রবিবার ২২ জুন ২০২৫, ৮ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পিছু হটছেন ট্রাম্প, নিরস্ত্রীকরণ ছাড়াই হামাসের সঙ্গে চুক্তির পরিকল্পনা

প্রকাশিত : ০৯:১৮ পূর্বাহ্ণ, ১৩ মে ২০২৫ মঙ্গলবার ২৯ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

ফিলিস্তিনের গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানোর জন্য হামাসের নিরস্ত্রীকরণের দাবি প্রত্যাহারের কথা বিবেচনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। যদিও এতদিন যুদ্ধবিরতির শর্ত হিসেবে হামাসকে অস্ত্র সমর্পণের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল। তবে হামাস এ ব্যাপারে নমনীয় না হওয়ায় নতুন চিন্তা করছে ট্রাম্প প্রশাসন।
গাজায় যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতা প্রচেষ্টার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল-আরাবি আল-জাদিদ।

গণমাধ্যমটির বরাত দিয়ে মিডল ইস্ট মনিটর এক প্রতিবেদনে বলেছে, আরব ও মিশর সূত্র জানিয়েছে, মার্কিন সরকার যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছানোর পূর্বশর্ত হিসেবে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাসের নিরস্ত্রীকরণের দীর্ঘ দিনের দাবি প্রত্যাখ্যান করতে প্রস্তুত।

সূত্রগুলো জানিয়েছে, আলোচনায় জড়িত ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতিনিধিরা মিশরীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। হামাসের প্রাথমিক নিরস্ত্রীকরণের সম্ভাব্য ছাড় মার্কিন সরকারের একযোগে সব ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্তির জন্য একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর চেষ্টা বলে জানা গেছে।

সূত্রগুলো জানায়, ওয়াশিংটনের দৃষ্টিভঙ্গির এই পরিবর্তনের কারণ হলো মার্কিন প্রেসিডেন্টের অভ্যন্তরীণ মহলের মধ্যে সচেতনতা যে গাজায় বন্দি ইসরাইলি জিম্মিদের বাঁচাতে কোনো সামরিক বিকল্প সহায়তা করবে না। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ মহলের মধ্যে ক্রমবর্ধমান এই ধারণা যে ইসরাইল এবং দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু মার্কিন সরকার এবং ট্রাম্পের প্রতি অত্যধিক কর্তৃত্ববাদী এবং কৌশলী আচরণ করছেন।

প্রসঙ্গত, গাজায় দীর্ঘ ১৫ মাস সামরিক অভিযানের পর যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইসরাইল। তারপর প্রায় দুই মাস গাজায় কম-বেশি শান্তি বজায় ছিল; কিন্তু গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারের প্রশ্নে হামাসের মতানৈক্যকে কেন্দ্র করে মার্চ মাসের তৃতীয় গত সপ্তাহ থেকে ফের গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরাইল।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় নতুন করে শুরু হওয়া ইসরাইলি বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত দুই হাজার ৭৪৯ ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও সাত হাজার ৬০০ জন আহত হয়েছেন। ইসরাইলের বর্বর এই হামলা চলতি বছরের জানুয়ারিতে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে দিয়েছে।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT