সোমবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩১শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফিলিস্তিনি শিশুদের ‘মৃত্যুদণ্ড’র পরামর্শ, ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতের

প্রকাশিত : ০৪:৪৫ পূর্বাহ্ণ, ২৭ মার্চ ২০২৫ বৃহস্পতিবার ৭৬ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ‘বন্দুক’ বা ‘গ্রেনেড’ হাত দিয়ে ধরার জন্য ফিলিস্তিনি শিশুদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পরামর্শ দিয়েছেন অস্ট্রিয়ায় নিযুক্ত ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত ডেভিড রোয়েট।

এই বিতর্কিত পরামর্শ তিনি ইউরোপের দেশ ইনসব্রুকে ইহুদি সম্প্রদায়ের সঙ্গে এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে উত্থাপন করেন। বৈঠকটি ছিল একটি বন্ধ পরিবেশে, যেখানে রোয়েটের বক্তব্য গোপনে রেকর্ড করা হয়েছিল এবং পরবর্তীতে তা ফাঁস হয়ে সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়।

ভিডিও বার্তায় ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত দাবি করেন, গাজার শিশুদের হাতে অস্ত্র বা গ্রেনেড বহনের কোনো প্রমাণ তিনি উপস্থাপন করতে পারেননি, কিন্তু তবুও তিনি এমন একটি পরামর্শ দিয়েছেন, যা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে চরম বিতর্কের সৃষ্টি করেছে।

রোববার (২৩ মার্চ) মধ্যপ্রাচ্যের সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট মনিটর এই ভিডিও প্রকাশ করে, যা আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক ক্ষোভের জন্ম দেয়।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৮ মার্চ ভোরে, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে ভয়াবহ হামলার দুই দিন পর এই ভিডিওটি রেকর্ড করা হয়।

ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত এই সময় বেসামরিক হতাহতের বিষয়ে আন্তর্জাতিক উদ্বেগকে অগ্রাহ্য করে, সাফ জানিয়ে দেন, ‘আপনি বিশ্বাস করছেন যে ইসরায়েল ইচ্ছাকৃতভাবে শিশুদের লক্ষ্যবস্তু করছে, যা সঠিক নয়।’

প্রসঙ্গত, জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক তহবিল (ইউনিসেফ) এর এক সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে গণহত্যা শুরুর পর থেকে ইসরাইলি বাহিনী গাজায় সাড়ে ১৪ হাজারেরও বেশি শিশুকে হত্যা করেছে। বর্তমানে এই সংখ্যাটি বেড়ে ১৫ হাজার ৬১৩ জনে দাঁড়িয়েছে।

সংবাদমাধ্যমটির রেকর্ডিংটি ফাঁসকারী অজ্ঞাতনামা কর্মীকে উদ্ধৃত করে জানায়, ‘রোয়েট যখন এই বক্তব্য দিয়েছিলেন, তার কণ্ঠস্বর ছিল শান্ত। তিনি যখন শিশুদের মৃত্যুদণ্ডের পরামর্শ দেন, তখন উপস্থিত অন্যরা কোনো প্রতিবাদ করেনি। এটি আমাকে গভীরভাবে চিন্তা করতে বাধ্য করেছে যে, যখন কিছু মানুষ যুদ্ধাপরাধের পরামর্শ দেন, তখন বিষয়টি কতটা কলুষিত হতে পারে।’

রোয়েটের বক্তব্যের পর আন্তর্জাতিক মহলে ক্ষোভের ঝড় ওঠে এবং এই মন্তব্যের জন্য তাকে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ধরনের বক্তব্য কেবল একে অপরের প্রতি ঘৃণা এবং সহিংসতার মন্ত্রই প্রচার করে, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT