বুধবার ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৩ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

উইকিপিডিয়ার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ইলন মাস্কের ‘গ্রকিপিডিয়া’ চালু

প্রকাশিত : ০৬:০৭ অপরাহ্ণ, ২৯ অক্টোবর ২০২৫ বুধবার ১২ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

বিদ্যুচ্চালিত গাড়ি, মহাকাশ গবেষণা কোম্পানি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, মস্তিষ্কে চিপ বসানোর কোম্পানি ও এআই স্টার্টআপের পর এবার উইকিপিডিয়ার আদলে অনলাইন বিশ্বকোষ চালু করলেন মার্কিন ধনকুকের ইলন মাস্ক, যার নাম গ্রকিপিডিয়া।

মাস্ক দাবি করেছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআইয়ের ওপর নির্ভর করে কাজ করবে গ্রকিপিডিয়া, যেটি তার ডানপন্থি দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে মানানসই ধারায় তথ্য উপস্থাপন করবে।

তবে গ্রকিপিডিয়ার অনেক নিবন্ধের তথ্য উইকিপিডিয়ার তথ্যের ওপর ভিত্তি করেই তৈরি বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ান।

এআইনির্ভর এ অনলাইন বিশ্বকোষকে ‘সভ্যতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’ বলে বর্ণনা করেছেন মাস্ক। এক মাস ধরেই উইকিপিডিয়ার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে গ্রকিপিডিয়া আনার পরিকল্পনা করছিলেন তিনি।

উইকিপিডিয়ার মতো গ্রকিপিডিয়ার কোনো স্বেচ্ছাসেবী বা মানব লেখক নেই। তবে গ্রকিপিডিয়া বলেছে, এর ‘সব তথ্য যাচাই’ হয় মাস্কের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা স্টার্টআপ এক্সএআই-এর ‘গ্রক’ নামের এআই চ্যাটবটের মাধ্যমে।

মাস্ক বলেছেন, গ্রকিপিডিয়ার তৈরির ধারণা তার নিজের নয়। ধারণাটি এসেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের এআই ও ক্রিপ্টোকারেন্সি কর্মকর্তা ডেভিড স্যাকসের কাছ থেকে।

গার্ডিয়ান লিখেছে, প্রায়ই উইকিপিডিয়ার সমালোচনা করতে দেখা যায় মাস্ককে, বিশেষ করে উইকিপিডিয়া যখন নিউ ইয়র্ক টাইমস বা এনপিআর-এর খবরের তথ্য দেয় তখন। ‘প্রচলিত বা মেইনস্ট্রিম মিডিয়া’কে নিয়মিত আক্রমণ ও মানুষকে নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এর ওপর নির্ভর করতে উৎসাহিত করেন মাস্ক। তিনি এমনভাবে প্ল্যাটফর্মটিকে পরিচালনা করেছেন, যাতে ডানপন্থী বা চরম ডানপন্থী মতামত ও তার নিজের মতামত বেশি করে সকলের সামনে আসে।

গ্রকিপিডিয়ার বিভিন্ন নিবন্ধে দেখা গিয়েছে, সেগুলো সাধারণত রক্ষণশীল বা ডানপন্থী মতামতের দিকেই ঝুঁকছে। যেমন– ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিলে হামলার ঘটনা নিয়ে করা এক নিবন্ধে গ্রকিপিডিয়া বলেছে ‘ভোটে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ’ ছিল, যা আসলে ছিল সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ২০২০ সালের নির্বাচনে জয়কে প্রশ্নবিদ্ধ করতে ট্রাম্প ও তার সহযোগীদের প্রচার করা এক মিথ্যা দাবি। সেই নিবন্ধে ট্রাম্পের এ দাঙ্গাকে উসকে দেওয়ার ভূমিকাকেও হালকাভাবে দেখিয়েছে গ্রকিপিডিয়া।

গ্রকিপিডিয়ার নিবন্ধে বলা হয়েছে, ৬ জানুয়ারির ‘ঘটনাকে ঘিরে এখনও বিতর্ক চলছে। কেউ কেউ মনে করেন এটি ছিল নির্বাচনে অনিয়মের প্রতিবাদ জানাতে এক ধরনের বৈধ আন্দোলন, আবার অন্যরা বলছেন, এটি ছিল গণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের বিরুদ্ধে পূর্বপরিকল্পিত হামলা। প্রচলিত বা মূলধারার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম নাকি হামলায় হতাহতের সংখ্যা ও ঘটনার উদ্দেশ্যমূলকভাবে অতিরঞ্জিত করে দেখিয়েছে। কিন্তু একই সঙ্গে তারা নির্বাচন তদারকিতে ব্যর্থতা ও দাঙ্গা প্রতিরোধে দুর্বলতার বিভিন্ন দিককে যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়নি’।

এদিকে, এরইমধ্যে গ্রকিপিডিয়ার বিরুদ্ধে ভুল বা বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচারের অভিযোগ করেছেন কিছু সাংবাদিক। গ্রকিপিডিয়ার এক নিবন্ধে দাবি করেছে, পর্নোগ্রাফি নাকি এইডস মহামারিকে আরও খারাপ করে তুলেছিল, যা বাস্তবে ভিত্তিহীন বা ভুল তথ্য বলে সাংবাদিকদের অভিযোগ।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT