রবিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিতর্কিত মন্তব্যের অভিযোগে পাকিস্তানি আলেম আলি মির্জা গ্রেফতার

প্রকাশিত : ০৯:৫৩ পূর্বাহ্ণ, ২৭ আগস্ট ২০২৫ বুধবার ১৫ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

পাকিস্তানের ধর্মীয় বক্তা ও ইউটিউবার ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ আলি মির্জাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জেলম শহরের এই আলেমের বিরুদ্ধে অভিযোগ—তিনি ভিডিও বক্তব্যে নবী মুহাম্মদ (সা.)–কে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর বিভিন্ন ধর্মীয় গোষ্ঠী তার বিরুদ্ধে মামলা করে।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। খবর সামা টিভির।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৩১ লাখেরও বেশি ইউটিউব সাবস্ক্রাইবার থাকা ইঞ্জিনিয়ার মির্জাকে জনশৃঙ্খলা রক্ষা অধ্যাদেশের আওতায় ৩০ দিনের জন্য আটক করা হয়েছে। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

পাকিস্তানি দৈনিক ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই অধ্যাদেশ অনুযায়ী জননিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে কর্তৃপক্ষ কাউকে আটক রাখতে পারে। তবে মানবাধিকার সংস্থা ‘অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল’ ও ‘হিউম্যান রাইটস ওয়াচ’ সহ অনেকের মতে, এই আইন অস্পষ্ট এবং কর্তৃত্ববাদী সরকারগুলোর হাতে এটি প্রায়ই দমননীতির অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

আলি মির্জা জেলম শহরের মেশিন মহল্লার বাসিন্দা। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ইউটিউবে ধর্ম ও সমাজ নিয়ে বক্তৃতা দিয়ে আসছেন। খোলামেলা ভাষার জন্য যেমন তিনি জনপ্রিয় হয়েছেন, তেমনি বারবার বিতর্কেও জড়িয়েছেন। তাকে একাধিকবার হত্যাচেষ্টার ঘটনাও ঘটেছে।

সর্বশেষ ঘটনা সম্পর্কে জানা গেছে, সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন—একটি বিশেষ সম্প্রদায় নবীকে ভিন্ন নামে সম্বোধন করে থাকে। কথা প্রসঙ্গে ওই নামটি মির্জা উচ্চারণ করায় ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলো এটিকেই অবমাননা হিসেবে ধরে নেয় এবং তার বিরুদ্ধে মামলা করে।

আইন বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, মির্জার গ্রেফতার মূলত স্বাধীন কণ্ঠস্বর দমনের অংশ। লাহোরের আইনজীবী জে সাজ্জাল শাহিদি সামাজিকমাধ্যমে লিখেছেন, ‘এটি জনশৃঙ্খলা রক্ষার বিষয় নয়, বরং সেসব কণ্ঠস্বরকে স্তব্ধ করার প্রয়াস, যারা রাষ্ট্রীয়ভাবে অনুমোদিত আলেমদের আধিপত্যকে প্রশ্ন করার সাহস রাখে। অথচ সহিংস সংগঠনগুলো বারবার ছাড় পায়।’

ইঞ্জিনিয়ার মির্জার বিতর্কিত ইতিহাসও দীর্ঘ। ২০২০ সালে তিনি ধর্মীয় ব্যক্তিত্বদের বিরুদ্ধে মন্তব্য করায় গ্রেফতার হয়েছিলেন। ২০২১ সালে জেলমের এক ধর্মীয় একাডেমিতে তার ওপর হামলার চেষ্টা চালানো হয়। একই বছরে তিনি দেওবন্দি আলেম তারিক মাসুদের সঙ্গে মুয়াবিয়া ইবনে আবি সুফিয়ানের বিষয়ে তীব্র মতবিরোধে জড়িয়ে পড়েন। আবার ২০২৩ সালে বেরেলভি আলেম হানিফ কোরেশির সঙ্গে নির্ধারিত বিতর্কে অংশ নিতে অস্বীকৃতি জানালে নতুন করে সমালোচনার মুখে পড়েন।

এর আগেও তার বিরুদ্ধে একাধিকবার ধর্ম অবমাননার মামলা হয়েছে। ২০২৪ সালের মহররম মাসে সম্ভাব্য সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ঠেকাতে প্রশাসন মির্জাসহ আরও ১৭ জন আলেমের বক্তৃতা নিষিদ্ধ করেছিল।

একদিকে বিশাল অনলাইন অনুসারী, অন্যদিকে বিতর্কিত বক্তব্য—এই দুইয়ের টানাপোড়েনে ইঞ্জিনিয়ার আলি মির্জা এখন পাকিস্তানের ধর্মীয় অঙ্গনে সবচেয়ে আলোচিত আলেমদের একজন হয়ে উঠেছেন।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT