সোমবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩১শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজাজুড়ে ফের ভয়াবহ হামলা ইসরাইলের, নিহত ১০০

প্রকাশিত : ০৯:০৮ পূর্বাহ্ণ, ১৮ মার্চ ২০২৫ মঙ্গলবার ৪৮ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডজুড়ে ফের ভয়াবহ বিমান হামলা শুরু করেছে ইসরাইল বাহিনী। এই হামলায় অন্তত ১০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে গাজা সিটিতেই প্রাণ হারিয়েছেন ২০ জন। এছাড়া হামলায় আহত হয়েছেন আরও অনেকে। যুদ্ধবিরতি আলোচনা ভেঙে যাওয়ার পর ইসরাইল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডজুড়ে বিমান হামলা শুরু করেছে।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) এই তথ্য জানিয়েছে আলজাজিরা।

চিকিৎসাবিদদের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, গাজা উপত্যকা জুড়ে ইসরাইলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ১০০ জন নিহত হয়েছে, যার মধ্যে অনেক শিশুও রয়েছে।

আলজাজিরার সরাসরি সম্প্রচারিত আপডেটে জানিয়েছে, গাজা উপত্যকা জুড়ে ইসরাইলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ১০০ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং অন্যান্য আরও অনেকের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি হামাসের সাথে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় এটিই ইসরাইলের সবচেয়ে বড় হামলা।

এদিকে আল জাজিরা আরবির সংবাদদাতা জানিয়েছেন, গাজা উপত্যকার উত্তরে অবস্থিত গাজা সিটিতে ইসরাইলি বিমান হামলার ফলে কমপক্ষে ২০ জন নিহত এবং আরও ৫০ জনেরও বেশি লোক আহত হয়েছেন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গাজার মধ্যাঞ্চলের আল-দারাজ পাড়া শহরে বাস্তুচ্যুতদের আশ্রয়স্থল আল-তাবি’ইন স্কুলে ইসরাইলি যুদ্ধবিমান ও বোমা হামলায় কমপক্ষে পাঁচজন নিহত এবং আরও অনেকে আহত হয়েছেন।

এছাড়াও দক্ষিণ গাজা উপত্যকার খান ইউনিসের পশ্চিমে মাওয়াসি এলাকায় তাঁবুতে আশ্রয় নেওয়া মানুষদের ওপর ইসরাইলি হামলায় বেশ কয়েকজন নিহত ও আহত হয়েছেন।

অন্যদিকে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানিয়েছে, আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পর আবারও হামলা শুরু হয়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওসের প্রতিবেদক বারাক রভিদের মতে, হামাস যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর মার্কিন প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার পর ইসরাইল গাজায় আবারও সামরিক অভিযান শুরু করেছে বলে জানানো হয়েছে।

ছয় সপ্তাহ ধরে চলা প্রথম পর্যায়ের যুদ্ধবিরতি চুক্তির দ্বিতীয় পর্যায়ে ইসরাইল প্রবেশ করতে অস্বীকৃতি জানানোর পর ইসরাইল এবং হামাস মধ্যস্থতামূলক আলোচনা শুরু করেছিল।

এছাড়া ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা গাজায় ব্যাপকভাবে আক্রমণ চালাচ্ছে। তারা বলেছে, রাজনৈতিক নেতৃত্বের নির্দেশে (ইসরাইলি সামরিক বাহিনী) এবং শিন বেইট গাজা উপত্যকা জুড়ে সন্ত্রাসী সংগঠন হামাসের সন্ত্রাসী লক্ষ্যবস্তুতে ব্যাপকভাবে আক্রমণ করছে।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT