সোমবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩১শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম
◈ নারায়ণগঞ্জে ফ্ল্যাটে স্বামী-স্ত্রী ও চার বছরের শিশুর লাশ ◈ ‘সরকারি বেতন-রেশন খাস না, গুলি করবি না কেন?’ ◈ প্রশাসনের ১৭ কর্মকর্তাকে বিভিন্ন দূতাবাসে বদলি, তালিকা প্রকাশ ◈ একদিনে ৩৫ কোটি ৩০ লাখ ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ◈ টানা ৫ দিন বৃষ্টির আভাস ◈ সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরের ফ্ল্যাট-জমি জব্দ, ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ ◈ শুধু নিন্দা জানিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকানো সম্ভব নয়: মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ◈ নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রীরও পদত্যাগ চায় জেন-জি ◈ গেমিং অ্যাপ ব্যবহার করে যেভাবে প্রধানমন্ত্রী বেছে নিল নেপালের জেন-জিরা ◈ ইসরাইলকে রুখতে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা চায় জর্ডান

ব্যবসায়ী থেকে এক লাফে প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১০:৪৪ অপরাহ্ণ, ২২ আগস্ট ২০২৩ মঙ্গলবার ১১১ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

থাইল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী ধনকুবের স্রেথা থাভিসিন। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সন্ধায় হাউজ ও সিনেটের যৌথ বৈঠকে তাকে দেশের ৩০তম প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নির্বাচিত করা হয়।

এদিন স্থানীয় সময় বেলা ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রী ভোটের জন্য সংসদীয় অধিবেশন শুরু হয়। ৪৮২ ভোটে জয়লাভ করেন স্রেথা। বিপক্ষে ভোট পড়ে ১৬৫টি। প্রধানমন্ত্রী ভোটাভুটিতে অনুপস্থিত সদস্যের সংখ্যা ছিল ৮১ জন।

এর আগে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার তেমন কোনো ইতিহাস নেই তার। গত বছরই যোগ দিয়েছেন রাজনীতিতে। বহু-জাতিক কোম্পানি সহব্যবসা পেশায় কয়েক দশক অতিবাহিত করার পর এবার এক লাফেই প্রধানমন্ত্রী বনে স্রেথা।

মে মাসের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের প্রচারাভিযানেও স্রেথা ছিলেন একজন প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব। তার ব্যবসায়িক সফলতাই প্রধানমন্ত্রী পদে জয়লাভের ক্ষেত্রে তাকে এক ধাপ এগিয়ে রেখেছিল। স্রেথার জন্ম থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে। ১.৯৩ মিটার (৬ ফুট ৪ ইঞ্চি) বিশাল উচ্চতার এই স্রেথার ডাকানাম ‘নিড’। যার অর্থ ছোট বা সামান্য।

থাইল্যান্ডের একটি নিউজ ওয়েবসাইট খাওসোডের মতে, স্রেথা উদার রাজনীতিতে বিশ্বাসী।’ ব্যবসায়িক প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছিলেন যুক্তরাষ্ট্র থেকে। শত বিলিয়ন ডলারের রিয়েল এস্টেট কোম্পানির সানসিরিরও প্রধান। স্রেথার স্ত্রী একটি বয়স্ক পরিচর্যাকেন্দ্রের একজন মেডিকেল বিশেষজ্ঞ। তাদের রয়েছে তিন সন্তান।

প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের প্রথম দফায়ই স্রেথা জয়ী হবে বলে আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করেছিলেন দলের অন্য সদস্যরা। থাই অভিজাতরা বরাবরই রাজতন্ত্রের সমর্থক। আর স্রেথা এর আগেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন-রাজপরিবারের ওপর কোনো প্রভাব পড়ে এমন কোনো আইন তিনি সংশোধন করবেন না।

রাজতন্ত্রের বিষয়ে তার অবস্থান জানতে চাইলে তিনি জানিয়েছিলেন, ‘অবশ্যই ধারা ১১২-এর কোনো সংশোধন করা হবে না।’ মে মাসের প্রচারণার সময় ভয়েস অব আমেরিকা (ভিওএ) স্রেথাকে ‘সোজা কথা বলা’ রাজনীতিবিদ হিসাবে আখ্যায়িত করেছিল। বলা হয়েছিল, ‘তার এমন ব্যবসায়িক বুদ্ধিমত্তা লাখ লাখ ভোটারের আস্থা জাগাতে পারে।’

আর এটি যেকোনো ‘ব্র্যান্ড বিল্ডিং’র জন্য অনেক জরুরি।

স্রেথার প্রতি ফেউ থাইয়ের প্রতিষ্ঠাতা থাকসিন সিনাওয়াত্রারও রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ সমর্থন। ভিওএ’র সাক্ষাৎকারে স্রেথা জানিয়েছিলেন, তার ব্যবসায়িক অংশীদার ছিলেন থাকসিন সিনাওয়াত্রা। আর ব্যবসায়িক পার্টনারের সঙ্গে কয়েক দশকের বন্ধুত্বই তাকে রাজনীতিতে প্রবেশে আগ্রহী করেছিল। থাকসিন ও তার বোনকে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর তিনি হতাশা অনুভব করেছিলেন বলে জানান।

আর সেসঙ্গে থাইল্যান্ডে সামরিক শাসনও তাকে রাজনীতিতে প্রবেশের সিদ্ধান্ত নিতে ভূমিকা রেখেছিল। একই সাক্ষাৎকারে দেশে সামরিক দখলের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করেছিলেন তিনি। ফেউ থাই জোটে ছিলেন বিভিন্ন সামরিক দল। দলগুলো স্রেথাকে সমর্থন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল আগেই।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT