সোমবার ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ১৮ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিশ্বে প্রথম ড্রোনবাহী রণতরী চালু করল তুরস্ক

প্রকাশিত : ০৭:৫১ অপরাহ্ণ, ১১ এপ্রিল ২০২৩ মঙ্গলবার ১৫১ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

প্রথমবারের মতো মানুষবিহীন বিমান বহনে সক্ষম রণতরী চালু করেছে তুরস্ক। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও আঞ্চলিক উত্তেজনার মধ্যেই প্রথমবারের মতো বিমানবাহী রণতরীটি চালু করল দেশটি। নৌ অভিযানে ড্রোনের সক্ষমতা বাড়াতেই তুরস্কের এ উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা। খবর রয়টার্সের।

উভচর রণতরীটির নাম ‘টিসিজি আনাদোলু’। এটি ছোট রানওয়ে থেকে উড্ডয়নে সক্ষম হেলিকপ্টার ও যুদ্ধবিমান বহন করতে পারবে। রণতরীটির দৈর্ঘ্য ২৩২ মিটার এবং প্রস্থ ৩২ মিটার। এটি বিভিন্ন ধরনের যুদ্ধযানসহ ১ হাজার ৪০০ সেনা বহন করতে পারবে।

সোমবার ইস্তাম্বুলে রণতরীটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেন, ‘সারা বিশ্বে সামরিক ও মানবিক কার্যক্রম পরিচালনায় রণতরীটি ব্যবহার করা হবে। আমরা এই রণতরীকে আঞ্চলিক নেতৃত্ব সুসংহত করার প্রতীক হিসেবে দেখছি।’

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘তুরস্কের তৈরি বায়রাখতার টিবি৩, কিজিলেলমা ড্রোন এবং লাইট অ্যাটাক এয়ারক্রাফট হুরজেত জাহাজটি থেকে উড্ডয়ন এবং অবতরণ করতে পারবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘তুরস্ক এ জাহাজের সাহায্যে সারা বিশ্বে সামরিক ও মানবিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে সক্ষম হবে।’ রণতরীটি সাঁজোয়া যানও বহনে সক্ষম বলে জানান তিনি।

রয়টার্স বলছে, স্প্যানিশ বিমানবাহী রণতরী জুয়ান কার্লোস আইয়ের নকশার ওপর ভিত্তি করে সেদেফ শিপইয়ার্ড এটি তৈরি করেছে।

এফ-৩৫ মডেলের যুদ্ধবিমান বহনে সক্ষম এমন একটি রণতরী তৈরির প্রাথমিক পরিকল্পনা ছিল তুরস্কের। কিন্তু ২০১৯ সালে রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৪০০ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনার পর যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো তাদের এফ-৩৫ প্রোগ্রামটি তুরস্ক থেকে সরিয়ে নিলে আঙ্কারা তাদের রণতরী তৈরির পরিকল্পনা পরিবর্তন করে। পরে টিসিজি আনাদোলুকে ড্রোনবাহী রণতরীতে রূপান্তর করা হয়।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT