রবিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ডেঙ্গুতে আরও আট মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১০৮৪

প্রকাশিত : ০৯:১০ পূর্বাহ্ণ, ২২ নভেম্বর ২০২৩ বুধবার ১৫৩ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

সারা দেশে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আটজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৫৬২ জনে। এ সময় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ৮৪ জন। অন্যদিকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন চার হাজার ৪৬২ ডেঙ্গু রোগী। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ জাহিদুল ইসলামের সই করা ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, সোমবার সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এক হাজার ৮৪ জনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ২২১ এবং ঢাকার বাইরের ৮৬৩ জন। অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া আটজনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা পাঁচজন, ঢাকার বাইরের তিনজন। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৩ লাখ ৩ হাজার ৫৩৬ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা এক লাখ ৬ হাজার ৪২ জন, আর ঢাকার বাইরের এক লাখ ৯৭ হাজার ৪৯৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন এক হাজার ২৬৭ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ২৮১ জন এবং ঢাকার বাইরের ৯৮৬ জন।

চলতি বছরের ২১ নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ২ লাখ ৯৭ হাজার ৫১২ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা এক লাখ ৪ হাজার ৫ জন এবং ঢাকার বাইরের এক লাখ ৯৩ হাজার ৫০৭ জন। ২০২২ সালে ডেঙ্গুতে ২৮১ জন মারা যান। ওই বছরের ডিসেম্বরে ২৭ জনের মৃত্যু হয়। একই সঙ্গে আলোচ্য বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৬২ হাজার ৩৮২ জন। ২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গু সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। একই বছর দেশব্যাপী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২০২২ সালে ২৮১ জন, ২০২১ সালে ১০৫ জন, ২০২০ সালে ৭ জন ও ২০১৯ সালে ১৭৯ জনের মৃত্যু হয়।

জনস্বাস্থ্যবিদরা বলছেন, ডেঙ্গু ভাইরাসের নির্ধারিত মৌসুমের আগেই এবার এডিস মশার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। ফলে সংক্রমণ ও মৃত্যু বেশি হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অসময়ের বৃষ্টিপাত মশার প্রজননকাল দীর্ঘায়িত করছে। ফলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরও সময় লাগবে। রোগটি থেকে মুক্তি পেতে এডিসের লার্ভা ধ্বংসে সমন্বিত উদ্যোগ নিয়ে কাজ করতে হবে।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT