সোমবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩১শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইরানের বিরুদ্ধে একাট্টা হয়ে লড়াইয়ের প্রতিশ্রুতি নেতানিয়াহু-রুবিওর

প্রকাশিত : ০৮:৫৫ পূর্বাহ্ণ, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ সোমবার ৬৪ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, তার দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে ইরানের বিরুদ্ধে লড়াই সম্পন্ন করবে।

রোববার জেরুজালেম সফররত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

নেতানিয়াহু এ সময় বলেন, গত ১৬ মাসে ইসরাইল ইরানের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে শক্তিশালী আঘাত হেনেছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নেতৃত্বে এবং আপনাদের (আমেরিকার) অবিচল সমর্থনে, আমি নিশ্চিত যে, আমরা এই কাজ শেষ করতে পারব।

তিনি আরও যোগ করেন, ‘ইসরাইল এবং আমেরিকা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ইরানের হুমকির মোকাবিলা করছে।

তার এই মন্তব্য ইসরাইল ও ইরানের মধ্যে চলমান উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে দিতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সেই সঙ্গে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের আশঙ্কাও দেখা দিচ্ছে।

এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এ সময় ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে বলেন, ‘ইরানকে পারমাণবিক ক্ষমতাধর হতে দেওয়া যাবে না।’

সংবাদ সম্মেলনে রুবিও জানান, তিনি নেতানিয়াহুর সঙ্গে একমত যে, ইরান মধ্যপ্রাচ্যের ‘সবচেয়ে বড় অস্থিতিশীলতার উৎস’।

গাজা, ইরান ও লেবানন যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা

এর আগে মার্কো রুবিও ও নেতানিয়াহুর মধ্যকার বৈঠকে গাজা, ইরান ও লেবাননে চলমান যুদ্ধবিরতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

নেতানিয়াহু বলেন, ‘গাজা ইস্যুতে আমরা এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সম্পূর্ণ সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করছি’।

বর্তমানে ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে ১৫ মাসের যুদ্ধের পর একটি নাজুক যুদ্ধবিরতি কার্যকর রয়েছে। রুবিওর সফরের সময় ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা গাজায় আটক থাকা আরও ৬ জীবিত বন্দিকে মুক্ত করার বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন।

রুবিওর মধ্যপ্রাচ্য সফর ও যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান

রুবিও শনিবার রাতেই তেল আবিবে পৌঁছান, যা তার প্রথম মধ্যপ্রাচ্য সফর। এ সফরের অংশ হিসেবে তিনি মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দেওয়ার পর ১৩-১৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ইসরাইল, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার এবং সৌদি আরব সফর করবেন।

এর আগে শনিবারই মুক্তি পেয়েছেন সাশা ট্রুপানোভ, সাগুই ডেকেল চেন ও আইয়ার হর্ন নামের তিন ইসরাইলি জিম্মি। এর আগে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দেন যে, শনিবার সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে (ইসরাইলি সময়) বন্দিরা মুক্ত না হলে, যুক্তরাষ্ট্র নেতানিয়াহুর যেকোনো সিদ্ধান্তকে পূর্ণ সমর্থন দেবে। সূত্র: জেরুজালেম পোস্ট

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT