রবিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কলকাতার হুগলিতে তৃণমূলের রচনা ও অসিত দ্বন্দ্ব!

প্রকাশিত : ০৮:০২ পূর্বাহ্ণ, ২ আগস্ট ২০২৫ শনিবার ২৯ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

কলকাতার হুগলির চুঁচুড়ায় তৃণমূল সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিধায়ক অসিত মজুমদারের মধ্যে প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব নতুন মাত্রা পেয়েছে।

বৃহস্পতিবার চুঁচুড়ার একটি স্কুল পরিদর্শনে রচনা বিধায়কের আচরণের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন।

ঘটনার সূত্রপাত চুঁচুড়ার বাণীমন্দির স্কুল থেকে, যেখানে সাংসদ তহবিলের অর্থে একটি স্মার্ট ক্লাসরুম নির্মিত হয়েছে। অভিযোগ, সেই ক্লাসরুম নিয়ে বিধায়ক অসিত স্কুলে গিয়ে শিক্ষিকাদের গালিগালাজ করেন এবং তহবিলের টাকায় ক্লাসরুম তৈরির ব্যাপারে প্রশ্ন তুলেন।

সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি শুনে বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছি। চুঁচুড়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এতগুলি ছাত্রী পড়াশোনা করছে, ঐতিহ্যবাহী স্কুলে স্মার্ট ক্লাসরুম হওয়া খুবই প্রয়োজন ছিল। কিন্তু বিধায়ক এসে শিক্ষিকাদের সামনে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন।

তিনি কেন সাংসদ তহবিলের অর্থ দিয়ে এই ক্লাসরুম তৈরি করা হয়েছে তা জিজ্ঞেস করেন এবং উগ্র আচরণ দেখান। আমি মনে করি, এটা অসহনীয়। শিক্ষকদের সামনে এমন অবজ্ঞাজনক আচরণ চলতে পারে না।”

রচনা আরও বলেন, “আমি ভবিষ্যতেও এই ধরনের ক্লাসরুম নির্মাণ অব্যাহত রাখব। মানুষের পাশে থাকব। যারা আমার পথে বাধা দিতে চায়, তাদের বলব, ‘দম থাকলে আমাকে আটকে দেখাক।’ তিনি জানান, দলের অনেকেই বিধায়কের এই আচরণের কথা জানেন এবং তিনি নিজেও যথাযথ কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানাবেন।

অন্যদিকে বিধায়ক অসিত মজুমদার এই ঘটনার বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন। তিনি বলেন, “আমি এ বিষয়ে কিছু বলবো না। যদি আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকে, তা লিখিতভাবে থানায় জমা দিন। সাংসদ রচনার কথা আমার ওপর প্রভাব ফেলে না। দলকে যা বলব, বলব। সাংবাদিকদের কাছে কিছু বলব না। আমি ওই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কল্যাণই আমার কাজ।”

এভাবে তৃণমূলের একাধিক স্তরে প্রকাশ্যে সাংসদ ও বিধায়কের মতবিরোধ, দলকে অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছে।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT