সোমবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩১শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম
◈ ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতিতে ধ্বংস হচ্ছে শিক্ষাব্যবস্থা: বদিউল আলম ◈ সার্কিট ব্রেকারের শীর্ষে চার কোম্পানির শেয়ার ◈ নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী ৬ মাসের মধ্যে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন ◈ গাজায় ইসরায়েলের জাতিগত নিধন অভিযানে যুক্তরাষ্ট্র জড়িত ◈ ইসরাইলের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে কাতারের প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান ◈ স্ত্রী-সন্তানকে হত্যার পর যুবকের আত্মহত্যা: পুলিশ ◈ ভারি বৃষ্টিপাতে প্লাবিত হতে পারে ৯ জেলার নিম্নাঞ্চল ◈ টাইফয়েডের টিকা পাবে ৪ কোটি ৯০ লাখ শিশু, দিবে যেদিন থেকে ◈ মেগাসিরিয়াল ‘খুশবু’র আইটেম গানে মাহি ◈ মৃত্যুর পাঁচ বছর পর এন্ড্রু কিশোরকে কর পরিশোধের নোটিশ

ইসরায়েলি সেনারা যেভাবে সিনওয়ারের সন্ধান পেয়েছিল

প্রকাশিত : ০৮:২১ পূর্বাহ্ণ, ২০ অক্টোবর ২০২৪ রবিবার ৯১ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

ইয়াহিয়া ইব্রাহিম হাসান সিনওয়ার ছিলেন একজন ফিলিস্তিনি নেতা এবং রাজনীতিবিদ। স্বাধীনতাকামী এই নেতাকে নিয়ে ধারণা করা হচ্ছিল, দীর্ঘ সময় মাটির নিচে হামাসের তৈরি সুড়ঙ্গের মধ্যে একদল দেহরক্ষী এবং ইসরায়েলি জিম্মিদের ‘মানবঢাল’ বানিয়ে আত্মগোপনে ছিলেন তিনি।

তবে মৃত্যুর আগে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার মুখে মাত্র তিনজন সঙ্গীকে নিয়ে একটি ভবনের কক্ষে প্রবেশ করলেও শেষ মুহূর্তে তিনি ছিলেন একা। সিনওয়ারের অবস্থান শনাক্তকারী ড্রোনের ক্যামেরায় এই নেতাকে হত্যার আগের মুহূর্তের ভিডিও এমন তথ্যই প্রকাশ করেছে।

বলা হয়ে থাকে, গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালানোর মূল কারিগর বলে মনে করা হয় সিনওয়ারকে। গত জুলাইয়ে তেহরানে হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়া হত্যার শিকার হলে ৬১ বছর বয়সী সিনওয়ারকে হামাসের সামগ্রিক নেতা হিসেবে ধরে নেওয়া হয়। ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ নিশ্চিত করেন, বুধবার সেনারা সিনওয়ারকে হত্যা করেছে।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফও বলছে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে হামাসের শীর্ষ নেতাদের অবস্থান শনাক্তের পর ইসরায়েলি সেনারা দক্ষিণ গাজায় অভিযান চালায়। আইডিএফের ৮২৮ ব্রিগেডের সেনারা সেখানে তিনজনের অবস্থান শনাক্ত এবং তাদের হত্যা করা হলে ডিএনএ পরীক্ষা করে তাদের মধ্যে একজনকে সিনওয়ার বলে নিশ্চিত করা হয়।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী জানায়, তাদের ৮২৮তম ব্রিগেডের একটি ইউনিট বুধবার রাফার তাল আল-সুলতান এলাকায় টহল দিচ্ছিল। ওই সময় সেখানকার একটি ভবনে অভিযান চালানো হলে ওই ভবনে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে হত্যা করা হয়। ওই তিনজনের মধ্যে একজনের সঙ্গে হামাস নেতা সিনওয়ারের শারীরিক গঠনের মিল পান ইসরায়েলি সেনারা। পরে সেই মৃতদেহের আঙুলের একটি অংশ পরীক্ষার জন্য ইসরায়েলে পাঠানো হয়। আরও পরে ওই এলাকার পুরো নিয়ন্ত্রণ নিয়ে হামলায় প্রায় ধ্বংস হয়ে যাওয়া ভবন থেকে মৃতদেহগুলো বের করে ইসরায়েলে নিয়ে যায় অভিযান পরিচালনাকারী সদস্যরা। ইসরায়েলেই ডিএনএ পরীক্ষা করে এবং ড্রোনের ভিডিও ও কয়েকটি গ্রাফিতি ছবির সাহায্যে সিনওয়ারের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়।

আইডিএফের মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি এ নিয়ে জানান, ওই ভবনে যে সিনওয়ার আছেন, সেটি তাদের বাহিনী নিশ্চিতভাবে জানত না। তাদের অভিযান শুরু হলে তিনজন বন্দুকধারীকে এক ঘর থেকে আরেক ঘরে দৌড়াতে দেখেছে সেনারা। একবার গুলি চালানো হলে তারা বিচ্ছিন্ন হয়ে যান ও সিনওয়ার একা ভবনের একটি কক্ষে প্রবেশ করেন। এরপর একটি ড্রোন দিয়ে তার অবস্থান শনাক্ত করে তাকে হত্যা করা হয়।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT