মঙ্গলবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১লা আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম
◈ চাকসু নির্বাচন: দ্বিতীয় দিনে ১৪১ জনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ◈ নারায়ণগঞ্জে ফ্ল্যাটে স্বামী-স্ত্রী ও চার বছরের শিশুর লাশ ◈ ‘সরকারি বেতন-রেশন খাস না, গুলি করবি না কেন?’ ◈ প্রশাসনের ১৭ কর্মকর্তাকে বিভিন্ন দূতাবাসে বদলি, তালিকা প্রকাশ ◈ একদিনে ৩৫ কোটি ৩০ লাখ ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ◈ টানা ৫ দিন বৃষ্টির আভাস ◈ সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরের ফ্ল্যাট-জমি জব্দ, ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ ◈ শুধু নিন্দা জানিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকানো সম্ভব নয়: মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ◈ নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রীরও পদত্যাগ চায় জেন-জি ◈ গেমিং অ্যাপ ব্যবহার করে যেভাবে প্রধানমন্ত্রী বেছে নিল নেপালের জেন-জিরা

আন্তর্জাতিক আদালতও মানবে না ইসরাইল

প্রকাশিত : ০৯:০৭ পূর্বাহ্ণ, ১৫ জানুয়ারি ২০২৪ সোমবার ১০০ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

গাজায় নৃশংস হত্যকাণ্ড বন্ধে আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ও মানবে না ইসরাইল। গাজা হামলার শততম দিনের ঠিক আগের সন্ধ্যাতে সে ইঙ্গিতই দিলেন মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ‘কুসন্তান’ ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। আগামী দিনগুলোতে গাজা ধ্বংসে নতুন কর্মসূচির ঘোষণায় বললেন, পুরোপুরি বিজয় অর্জন না হওয়া পর্যন্ত হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাবে ইসরাইল। বিশ্ব আদালত বা অন্য কোনো শক্তি ইসরাইলকে থামাতে পারবে না। শনিবার এক টেলিভিশনে ভাষণে এ ‘চরম বক্তব্য’ দেন নেতানিয়াহু। আলজাজিরা, এএফপি।
বক্তব্যে ইরান ও তার সমর্থন দেওয়া অন্যান্য দলের কথা উল্লেখ করে নেতানিয়াহু বলেন, ‘দ্য হেগ, শয়তানের অক্ষ অথবা অন্য কেউ আমাদের থামাতে পারবে না। বিজয় অর্জন না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যেতে প্রয়োজনীয় সবকিছু আমরা করব।’ বক্তৃতায় তিনি আরও বলেন, ‘গাজায় সামরিক হামলায় ইতোমধ্যেই অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে বেশিরভাগ হামাস সদস্যকে নির্মূল করেছে।’ ‘তবে উত্তর গাজা থেকে যারা বাস্তুচ্যুত হয়েছে তারা শিগগিরই নিজেদের বাড়িতে ফিরে যেতে পারবে না’ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

নেদারল্যান্ডসের হেগে আন্তর্জাতিক আদালতে ইসরাইলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার করা মামলার ২ দিনের শুনানি ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে (১১ ও ১২ জানুয়ারি)।

বিশ্ব আদালতে মামলাটি বছরের পর বছর চলতে পারে। তবে আদালতের অন্তর্র্বর্তী পদক্ষেপের অধীনে ইসরাইলকে আকাশ ও স্থল আক্রমণ বন্ধের নির্দেশ দিয়ে একটি রায় কয়েক সপ্তাহ বা কয়েক দিনের মধ্যে আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে বিশ্ব আদালতের সেই রায় যে মানতেই হবে- কোনো দেশেই এমন বাধ্যবাধকতা নেই।

ইসরাইলের হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। রোববার ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ২৩ হাজার ৯৬৮ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন ৬০ হাজার ৫৮২ জন। এর মধ্যে শুধু গত ২৪ ঘণ্টায় ১২৫ জন নিহত ও ২৬৫ জন আহত হয়েছেন। গাজা যুদ্ধে দিন দিন বিশ্বের সমর্থন হারাচ্ছে ইসরাইল। এমন অবস্থায়ও যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য দেশটির প্রতি সমর্থন বজায় রেখেছে। শনিবার যুদ্ধের ৯৯তম দিনে ইসরাইলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সমর্থনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এদিন ওয়াশিংটনে বিক্ষোভকারীদের অনেকে ফিলিস্তিনি পতাকা ওড়াচ্ছিলেন। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে একটা বড় অংশই ছিলেন তরুণ। বিক্ষোভ চলাকালীন তাদের অনেকেই ঐতিহ্যবাহী কেফিয়াহ পড়েছিলেন। ‘এখনই যুদ্ধবিরতি কার্যকর করুন’ স্লোগান দিচ্ছিলেন বিক্ষোভে অংশ নেওয়া মানুষেরা। তাদের হাতে থাকা ব্যানার-ফেস্টুনে লেখা ছিল, ‘ফিলিস্তিনকে মুক্ত করুন, গাজায় যুদ্ধের অবসান করুন।’ ইসরাইলকে সামরিক ও আর্থিক সহায়তা বন্ধ করে দিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন তারা। একইদিনে গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবিতে লন্ডনেও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। লন্ডনের বিক্ষোভে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শনিবার সেখানে প্রায় ১ হাজার ৭০০ পুলিশ সদস্যকে মোতায়েন করা হয়েছিল।

হামাসের অভিযানে জিম্মিদের অপহরণের ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষ্যে শনিবার তেল আবিবে একটি বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ দিনের ২৪ ঘণ্টার সমাবেশের শুরুতে আনুমানিক ১ লাখ ২০ হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। একইদিনে দেশটিতে সরকারবিরোধী বিক্ষোভও অনুষ্ঠিত হয়।

গাজা সিটি ও উত্তর গাজায় ক্ষুধা ও তৃষ্ণায় ৮ লাখ ফিলিস্তিনি মৃত্যুর মুখোমুখি হচ্ছেন। শনিবার এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে গাজা মিডিয়া অফিস। এই দুই অঞ্চলে ক্ষুধার সংকট কাটিয়ে উঠতে দৈনিক ১৩০০ ট্রাক খাদ্যের প্রয়োজন বলে জানানো হয়। এর মধ্যে উত্তর গাজার জন্য ৬০০ ট্রাক এবং ৭০০ ট্রাক খাদ্য শুধু গাজা সিটির জন্যই প্রয়োজন। চলমান এ যুদ্ধের শততম দিন উপলক্ষ্যে জাতিসংঘ বলেছে, ‘গাজায় ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধ মানবতাকে কলঙ্কিত করছে।’

ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থার প্রধান ফিলিপ লাজারিনি এদিন গাজা উপত্যকা পরিদর্শনের সময় এ মন্তব্য করেন। বিবৃতিতে লাজারিনি বলেন, ‘গত ১০০ দিনে ব্যাপক মৃত্যু, ধ্বংস, বাস্তুচ্যুতি, ক্ষুধা, ক্ষতি এবং শোক আমাদের ভাগ করা মানবতাকে কলঙ্কিত করছে।’

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT