রবিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজা সীমান্তে ৪০ হাজার সেনা মোতায়েন করল মিসর

প্রকাশিত : ০৮:২৯ পূর্বাহ্ণ, ২০ আগস্ট ২০২৫ বুধবার ২০ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার পাশে নিজেদের সীমান্তে নজিরবিহীনভাবে সেনা সংখ্যা বাড়িয়েছে মিসর। ইসরায়েল গাজার রাজধানী গাজা সিটিতে ব্যাপক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে- এমন প্রেক্ষাপটে কায়রো আশঙ্কা করছে, হাজার হাজার গাজাবাসী হয়তো মিসরের উত্তর সিনাই অঞ্চলে প্রবেশের চেষ্টা করতে পারেন।

মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) মিডল ইস্ট আইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মিসরের এক সামরিক কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন, বর্তমানে উত্তর সিনাইয়ে প্রায় ৪০ হাজার সেনা মোতায়েন রয়েছে। এটি ১৯৭৯ সালের মিসর-ইসরায়েল শান্তিচুক্তির আওতায় নির্ধারিত সেনা সংখ্যার তুলনায় বহুগুণ বেশি।

সূত্রটি বলেছে, “গত কয়েক বছরের মধ্যে আমরা মিসরের সেনাবাহিনীকে এত উচ্চমাত্রার সতর্কাবস্থায় কখনো দেখিনি।”

কর্মকর্তা আরও জানান, প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ এল-সিসির প্রত্যক্ষ নির্দেশে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সশস্ত্র বাহিনীর সুপ্রিম কাউন্সিল ও জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের সঙ্গে বৈঠকের পরই তিনি সেনা মোতায়েনের নির্দেশ দেন।

তিনি স্পষ্ট করে বলেন, ইসরায়েল হামাসকে নির্মূল করতে এবং গাজার জনগণকে স্থানচ্যুত করতে চায়। কিন্তু মিসর এই পরিকল্পনা কোনোভাবেই সমর্থন করে না।

বর্তমানে সিনাইয়ের বিভিন্ন ঘাঁটিতে মিসরের সেনারা অবস্থান নিয়েছে। বিশেষত গাজা সীমান্তবর্তী ‘জোন সি’ এলাকায় ভারী সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। সেখানে সাঁজোয়া যান, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, বিশেষ বাহিনী ও এম-৬০ যুদ্ধট্যাংকও রাখা হয়েছে।

মিসরীয় সূত্র জানিয়েছে, বাড়তি সেনা মোতায়েনের বিষয়টি ইসরায়েলকে জানানো হয়েছে। কায়রো তাদের জানিয়েছে- এটি কেবল আত্মরক্ষামূলক ব্যবস্থা। তবে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে, যদি ইসরায়েল মিসরের ভেতরে কোনো হামলা চালায়, তার কঠোর জবাব দেওয়া হবে।

এদিকে মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্প্রতি স্পষ্ট করেছেন, গাজার জনগণকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনায় তারা কোনোভাবে সহায়তা করবে না, বরং যে কোনো মূল্যে তা প্রতিরোধ করবে।

সূত্র : মিডল ইস্ট আই

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT