বৃহস্পতিবার ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১৪ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চালু হলো বিশ্বের উচ্চতম সেতু হুয়াজিয়াং গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন

প্রকাশিত : ০৭:০৩ পূর্বাহ্ণ, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ সোমবার ২২ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

চীনে নির্মাণ কাজ শুরুর তিন বছরের বেশি সময় পর যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে বিশ্বের সর্বোচ্চ সেতু হুয়াজিয়াং গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন। আজ রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) এই সেতুর উদ্বোধন করা হয়েছে বলে চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যমের খবরে জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, নতুন এই সর্বোচ্চ সেতুটি একই প্রদেশের আরেকটি সেতুর দখলে থাকা রেকর্ড ভেঙে ফেলেছে।

দেশটির দুর্গম দক্ষিণাঞ্চলীয় গুইঝো প্রদেশে নতুন সেতুটির অবস্থান। নদী ও বিশাল গিরিখাতের ওপর নির্মিত ৬২৫ মিটার (২ হাজার ৫১ ফুট) উঁচুতে দাঁড়িয়ে আছে হুয়াজিয়াং গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন সেতু। এর আগে ৫৬৫ মিটার উচ্চতার বেইপানজিয়াং সেতু ছিল বিশ্বের সর্বোচ্চ সেতু। আগের সর্বোচ্চ সেতুটিও একই প্রদেশে অবস্থিত।

রোববার চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচারিত ড্রোন ফুটেজে দেখা যায়, সেতুটির নীল রঙের বিশাল সহায়ক টাওয়ার আংশিকভাবে মেঘে ঢেকে গেছে। এমন অবস্থায় সেতুর ওপর দিয়ে যানবাহন চলাচল করছে।

সেতু প্রকল্পের প্রকৌশলী ও স্থানীয় কর্মকর্তাসহ বিপুলসংখ্যক মানুষ সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জড়ো হয়েছিলেন। তারা সেতুটি নিয়ে সরাসরি সম্প্রচারিত সাক্ষাৎকারে গর্ব ও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।

গত বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে গুইঝো প্রদেশের পরিবহন বিভাগের প্রধান ঝাং ইয়িন বলেন, হুয়াজিয়াং গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন সেতু চালু হওয়ায় দুই পাশের মানুষের যাতায়াতের সময় দুই ঘণ্টা থেকে কমে দুই মিনিটে নেমে এসেছে।

তিনি বলেন, সেতুটি আঞ্চলিক পরিবহন ব্যবস্থায় বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে এবং আঞ্চলিক অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে নতুন গতি সঞ্চার করেছে।

গত কয়েক দশকে অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যাপক বিনিয়োগ করেছে চীন। দেশটি দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও নগরায়ণের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। দুর্গম গুইঝো প্রদেশে হাজার হাজার সেতু রয়েছে। এর মধ্যে বিশ্বের সর্বোচ্চ দুটি সেতুও রয়েছে।

চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া বলেছে, বিশ্বের সর্বোচ্চ ১০০ সেতুর প্রায় অর্ধেকই গুইঝো প্রদেশে অবস্থিত। সিনহুয়া বলছে, হুয়াজিয়াং গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন সেতু নির্মাণে তিন বছরেরও বেশি সময় লেগেছে। ১ হাজার ৪২০ মিটার দীর্ঘ সেতুটির প্রধান স্প্যান এটিকে ‌পাহাড়ি এলাকায় নির্মিত বিশ্বের সর্ববৃহৎ স্প্যানের সেতু বানিয়েছে।

তবে নিজস্ব কাঠামোর উচ্চতা অনুযায়ী বিশ্বের সর্বোচ্চ সেতু এখনও ফ্রান্সের মিলাও সেতুর রেকর্ডে আছে। এই সেতুর উচ্চতা ৩৪৩ মিটার।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT