বৃহস্পতিবার ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১৪ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এআই ব্যবহারে বৈষম্য কমাতে বৈশ্বিক তহবিল গঠনের প্রস্তাব জাতিসংঘের

প্রকাশিত : ০৬:৪২ অপরাহ্ণ, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ শনিবার ২৪ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহারে বৈশ্বিক বৈষম্য কমাতে বিশেষ তহবিল গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে জাতিসংঘ। এই তহবিলের নাম হতে যাচ্ছে ‘গ্লোবাল ফান্ড ফর এআই ক্যাপাসিটি ডেভেলপমেন্ট’। বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনের ফাঁকে আয়োজিত এক বৈঠকে এ প্রস্তাব উত্থাপন করেন মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।

গুতেরেস বলেন, এআই ব্যবহারে বৈষম্য কমাতে একটি বৈশ্বিক তহবিল ‘গ্লোবাল ফান্ড ফর এআই ক্যাপাসিটি ডেভেলপমেন্ট’ গঠনের বিষয়েও আলোচনা চলছে। এই তহবিলের মাধ্যমে কম্পিউটিং শক্তি, ডাটা, গবেষণা, শিক্ষা প্রশিক্ষণ ও নিরাপত্তা মানদণ্ডে সমতা আনার পরিকল্পনা রয়েছে।

এ সময় তিনি জানান, বিজ্ঞানের ভিত্তিতে এআই নীতিমালা নির্ধারণে একটি আন্তর্জাতিক স্বাধীন বৈজ্ঞানিক প্যানেল গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চল ও শাখার বিশেষজ্ঞরা যুক্ত হবেন।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি আনালেনা বেয়ারবক বলেন, ‘১৯৪৫ সালে জাতিসংঘ যেমন বৈশ্বিক দিশারি হয়েছিল, আজকের এই চুক্তিও তেমন একটি দিকনির্দেশনা।’ তিনি আরও বলেন, ‘গত বছরের ‘প্যাক্ট ফর দ্য ফিউচার’ ও ‘গ্লোবাল ডিজিটাল কমপ্যাক্ট’ ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এর মধ্যেই প্রথমবারের মতো বিশ্বব্যাপী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ন্ত্রণের নিয়ম ঠিক করা হয়েছে।’

বেয়ারবক সতর্ক করে বলেন, ‘এআই টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার ৮০ শতাংশ অর্জনে সহায়ক হলেও এর বিপুল শক্তি চাহিদা ক্লিন এনার্জি দিয়ে না মেটাতে পারলে জলবায়ু সংকট আরও তীব্র হতে পারে।’

স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ বলেন, এআই এখন আমাদের জীবনের সব ক্ষেত্রে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি উদ্ভাবন ও প্রবৃদ্ধি বাড়ালেও সঠিক নিয়ন্ত্রণ ছাড়া ঝুঁকিও বাড়াচ্ছে। একই মত প্রকাশ করে কোস্টারিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আর্নল্ডো আন্দ্রে টিনোকো বলেন, বৈশ্বিক সংলাপ ও বৈজ্ঞানিক প্যানেল গঠনের মাধ্যমে এক নতুন যুগে প্রবেশ করছে বিশ্ব।

তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, সঠিক নিয়ন্ত্রণ না হলে এআই ভুয়া তথ্য ছড়াতে, সংঘাত উসকে দিতে ও সামরিক কাজে বিপজ্জনকভাবে ব্যবহৃত হতে পারে। তাদের মতে, দ্রুত সাড়াজাগানো এ প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রণে জাতিসংঘের প্রশাসনিক কাঠামো যথেষ্ট কার্যকর নাও হতে পারে। উন্নয়নশীল ও আফ্রিকার মতো অঞ্চলগুলো এআই বিপ্লব থেকে পিছিয়ে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। তাই তারা আন্তর্জাতিকভাবে বাধ্যতামূলক নিয়ম ও ‘রেড লাইন’ নির্ধারণের আহ্বান জানিয়েছেন।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT