মঙ্গলবার ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ১৯শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আসিয়ান সেক্টরাল অংশীদার হতে মালয়েশিয়ার সমর্থন চায় বাংলাদেশ

প্রকাশিত : ০৯:২০ পূর্বাহ্ণ, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ বুধবার ৮৬ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংস্থা আসিয়ানের সেক্টরাল অংশীদার হতে মালয়েশিয়ার সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ। কেননা আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে আসিয়ানের সভাপতিত্ব করতে যাচ্ছে মালয়েশিয়া।

আগামী বছর মালয়েশিয়া চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিলে ১০টি দেশের বিবেচনার জন্য ঢাকার আবেদন ভালো অবস্থান থাকবে বলে জানান মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান।

৯ সেপ্টেম্বর মালয়েশিয়ার জাতীয় সংবাদ সংস্থা বারনামা টেলিভিশনের ‘দ্য নেশন’ অনুষ্ঠানে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা জানান।

শামীম আহসান বলেন, দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থায় (সার্ক) বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানের পরিপ্রেক্ষিতে আসিয়ানের সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে অর্থনৈতিক সুবিধা পাওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা আসিয়ানের সেক্টরাল সংলাপ অংশীদার হতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞা। কারণ বর্তমানে সংলাপ অংশীদার হওয়ার ওপর একটি স্থগিতাদেশ থাকলেও সংলাপ খাতের অংশীদার হওয়ার পথ খোলা আছে। এখন বাংলাদেশকে খাতভিত্তিক সংলাপের অংশীদার হতে দিতে তাদের (আসিয়ান) ঐকমত্য প্রয়োজন।

সেক্টরাল সংলাপ অংশীদারদের মর্যাদা উভয়পক্ষকে জড়িত করে অনেক বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগ উন্মুক্ত করবে। আসিয়ানের অন্যান্য খাতভিত্তিক সংলাপ অংশীদারদের মধ্যে রয়েছে- তুরস্ক, মরক্কো, পাকিস্তান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সুইজারল্যান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকা।

মালয়েশিয়ার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে শামীম আহসান বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে মালয়েশিয়ার অত্যন্ত চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে এবং সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র অনুসন্ধানের মাধ্যমে এটি আরও জোরদার ও সম্প্রসারণে ভূমিকা রাখবে।

মালয়েশিয়া একটি প্রধান বাণিজ্য দেশ এবং আসিয়ানের বাণিজ্যের জন্য একটি আঞ্চলিক কেন্দ্র এবং ভারতের পরে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় মালয়েশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার। ২০২২ সালে বাংলাদেশে মালয়েশিয়ার রফতানি ৪.২৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে এবং মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের রফতানির মূল্য ৩১৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (১.৪ বিলিয়ন রিঙ্গিত)।

মালয়েশিয়া বাংলাদেশে অষ্টম বৃহত্তম বিনিয়োগকারী দেশ যেখানে প্রায় ৪০০ মালয়েশিয়ান কোম্পানি সেখানে নিবন্ধিত রয়েছে।

হাইকমিশনার বলেন, শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চলতি বছরের শেষনাগাদ মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। সফর সফল করতে আমরা এরই মধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ করছি। এ রকম একটি সফর দীর্ঘ সময়ের জন্য বিলম্বিত হয়েছে এবং যখন এটি হবে, এটি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পূর্ণতা বাড়াবে; কারণ সেখানে বেশ কয়েকটি (অর্থনৈতিক সহযোগিতা) স্বাক্ষরিত হবে, যা আমাদের অর্থনৈতিক সম্পর্ককে আরও উচ্চতায় নিয়ে যাবে।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT