সোমবার ২০ অক্টোবর ২০২৫, ৪ঠা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অর্থসংকটে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বড় ছাঁটাই

প্রকাশিত : ০৭:০৩ পূর্বাহ্ণ, ২০ অক্টোবর ২০২৫ সোমবার ৩ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

তহবিল ঘাটতির কারণে বিশ্বব্যাপী সংকটে পড়েছে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন। সদস্য রাষ্ট্রগুলো নির্ধারিত চাঁদা পুরোপুরি না দেওয়ায় এবং চাঁদা দিতে দেরি করায় টহল কমানো বা মাঠ পর্যায়ের অফিস বন্ধ করার মতো পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও ভাবছে জাতিসংঘ। এছাড়াও হাজার হাজার শান্তিরক্ষী, বা ‘ব্লু হেলমেট’দের দেশে ফেরানোর নিয়েও চলছে আলোচনা। এক প্রতিবেদনে এমনটা জানিয়েছে ইউএন নিউজ।

জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা প্রধান জ্যাঁ-পিয়ের লাখ্রোয়া এই সংকটকে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি কঠিন বলে বর্ণনা করেছেন। মূলত বিশ্বের অস্থিতিশীল অঞ্চলে জাতিসংঘের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বাধ্যতামূলকভাবে সদস্য রাষ্ট্রদের চাঁদা প্রদান করতে হয়। কিছু সদস্য রাষ্ট্র রাষ্ট্র তাদের নির্ধারিত চাঁদা পুরোপুরি না দেওয়ায় ২০২৫-২৬ সালের অনুমোদিত বাজেটে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। যার কারণে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

চলতি সপ্তাহে নয়াদিল্লিতে শান্তিরক্ষা বিষয়ক এক সম্মেলনে প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা ও কূটনীতিকদের উদ্দেশে বক্তব্য দিতে গিয়ে একই সতর্কবার্তা পুনর্ব্যক্ত করেন জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা প্রধান। তিনি বলেন, ‘দুঃখজনকভাবে, আমাদের আর কোনো বিকল্প নেই। আমাদের শান্তিরক্ষীরা— আপনাদের শান্তিরক্ষীরাও— মানুষকে রক্ষা করেন। তারা শত-সহস্র বেসামরিক নাগরিকের জীবন ও মৃত্যুর পার্থক্য গড়ে দেন।’

তিনি সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে তাদের দায়বদ্ধতা সম্পূর্ণ করার আহ্বান জানান।

জাতিসংঘ মহাসচিব সব মিশনকে নির্দেশ দিয়েছেন যেন তারা তাদের বার্ষিক বাজেটের ১৫ শতাংশ সমপরিমাণ ব্যয় কমানোর উপায় খুঁজে বের করে। সময়ের সীমাবদ্ধতার কারণে এই সিদ্ধান্তের ফলে সামরিক ও বেসামরিক কর্মীর সংখ্যা প্রায় ২৫ শতাংশ কমে যাবে।

এছাড়াও পেট্রোল, সুরক্ষা, লজিস্টিক, বিমান অপারেশন এবং নিরস্ত্র সহায়তা কার্যক্রমসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র প্রভাবিত হতে পারে। বিশেষ করে কঙ্গো, দক্ষিণ সুদান, মধ্য আফ্রিকার প্রজাতন্ত্র, লেবানন ও গোলান মালভূমির মিশনগুলোতে প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

লাখ্রোয়া সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রতি সময়মতো অর্থ প্রদানের আবেদন জানান। এছাড়াও শান্তিরক্ষা কার্যক্রম নিয়ে মিথ্যাচার ও ভুল তথ্য ছড়ানোর প্রচেষ্টা রোধ করার প্রয়োজনীয়তার ওপরেও জোর দেন তিনি।

এর আগে গত সপ্তাহে মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসও শান্তিরক্ষা মিশনগুলো কার্যকরভাবে চালাতে যথাযথ এবং সময়মতো তহবিল অপরিহার্য উল্লেখ করেন।

সাইপ্রাসের জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীর সাবেক প্রধান কলিন স্টুয়ার্ট বলেন, শান্তিরক্ষা মিশনগুলো এখনো কেন প্রয়োজন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। এর উত্তর সহজ, কারণ মিশনগুলো তাদের কাজ করছে বিধায় শান্তি বজায় রয়েছে। যদি না থাকে তবে পারস্পরিক মতবিরোধ বা অবিশ্বাস সহজেই সংঘাতে রূপ নিতে পারে।

https://www.deshrupantor.com/631409

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT