওভাল অফিসে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘বিশ্বে ছয়টি যুদ্ধ থামিয়েছি আমি। এই যুদ্ধ বন্ধ হয়তো সহজ হবে ভেবেছিলাম, কিন্তু না। এটা সবচেয়ে কঠিন। তবে আমি আত্মবিশ্বাসী, আমরা সমাধান খুঁজে পাব।’

তিনি আরও বলেন, ‘আজকের বৈঠক শেষ নয়। মানুষ মারা যাচ্ছে, আমরা সেটা থামাতে চাই। আমার বিশ্বাস, পুতিনও যুদ্ধ শেষ করতে চান।’

যুদ্ধ বন্ধ নিয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘এই যুদ্ধ শেষ হবে। জেলেনস্কি চান, পুতিনও চান, গোটা বিশ্বই ক্লান্ত। আমরা এটা থামাব। যুদ্ধবিরতি নয়, সরাসরি শান্তিচুক্তিতে যেতে আগ্রহী আমরা। শান্তিচুক্তি হলে পক্ষগুলো আবার শক্তি সঞ্চয় করে। আমি মনে করি, সরাসরি শান্তিচুক্তিই সঠিক পথ।’

ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা প্রসঙ্গে ট্রাম্প আশ্বস্ত করে বলেন, ‘আমরা তাদের খুব ভালো সুরক্ষা দেব, খুব ভালো নিরাপত্তা দেব।’

ট্রাম্প আরও বলেন, ‘আমি আশা করি, কিছু একটা ফল আসবে।’ তিনি জানান, ইউরোপের সাতজন নেতাও এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত আছেন। জেলেনস্কি যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্পের প্রচেষ্টার প্রশংসা করে বলেন, ‘হত্যাযজ্ঞ থামাতে এবং যুদ্ধ বন্ধ করতে আপনার প্রচেষ্টা আমরা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে দেখছি।’

হোয়াইট হাউসে ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক চলার মধ্যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ফোন করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে শুক্রবার আলাস্কায় পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের তিন দিনের মাথায় সোমবার হোয়াইট হাউসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন তিনি।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) একজন কূটনীতিক বৈঠকের মাঝপথে ট্রাম্পের পুতিনকে ফোন করার বিষয়টি রয়টার্সকে জানিয়েছেন। তিনি জানান, ট্রাম্প–পুতিনের ফোনালাপের পর আবারও বৈঠক শুরু হয়। যদিও ট্রাম্প আগে জানিয়েছিলেন, ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি রুশ প্রেসিডেন্টকে ফোন করবেন।

ক্রেমলিনের পক্ষ থেকেও পুতিনকে ট্রাম্পের ফোন করার বিষয়টি জানানো হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৪০ মিনিট কথা হয়েছে বলে পুতিনের একজন সহকারী জানিয়েছেন।

রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউসে স্থানীয় সময় সোমবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করেন ট্রাম্প। এরপর তিনি জেলেনস্কিসহ ইউরোপের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। ইউরোপীয় নেতারা যুদ্ধ বন্ধ, ইউক্রেন তথা পুরো ইউরোপের নিরাপত্তা নিশ্চয়তাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সরাসরি ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলেন।

বৈঠকের আগে জেলেনস্কি হোয়াইট হাউসে পৌঁছালে ট্রাম্প তাঁকে স্বাগত জানান। সাধারণত সামরিক পোশাকে দেখা গেলেও এবার জেলেনস্কিকে কালো স্যুট ও শার্টে পরিহিত দেখা গেছে। ট্রাম্প জেলেনস্কিকে দেখে বলেন, ‘আমরা ইউক্রেনীয়দের ভালোবাসি।’

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT