মঙ্গলবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১লা আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম
◈ চাকসু নির্বাচন: দ্বিতীয় দিনে ১৪১ জনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ◈ নারায়ণগঞ্জে ফ্ল্যাটে স্বামী-স্ত্রী ও চার বছরের শিশুর লাশ ◈ ‘সরকারি বেতন-রেশন খাস না, গুলি করবি না কেন?’ ◈ প্রশাসনের ১৭ কর্মকর্তাকে বিভিন্ন দূতাবাসে বদলি, তালিকা প্রকাশ ◈ একদিনে ৩৫ কোটি ৩০ লাখ ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ◈ টানা ৫ দিন বৃষ্টির আভাস ◈ সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরের ফ্ল্যাট-জমি জব্দ, ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ ◈ শুধু নিন্দা জানিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকানো সম্ভব নয়: মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ◈ নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রীরও পদত্যাগ চায় জেন-জি ◈ গেমিং অ্যাপ ব্যবহার করে যেভাবে প্রধানমন্ত্রী বেছে নিল নেপালের জেন-জিরা

ইসরাইলের হাত দিয়েই গাজাবাসীকে মারছে যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত : ১০:১২ অপরাহ্ণ, ২ ডিসেম্বর ২০২৩ শনিবার ১১২ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

গাজায় ইসরাইলি বর্বরতার শুরু থেকেই পাশে আছে যুক্তরাষ্ট্র। শুধু মৌখিকভাবে নয়, অস্ত্র-গোলাবারুদ দিয়েও সহায়তা করে যাচ্ছে পরম মিত্রকে। আরব বিশ্ব থেকে শুরু করে গোটা বিশ্বের সামনেই যেমন নিয়মিতভাবে গাজার বেসামরিক মানুষের ওপর ইসরাইলি হামলা বন্ধের নীতি কথা শুনাচ্ছে, তেমনি গাজা ধ্বংসে তেল আবিবে নিত্য নতুন বোমা-বারুদের চালানও পাঠাচ্ছে নিয়মিতই। উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন বিধ্বংসী আধুনিক সেসব যুদ্ধাস্ত্রে ছারখার হচ্ছে গাজা। যুক্তরাষ্ট্রের পাঠানো এসব অস্ত্রেই হামাস ধ্বংসের অজুহাতে প্রতিদিন শত শত নারী-শিশুদের হত্যা করছে ইসরাইল।

হাজার হাজার টন বোমায় ধুলোয় মিশিয়ে দিচ্ছে গাজার বাড়িঘর। অবরুদ্ধ ছোট্ট জনপদে প্রতিদিনই বাড়ছে লাশের পাহাড়। প্রতিদিনই বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল।

শুক্রবার নতুন করে হত্যাযজ্ঞ শুরুর আগেই ১৫ হাজার ছাড়িয়েছিল গাজার বেসামরিক নাগরিকদের মৃত্যু! এরপরও ইসরাইলে ভয়ংকর সব বোমা-বারুদের চালান পাঠচ্ছে ইসরাইল। এত লাশ, এত রক্ত, এত হাহাকারেও যেন রক্তের পিপাসা মিটছে না যুক্তরাষ্ট্রের। শনিবার মার্কিন দৈনিক ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরাইলে আবারও শক্তিশালী ‘বাঙ্কার ব্লাস্টার’ বোমা পাঠিয়েছে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন। যুদ্ধবিরোধী বিশ্ববিবেকের মুখে এখন একটাই ঘৃণা- ইসরাইল নয়, ইসরাইলের হাত দিয়ে গাজাবাসীকে মারছে যুক্তরাষ্ট্রই!

৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইলে এ পর্যন্ত ১০০ বিধ্বংসী ‘বাঙ্কার ব্লাস্টার’ পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। শক্তিশালী এ বোমাটি কংক্রিটের দুর্ভেদ্য কাঠামোও ভেদ করতে পারে নিমিষেই। ‘ব্লু-১০৯’ নামে নতুন পাঠানো ব্লাস্টার বোমাগুলো ২,০০০ পাউন্ড (৯০০ কেজি)।

‘সি-১৭’ নামক কার্গো বিমানে এ বোমার চালান পাঠানো হয়েছে। একই বিমানে অন্যান্য ধরনের ১৫ হাজার বোমা এবং ৫৭ হাজার আর্টিলারি সেলও ছিল। অন্য বোমাগুলোর মধ্যে রয়েছে ৫ হাজার এমকে ৮২ আনগাইডেড বোমা, ৫ হাজার ৪০০টিরও বেশি এমকে ৮৪ বোমা, প্রায় ১ হাজার জিবিইউ-৩৯ ছোট ব্যাসের বোমা এবং প্রায় ৩,০০০ জিডিএএমএস প্রভৃতি।

মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাতে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গত মাসে জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে চালানো বড় হামলাটিও ‘বাঙ্কার ব্লাস্টার’ দিয়েই চালানো হয়েছিল। প্রায় ১ টন ওজনের সেই বোমা দিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল শিবিরটিতে। ৫০ জন শরণার্থীর মৃত্যুসহ প্রায় ৪০০ জন আহত হয়েছিল হোয়াইট হাউজের পাঠানো ওই বোমায়! এবার প্রথম নয়, এর আগেও বিধ্বংসী বাঙ্কার ব্লাস্টার ব্যবহার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তা সত্ত্বেও বিশেষ এ বোমার এবার গাজায় ব্যবহার নিয়ে চিন্তিত বিশেষজ্ঞরা।

কেননা, আয়তন-পরিসীমা হিসাবে এ বোমার ব্যবহার সব জায়গায় প্রযোজ্য নয়। এ বিষয়ে আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র এর আগে সিরিয়া, আফগানিস্তান এবং ইরাকের যুদ্ধে এ ধরনের বোমা ব্যবহার করেছে। তবে সেগুলো উন্মুক্ত স্থান ছিল। অপরদিকে গাজা অবরুদ্ধ এবং ঘনবসতিপূর্ণ। গাজা সম্পূর্ণ একটি ভিন্ন পরিবেশ। এমনকি কংগ্রেসেও অনেকে গাজায় বাঙ্কার বোমা হামলা চালানোর বিষয়টি প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। কিন্তু কারও কথায়ই কানে তুলছেন না দেশটির ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক দলের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ( ৮১)। দোসর রাষ্ট্রটিকে শুধু অস্ত্র-গোলবারুদ দিয়েই হাত গুটিয়ে বসে নেই বাইডেন সরকার।

রীতিমতো পিতৃছায়া দিয়ে রেখেছে ইসরাইলকে। গাজার বর্বরতার প্রতিশোধ নিতে ইরান যেন হামলা চালিয়ে না বসে, সে লক্ষ্যে যুদ্ধ শুরুর পরদিনই ভূমধ্যসাগরে ৫ হাজার সেনা এবং এফ-৩৫ যুদ্ধ বিমানসহ বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী রণতরি ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড পাঠায় পেন্টাগন (মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ)। ১৫ অক্টোবর পাঠায় আরও আরেকটি ইউএসএস ডোয়াইট ডি আইজেনহাওয়ার। আর জিম্মি উদ্ধারে সহযোগিতার ডেল্টা ফোর্সের বিশেষ দলটি পাঠায় রণতরি পাঠানোরও আগে।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT