রবিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজায় থামছে না ইসরায়েলি বর্বরতা, আরও ১১৬ ফিলিস্তিনি হত্যা

প্রকাশিত : ০৯:৩১ পূর্বাহ্ণ, ২০ জুলাই ২০২৫ রবিবার ৩৯ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

গাজায় ইসরায়েলি হামলার ভয়াবহতা থামছেই না। শনিবার সহায়তা সংগ্রহ করতে আসা ক্ষুধার্ত মানুষের ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ৩৮ জনকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। সারাদিনে বিভিন্ন হামলায় নিহত হয়েছেন মোট ১১৬ জন।

আল জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, গাজার দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিস ও রাফাহতে সহায়তা বিতরণ কেন্দ্রের আশপাশে জড়ো হয়েছিলেন বহু ফিলিস্তিনি।

ক্ষুধা মেটানোর আশায় আসা এই মানুষেরা ইসরায়েলি সেনাদের গুলির শিকার হন। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, গুলি চালানো হয়েছিল নির্দিষ্ট লক্ষ্য করে— যেন হত্যাই উদ্দেশ্য।

গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, শুধু শনিবারই সেনাবাহিনীর গুলিতে প্রাণ গেছে ৩৮ জনের। আহত হয়েছে বহু মানুষ।

একই সময়, গাজায় মানবিক ত্রাণ বিতরণে সহায়তাকারী যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল-সমর্থিত ‘গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন’-এর আশপাশে অবস্থান নেয় ইসরায়েলি সেনারা। বিতরণ শুরুর আগেই তারা গুলি ছুড়তে শুরু করে বলে অভিযোগ।

মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস মনিটর জানায়, গত ছয় সপ্তাহে এই ফাউন্ডেশনের চারটি বিতরণ কেন্দ্রের আশপাশে ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৬৭৪ জন।

অন্যদিকে, জাতিসংঘ সতর্ক করেছে— গাজায় চলমান খাদ্য সংকট শিশুদের জীবন সবচেয়ে বেশি বিপন্ন করে তুলেছে। মার্চ থেকে খাদ্য সরবরাহে কড়াকড়ি আরোপের পর অপুষ্টিতে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত ক্ষুধায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৬৯ শিশুর।

গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, ১৭ হাজারের বেশি শিশু বর্তমানে গুরুতর অপুষ্টিতে ভুগছে। হাসপাতালগুলোর জরুরি বিভাগে প্রতিদিনই অনাহারী শিশু ও প্রাপ্তবয়স্ক রোগীর ভিড় বাড়ছে।

হামাসের সামরিক শাখার মুখপাত্র আবু ওবাইদা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ইসরায়েল যদি গণহত্যা চালিয়ে যায়, তবে আরও সেনা হারাতে হবে তাদের। এক ভিডিও বার্তায় তিনি জানান, হামাস ক্ষয়ক্ষতির মূল্য চুকিয়ে হলেও যুদ্ধ চালিয়ে যাবে এবং ইসরায়েলি সেনাদের হত্যা কিংবা বন্দি করার লক্ষ্যে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT