বুধবার ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ২০শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৩৪ বছরের কর্মজীবনে ৭১ বার বদলি!

প্রকাশিত : ১১:১৭ পূর্বাহ্ণ, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩ মঙ্গলবার ১১৭ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

চাকরিজীবনে বদলি একটা স্বাভাবিক ঘটনা। দুই-চার বছর কিংবা তারও বেশি সময় পরপরই বেশিরভাগ বদলির ঘটনা ঘটে থাকে। কিন্তু এক মাসেই তিনবার বদলি এবং ৩৪ বছরের চাকরিজীবনে ৭১ বার বদলির ঘটনা বিরল। অবাক হলেও সত্য, এমনই ঘটনা ঘটেছে ভারতে প্রদীপ কাসনি নামের এক সরকারি কর্মকর্তার সঙ্গে।

তিনি অবসর নেওয়ার আগে শেষ ৬ মাস বেতনই পাননি। তবে যত দিন চাকরি করেছেন, সততার জন্যই পরিচিত হয়েছেন।

১৯৮০ সালে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় পাস করে অফিসার হয়েছিলেন প্রদীপ। ১৯৮৪ সালে হরিয়ানা সরকারের কাজে যোগ দেন। ১৯৯৭ সালে তিনি আইএএস হন।

কর্মজীবনে বার বার বদলি হয়েছেন প্রদীপ। তাকে এমন জায়গায় বদলি করা হয়েছিল যে দপ্তরের আদতে কোনো অস্তিত্বই ছিল না। সেখানে বসার জন্য চেয়ার পর্যন্ত ছিল না। আটকে দেওয়া হয়েছিল তার বেতন, ভাতা। এজন্য মামলাও করেছিলেন প্রদীপ।

২০১৭ সালে প্রদীপের পোস্টিং হয়েছিল হরিয়ানার ল্যান্ড ইউজ বোর্ডের অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি পদে। বদলির পরেই তিনি বুঝতে পেরেছিলেন, কিছু একটা গণ্ডগোল রয়েছে। প্রদীপ দেখেন, ওই বোর্ডে না রয়েছে কোনো নথি, না কোনো ফাইল। এমনকি কোনো কর্মীও ছিলেন না। এর পরেই সন্দেহ হয় প্রদীপের।

তিনি আরটিআই করেন। তাতে দেখা যায়, দীর্ঘ দিন আগেই ওই বোর্ড প্রত্যাহার করা হয়েছিল। তার পরেও কেন তাকে নিয়োগ করা হয়েছিল, সেই নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন। এই নিয়ে সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল (সিএটি)-এ আবেদন করেন প্রদীপ। সেই নিয়ে মামলা চলে।

সেই মামলা অবসরের পরেও চালিয়েছিলেন প্রদীপ। তার স্ত্রী নীলম কাসনিও সরকারি কর্মী ছিলেন।

প্রদীপ ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরেই বদলি হয়েছিলেন তিনবার। একটি সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছিলেন, হরিয়ানার সরকার আশ্বাস দিয়েছিল দুই বছরের আগে আমলাদের বদলি করা হবে না। আমলারা নিজেদের কাজের জন্য নিজেরাই দায়ী থাকবেন। কর্তব্যচ্যুত হলে পদক্ষেপ করা হবে। তার পরেও কোনো আমলাকে বদলির প্রয়োজন হলে কমিটি গঠন করা হবে। সেই কমিটির প্রস্তাবে বদলি করা হবে।

প্রদীপ প্রশ্ন তুলছিলেন, এসব পদক্ষেপ ছাড়াই তবে কেন তাকে বার বার বদলি করা হয়েছিল? কিন্তু সেই প্রশ্নের জবাব মেলেনি।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT