মঙ্গলবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১লা আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম
◈ চাকসু নির্বাচন: দ্বিতীয় দিনে ১৪১ জনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ◈ নারায়ণগঞ্জে ফ্ল্যাটে স্বামী-স্ত্রী ও চার বছরের শিশুর লাশ ◈ ‘সরকারি বেতন-রেশন খাস না, গুলি করবি না কেন?’ ◈ প্রশাসনের ১৭ কর্মকর্তাকে বিভিন্ন দূতাবাসে বদলি, তালিকা প্রকাশ ◈ একদিনে ৩৫ কোটি ৩০ লাখ ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ◈ টানা ৫ দিন বৃষ্টির আভাস ◈ সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরের ফ্ল্যাট-জমি জব্দ, ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ ◈ শুধু নিন্দা জানিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকানো সম্ভব নয়: মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ◈ নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রীরও পদত্যাগ চায় জেন-জি ◈ গেমিং অ্যাপ ব্যবহার করে যেভাবে প্রধানমন্ত্রী বেছে নিল নেপালের জেন-জিরা

মিয়ানমার পরিস্থিতি কমেছে গোলাগুলি, আরও ৬৪ জনের অনুপ্রবেশ

প্রকাশিত : ০৮:৪২ পূর্বাহ্ণ, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ বৃহস্পতিবার ৯৫ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

মিয়ানমার সীমান্তে গেল মঙ্গলবার রাত থেকে গোলাগুলি কিছুটা কমেছে। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে পরাস্ত করে আরাকান আর্মি সীমান্তে তাদের ক্যাম্প দখল করে নিয়েছে। নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার সময় প্রচণ্ড গোলাগুলি হয়েছে। এদিকে মিয়ানমার থেকে আরও ৬৪ জন বিজিপির সদস্য বাংলাদেশে ঢুকেছে।

গতকাল দুপুর দেড়টার দিকে টেকনাফের হোয়াইক্যং সীমান্ত দিয়ে তারা ঢুকেছে। এ নিয়ে মিয়ানমার থেকে আসা বিজিপি, শুল্ক কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন সংস্থার সদস্য দাঁড়াল ৩২৮-এ। এমনকি বিজিপির একটি ব্যাটালিয়নের অধিনায়কও পালিয়ে বাংলাদেশে ঢোকেন। তিনি লে. কর্নেল পদমর্যাদার।

সীমান্তে অস্থিরতার কারণে আগামী শনিবার অনির্দিষ্টকালের জন্য টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন অভিমুখে জাহাজ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

তুমব্রু এলাকার সীমান্ত-লাগোয়া জনপদে বাস করেন এমন ১৫ জনের সঙ্গে গতকাল কথা বলেছে । তাদের একই ভাষ্য, আরাকান আর্মি মিয়ানমার সীমান্তে বিজিপির কাছ থেকে ক্যাম্পের দখল পুরোপুরি নিয়ে গেছে। এ কারণে গোলাগুলির মাত্রা কমেছে। এখন হয়তো জান্তা সরকার নিয়ন্ত্রণ পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য নতুন কোনো কৌশল নিতে পারে। তবে মিয়ানমারের সীমান্তরেখা সরকারি বাহিনীর হাতে নেই। নাইক্ষ্যংছড়ির ওপারে মিয়ানমারের যে সীমানারেখা থেকে শুরু করে টেকনাফের আগে হোয়াইক্যং সীমান্তের ওপার পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ বিদ্রোহীরা নিয়েছে। এখন তারা টেকনাফের ওপারে মিয়ানমারের সীমানা ধরে এগোচ্ছে।

সীমান্ত ঘুরে যা দেখা গেল

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রুর বাইশফাঁড়ি গ্রামে পরিবার নিয়ে প্রতিবন্ধী আবদুল মালেকের বাস। বাইশফাঁড়ি সেতুর অদূরে ৪-৫টি ছোট ছোট দোকানঘর। সেখানেই রাস্তার পাশে বেগুনি, পেঁয়াজু ও গুলগুলা বিক্রি করেন মালেক। তুমব্রুতে জন্মভিটে হওয়ায় সীমান্ত এলাকার অনেক ঘটনার সাক্ষী তিনি। গতকাল নিজ দোকানে বসেই খুললেন গল্পের ঝাঁপি। বললেন, সীমান্তের লোক হওয়ায় ওপারের গোলাগুলির মধ্যেই বাস করতে হয়। তবে এ দফায় যেভাবে ওপার থেকে গোলা এসে একের পর এক পড়তে শুরু করল, আমিও ভয় পেয়ে গেছি। চার দিন আগে স্ত্রী ও সন্তানদের পালংখালিতে আত্মীয়র বাসায় রেখে এসেছি। মঙ্গলবার রাত থেকে গুলির শব্দ কম হচ্ছে। তাই পালংখালি থেকে বাড়িতে ফেরত এসেছি। গোলাগুলি কমে যাওয়া এবং সীমানার ওপারে ক্যাম্পে যারা ঘোরাঘুরি করছে তা দেখে মনে হচ্ছে, মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে পরাস্ত করে আরাকান আর্মি সীমান্তে তাদের ক্যাম্প দখল করে নিয়েছে।

কৃষক শামসুল আলম বলেন, নাসাকা বাহিনী আর আরাকান আর্মির পোশাক আলাদা। কয়েক দিন ধরে সীমান্তের ওপারে বিজিপি ক্যাম্পে আরাকান আর্মির পোশাকে অনেককে অবস্থান নিতে দেখা গেছে। নাসাকার কারও দেখা নেই।

কিশোর আরাফাত হোসেনের বাড়ি নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমে। পেশায় অটোরিকশাচালক। সীমান্তের অনেক এলাকা থেকেই মিয়ানমারের বর্ডার আউটপোস্ট (বিওপি) স্পষ্ট দেখা যায়। তুমব্রু পার হতেই দেখা গেল, সীমান্তের কোলঘেঁষে একটি ফসলি মাঠে জনাবিশেক শ্রমিক কাজ করছেন। অদূরে কাঁটাতার, যা বাংলাদেশ-মিয়ানমারকে বিভক্ত করেছে। সেখানেই মনজুর আলমের সঙ্গে কথা হয়। তিনি জানান, কয়েকদিন গোলাগুলি থাকায় ভয়ে ক্ষেত-খামারে কেউ যায়নি। গোলাগুলি বন্ধ হওয়ায় জমি থেকে সবাই মিলে বাদাম তুলছেন। আর কিছুদিন পার হলে সব বাদাম নষ্ট হয়ে যেত। সীমান্তে গোলাগুলির কারণে পরিবারের সবাই কুতুপালং চলে গেছে। তবে মনজুরের মা আমেনা খাতুন তাঁর ভিটেমাটি ছেড়ে কোথাও যাননি। তিনি বলেন, ‘মাকে কোথাও সরানো যায়নি। মরলে নিজের ঘরেই মরবে– এটা বলার পর মাকে অন্য কোথাও নিতে পারিনি।’

পথ চলতে চলতে তুমব্রু সীমান্তের ওপারে পাহাড়ের টিলায় টিলায় মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বেশ কয়েকটি বিওপি চোখে পড়ল। সেখানে ছিল অস্ত্রসহ অনেকের উপস্থিতি। সীমান্তের বাসিন্দারা যাদের বলছেন আরাকান আর্মির সদস্য। এ ছাড়া সীমান্ত এলাকায় বিজিবির সতর্ক পাহারা দেখা গেছে। তুমব্রুর একটি স্কুলেও বিজিবি সদস্যরা রয়েছেন। তুমব্রুর ২ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার দিল মোহাম্মদ। তিনি বলেন, আমার ওয়ার্ডে চার হাজারের মতো লোক। নারী-শিশুরা অন্যত্র চলে গেছে। গোলাগুলি বন্ধ হতে শুরু করলে কেউ কেউ ঘরে ফিরছেন।

আরও ৬৪ জনের অনুপ্রবেশ

মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহীদের সঙ্গে জান্তা সরকারের গোলাগুলি কিছুটা কমে এলেও গতকাল বেলা ১১টার দিকে ঘুমধুমে থেমে থেমে কয়েক দফা ওপার থেকে বিকট শব্দ পাওয়া যায়। এ পরিস্থিতিতে টেকনাফ সীমান্তের হোয়াইক্যং সীমান্ত হয়ে গতকাল আরও ৬৪ বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে ঢুকেছে। পরে তাদের নিরস্ত্রকরণ করে বিজিবি। টেকনাফের ২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ভাষাগত সমস্যার কারণে এখনও সবার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে যেটুকু তথ্য পাচ্ছি, তাতে মনে হচ্ছে সবাই বিজিপি সদস্য।

পালিয়ে আসাদের নিতে প্রস্তুত মিয়ানমার

মিয়ানমার থেকে যারা পালিয়ে এসেছেন, তাদের ফিরিয়ে নিতে প্রস্তুত মিয়ানমার। ঘুমধুম ও তুমব্রু সীমান্ত এলাকা পরিদর্শনের পর ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে সংবাদ সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, দুই দিনের চেয়ে বুধবার ফায়ারিং একটু কম। আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যোগাযোগ হচ্ছে। যারা এখানে এসেছে, তাদের নিতে প্রস্তুত মিয়ানমার। আমরা সে বিষয়ে পরামর্শ করছি।

ওপারে সীমান্তরেখার নিয়ন্ত্রণ আসলে এখন কাদের হাতে, তাদের সঙ্গে যোগাযোগের কোনো সুযোগ আছে কিনা– এমন প্রশ্নে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ‘আমাদের কাছে কিছু তথ্য এসেছে। তার ভিত্তিতে কিছু বলতে চাই না। তুমব্রু বিওপি থেকে আমি যেটা দেখে এলাম, সেখানে রাইট বিজিপি পোস্ট রয়েছে। কিছু লোকজন চলাফেরা করতে দেখা যাচ্ছে। তবে তারা মিয়ানমার আর্মি, বিজিপি নাকি বিদ্রোহী বোঝা যাচ্ছে না। তবে তারা যেই হোক না কেন, আমরা আমাদের সীমানার ভেতরে যেন কোনো ফায়ার না আসে– সেটা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর।’

স্থানীয়রা বলছেন, ক্যাম্পগুলোতে কিছু সশস্ত্র রোহিঙ্গা ঢুকেছে– এ ব্যাপারে প্রশ্ন করলে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ‘আমরা কিছু উচ্ছৃঙ্খল সন্ত্রাসী পেয়েছি। তাদের আমরা পুলিশে হস্তান্তর করেছি। তাদের দুই বা তিনজনের কাছে অস্ত্র ছিল। বাকিরা নিরস্ত্র। আপনারা দেখেছেন, মঙ্গলবারও আমরা দুই দফায় ৭৫ জনকে ফেরত পাঠিয়েছি। যারা নৌকায় বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা করেছিল। সংঘাতটা পুরোপুরি মিয়ানমারের অভ্যন্তরে। তারা যখন বর্ডার লাইনের কিছুটা ভেতরে ফায়ার করে, তখন মর্টার শেল বা অন্য কোনো গোলাবারুদের অংশ বিচ্যুত হয়ে অন্যদিকে চলে যাওয়ার শঙ্কা থাকে।

সেন্টমার্টিনের জাহাজ শনিবার থেকে বন্ধ

সীমান্তে অস্থিরতার কারণে আগামী শনিবার অনির্দিষ্টকালের জন্য টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনের পথে জাহাজ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

এর আগে গতকাল সকালে মিয়ানমার সীমান্তের এ পরিস্থিতিতে সার্বিক নিরাপত্তা বিবেচনায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সেন্টমার্টিন রুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখার পরামর্শ দেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT