রবিবার ০২ নভেম্বর ২০২৫, ১৭ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম
◈ গণভোট ইস্যুতে মুখোমুখি বিএনপি-জামায়াত ◈ শাহজালালে যাত্রীর পাকস্থলীতে মিলল ৬৩৭৮ ইয়াবা ◈ চলতি বছর স্বর্ণের দাম বেড়েছে ৫০ বার, কমেছে কত বার? ◈ সকাল ৯টার মধ্যে ঢাকাসহ যেসব জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস ◈ বিএনপির একজন নেতার চাঁদাবাজির টাকা দিয়েই গণভোট আয়োজন সম্ভব: পাটওয়ারী ◈ ঢাকায় জুলাইযোদ্ধা শাফিনের রহস্যজনক মৃত্যু ◈ জামায়াত নিষিদ্ধে আলালের বক্তব্যে প্রতিক্রিয়া জানালেন আবদুল হালিম ◈ বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে বোঝাপড়া হচ্ছে বলে শুনতে পাচ্ছি: পাটওয়ারী ◈ জামায়াত-বিএনপি ও এনসিপির কাঠামোর মধ্যে নির্বাচন সম্ভব নয়: জাপা মহাসচিব ◈ নির্বাচন কমিশন ভাগাভাগি হয়ে গেছে: হাসনাত

মায়ের চিকিৎসার জন্য ঢাকায় চাকরি নেওয়া সোহাগ গুলিতে নিহত

প্রকাশিত : ০৫:৫৩ পূর্বাহ্ণ, ৩১ জুলাই ২০২৪ বুধবার ১০৯ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

কুমিল্লার দেবিদ্বারের সূর্যপুর গ্রামের হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান কাদির হোসেন সোহাগ। বাবার মৃত্যুর পর অসুস্থ মায়ের চিকিৎসা ও পরিবারের খরচ জোগাতে লেখাপড়া ছেড়ে যোগ দেন একটি কুরিয়ার সার্ভিসে। থাকতেন ঢাকার গোপীবাগে একটি মেসে। কিন্তু কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে গুলিতে জীবন অবসান হয়েছে তার। পরিবারের দাবি, ২০ জুলাই রাত ৮টার দিকে খাবার কিনতে বের হয়ে গোপীবাগ এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন সোহাগ। স্থানীয়রা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। খবর পেয়ে ছুটে যান ছোট ভাই সহিদুল ইসলাম।

রাত সোয়া ৩টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সোহাগ। পরদিন দুপুরে দেবিদ্বারের ভানী ইউনিয়নের সূর্যপুরে পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়।

সহিদুল ইসলাম বলেন, আমার ভাই কোনো রাজনীতি করতেন না। তার চাকরির টাকায় আমি ও মা দুবেলা দুমুঠো ভাত খেতাম।

সহিদুল বলেন, ভাই গুলিবিদ্ধ হয়েছে খবর দেন তার মেসের বন্ধুরা। আমি রাত ৩টার দিকে ঢাকা মেডিকেলে গিয়ে দেখি ভাইয়ের বুকে ব্যান্ডেজ। আমাকে দেখে ভাই বলেন, তুই এত রাতে এখানে কেন এসেছিস। তুই মাকে দেখে রাখিস।

পুলিশ আমাকে গুলি করেছে। আমি কোনো আন্দোলন করতে যাইনি। খাবার কিনতে গিয়েছিলাম।

সহিদুল আরও বলেন, রাত ৩টা ১৫ মিনিটে আমার চোখের সামনে ভাই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। বাবা ও ভাই হারিয়ে আমরা আজ নিঃস্ব হয়ে গেলাম। এখন আমাদের কে খাওয়াবে? কে মায়ের চিকিৎসা করাবে? আমার নিরপরাধ ভাইকে কেন গুলি করা হলো?

গ্রামের বাড়িতে মঙ্গলবার দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, নিহত সোহাগের মা ও ছোট ভাইয়ের আহাজারিতে বাতাস ভারি হয়ে উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, অত্যন্ত ভদ্র ও শান্ত ছিলেন সোহাগ। নিরীহ এ যুবকের মৃত্যু কেউ মেনে নিতে পারছেন না। এ অবস্থায় এ পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান এলাকার লোকজন।

এ বিষয়ে দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিগার সুলতানা বলেন, আমরা নিহতদের খোঁজ নিচ্ছি। তাদের সহযোগিতার বিষয়ে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে সুপারিশ করা হবে।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT