মঙ্গলবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১লা আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম
◈ চাকসু নির্বাচন: দ্বিতীয় দিনে ১৪১ জনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ◈ নারায়ণগঞ্জে ফ্ল্যাটে স্বামী-স্ত্রী ও চার বছরের শিশুর লাশ ◈ ‘সরকারি বেতন-রেশন খাস না, গুলি করবি না কেন?’ ◈ প্রশাসনের ১৭ কর্মকর্তাকে বিভিন্ন দূতাবাসে বদলি, তালিকা প্রকাশ ◈ একদিনে ৩৫ কোটি ৩০ লাখ ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ◈ টানা ৫ দিন বৃষ্টির আভাস ◈ সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরের ফ্ল্যাট-জমি জব্দ, ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ ◈ শুধু নিন্দা জানিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকানো সম্ভব নয়: মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ◈ নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রীরও পদত্যাগ চায় জেন-জি ◈ গেমিং অ্যাপ ব্যবহার করে যেভাবে প্রধানমন্ত্রী বেছে নিল নেপালের জেন-জিরা

ফুরিয়ে যাচ্ছে ব্যান্ডেজ-পিন-রড, ভেঙে পড়েছে গাজার চিকিৎসা ব্যবস্থা

প্রকাশিত : ১০:১৭ পূর্বাহ্ণ, ২৪ অক্টোবর ২০২৩ মঙ্গলবার ১১১ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

ইসরাইলের নির্বিচারে বোমা হামলায় গাজার হাসপাতালগুলোতে উপচে পড়া ভিড়। খাদ্য, পানি ও ওষুধের অভাবে পরিস্থিতি হয়ে উঠেছে আরও ভয়াবহ। পুড়ে যাওয়া রোগীরা বার্ন ইউনিটে অসহ্য যন্ত্রণায় ছটফট করছেন। বিদ্যুৎ সংকটে ভোগান্তি বেড়েছে চিকিৎসকদেরও।

অগণিত আহতের ভিড়ে দেখা দিয়েছে জায়গার সঙ্কুলান। হাসপাতালে সিট নেই, ফুরিয়ে যাচ্ছে ব্যান্ডেজ, পিন, রডসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসামগ্রী। তাঁবু খাটিয়ে হাসপাতালের বারান্দায় কোনোরকম থাকছে মানুষ। একটু নিরাপত্তার আশায় অনেকে আবার হাসপাতালকেই বানিয়ে নিচ্ছে শরণার্থী শিবির।

গাজার হাসপাতালগুলোতে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছেন চিকিৎসকরাও। রোগীদের সেবা দিতে প্রতিনিয়তই তারা হিমশিম খাচ্ছেন। প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের অভাবে তাদের চোখের সামনেই প্রাণ হারাচ্ছেন অসংখ্য রোগী।
স্থানীয় সময় রোববার বিবিসি নিউজ আওয়ার প্রোগ্রামে আল-শিফা হাসপাতালের একজন চিকিৎসক জানিয়েছেন, ভয়াবহ অবস্থার মুখোমুখি হচ্ছেন তারা। বার্ন ইউনিটে কর্মরত আল-শিফা হাসপাতালের ওই সার্জনের নাম ঘাসান আবু সিত্তাহ। তিনি বলেন, ‘বার্ন ইউনিটে রোগীদের সংখ্যা বেড়েই চলছে।

এখন পর্যন্ত সেখানে ৭০ জন রোগী থাকলেও কিছু কিছু রোগীর অবস্থা অত্যধিক শোচনীয়। বাড়তে থাকা রোগীদের জন্য প্রয়োজনীয় সিট নেই। শুধু ঝুঁকিপূর্ণ রোগীদেরই সেখানে রাখা হয়েছে। শরীরে ক্ষত রোগীদের জন্য প্রতিদিন প্রচুর ব্যান্ডেজের প্রয়োজন।

কেননা, ক্ষত পরিষ্কার রাখতে এন্টিসেপটিকসহ এ সামগ্রীগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’ ঘাসান আবু বলেন, ‘হাসপাতালের ক্ষত সারানোর জন্য ব্যান্ডেজ, ফ্র্যাকচার ঠিক করার জন্য পিন ও রড ফুরিয়ে গেছে। আহতের সংখ্যা বাড়ছেই। কিন্তু আমাদের চিকিৎসাসামগ্রী নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘নিবিড় পরিচর্যায় থাকা রোগীদের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহও একটি উদ্বেগের বিষয়। হাসপাতালের কর্মীরা তাদের পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন, তবু ১৬ থেকে ১৮ ঘণ্টা কাজ করছেন। বিদ্যুৎ ছাড়া এই হাসপাতাল শুধু একটি গণকবর।’ সংকটময় পরিস্থিতিতে গাজায় দেখা দিয়েছে রক্তের ঘাটতি। এমন পরিস্থিতিতে ফিলিস্তিনিদের রক্তদান করতে বলছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। বাসিন্দাদের গাজাজুড়ে হাসপাতাল এবং ‘ব্লাড ব্যাংকে’ ছুটে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। এই অঞ্চলে রক্ত আনার জন্য রেড ক্রসের আন্তর্জাতিক কমিটিকেও আহ্বান জানিয়েছে।

গাজার হাসপাতালগুলোতে অমানবেতর জীবনযাপন করছেন রোগীরা। মেঝে শুয়েই কোনোরোকম সময় কাটাচ্ছেন। সন্ধ্যার পর এখন আবহাওয়া ঠান্ডা হলেও শীত নিবারণের উপায় নেই।

করুণ অবস্থায় তাঁবু খাটিয়ে থাকতে হচ্ছে তাদের। চিকিৎসা শেষ হওয়ার পরও আল-শিফা হাসপাতালের একজন চিকিৎসক জানান, ‘আমরা এখনো এখানে আছি, কারণ আমরা চারবার বাস্তুচ্যুত হয়েছি এবং কোথাও কোনো গ্যারান্টি নেই, তাই আমরা হাসপাতালে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা একটু খাবার আর একটু পানি দিয়ে বাঁচার চেষ্টা করছি।’

বিদ্যুতের অভাবে জীবনঝুঁকিতে আছে গাজার অসংখ্য শিশু। নিবিড় পরিচর্যায় ইনকিউবেটরে রয়েছে ১২০ শিশু, ভেন্টিলেটরে রয়েছে আরও ৭০ নবজাতক।

ফিলিস্তিনিদের জন্য দাতব্য চিকিৎসা সহায়তার গাজার পরিচালক ফিকর শালটুট বলেছেন, ‘জেনারেটর চালানো বন্ধ হলে অকাল শিশু বেঁচে থাকতে পারে না।’ শোচনীয় এ পরিস্থিতিতেও থামছে না ইসরাইলি বাহিনী।

হাসপাতালগুলো টার্গেট করে একের পর এক চালানো হচ্ছে হামলা। ফিলিস্তিনি মিডিয়ার বরাত দিয়ে রয়টার্স নিউজ এজেন্সি জানায়, হাসপাতালগুলোর মধ্যে রয়েছে গাজার সবচেয়ে বড় মেডিকেল কমপ্লেক্স আল-শিফা, পাশাপাশি আল-কুদস এবং ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতাল। টেলিগ্রাম চ্যানেলে হামাস একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে, যা তারা দাবি করেছে যে এটি আল-কুদসের কাছে ইসরাইলি বিমান হামলা। একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত ভবনের ছবিও প্রকাশ করেছে তারা।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT