বৃহস্পতিবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কিমের প্রিয় কন্যাকে নিয়ে চীন সফর, কেন এত আলোচনা?

প্রকাশিত : ০৮:১৮ পূর্বাহ্ণ, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ বৃহস্পতিবার ১ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন বর্তমানে বেইজিং সফরে আছেন। এই সফরে উত্তর কোরিয়ার প্রধান মিত্র চীন ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করবেন কিম। তবে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো বলছে, তার এই সফরের আরেকটি উদ্দেশ্য হলো, মেয়েকে সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসেবে পরিচয় করানো।

পারিবারিক প্রথা ভেঙে ২০২২ সালে আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শন প্যারেডে মেয়েকে নিয়ে প্রকাশ্যে এসেছিলেন কিম। তখনই জু আয়ে সারা বিশ্বের নজর কাড়ে। বলা হচ্ছিল, তবে কি কিম পরিবারের উত্তরসূরি হিসেবে উত্তর কোরিয়ার পরবর্তী কান্ডারি হতে যাচ্ছে জু-আয়ে?

এবারও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি আন্তর্জাতিক সফরে বাবার সফরসঙ্গী হয়ে আলোচনায় এসেছে জু-আয়ে।

কিম জং-উনের পরিবার বা তার সন্তানদের নাম ও বয়স নিয়ে উত্তর কোরিয়ায় কঠোর গোপনীয়তা রক্ষা করা হয়। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বিশ্বাস করেন, বেইজিংয়ে কিমের পেছনে ট্রেন থেকে যে কিশোরীকে নামতে দেখা গেছে, সেটা তার মেয়ে জু আয়ে।

জু আয়ের বয়স আনুমানিক ১২ বছর। সে কিমের একমাত্র সন্তান, যে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে প্রকাশ্যে এসেছে। গণমাধ্যম তাকে ‘প্রিয় কন্যা’ বলে ডাকে।

দক্ষিণ কোরিয়ার বিশ্লেষকদের মতে, কিম তার মেয়েকে উত্তরসূরি হিসেবে গড়ে তুলছেন। তবে তিনি যেকোনো সিদ্ধান্ত অনেক ভেবে-চিন্তে নেন। আবার অনেকে বলেছেন, চীন সফরে মেয়েকে সঙ্গে নেওয়া একটি বড় ধরনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশেষ করে এত বড় আন্তর্জাতিক সমাবেশে, যেখানে বিশ্বের বড় বড় নেতারা উপস্থিত থাকবেন, সেখানে জুকে বিশ্বের সামনে পরিচিত করানোর বিশেষ কারণ আছে।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক স্টিমসন সেন্টারের উত্তর কোরিয়ার নেতৃত্ববিষয়ক বিশেষজ্ঞ মাইকেল ম্যাডেন বলেন, এ মুহূর্তে উত্তর কোরিয়ার পরবর্তী সর্বোচ্চ নেতা হওয়ার দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে জু আয়ে।

তিনি আরও বলেন, সে এখন প্রটোকলসংক্রান্ত বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করছে, যা তাকে উত্তর কোরিয়ার পরবর্তী নেতা বা মূল ক্ষমতাধরদের একজন হিসেবে দায়িত্ব পালনে সহায়তা করবে।

সিউলভিত্তিক ইউনিভার্সিটি অব নর্থ কোরিয়ান স্টাডিজের সাবেক প্রেসিডেন্ট ইয়াং মুজিন বলেন, সম্ভবত কিম মেয়েকে চীনের নেতৃত্বের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন। কারণ চীন উত্তর কোরিয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মিত্র।

সিউলভিত্তিক সেজং ইনস্টিটিউটের উত্তর কোরিয়া বিশেষজ্ঞ চোং সিয়ং-চ্যাং বলেন, বেইজিং রেলওয়ে স্টেশনের দৃশ্য দেখে বোঝা গেছে-জু অ্যায়ে কেবল দেশে নয়, বিদেশেও তাকে উত্তর কোরিয়ার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে দেখা হচ্ছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা এখন পর্যন্ত জু আয়েকে কিমের সবচেয়ে সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসেবে বিবেচনা করছে। যদিও পুরুষপ্রধান রাজবংশের শীর্ষ পদে শেষ পর্যন্ত কোনো নারীকে দেখা যাবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।

সূত্র : রয়টার্স

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT