সোমবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩১শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘হংকং ফ্লুতে’ আক্রান্ত হয়ে ভারতে প্রাণ গেল ২ জনের

প্রকাশিত : ০৮:৩১ অপরাহ্ণ, ১০ মার্চ ২০২৩ শুক্রবার ১৩৯ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

এইচ৩এন২ ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের সংক্রমণের জেরে ভারতে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের একজন দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য হরিয়ানার এবং দ্বিতীয়জন দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কর্ণাটকের বাসিন্দা। খবর এনডিটিভির।

সরকারি তথ্য বলছে, নতুন আসা এ ভাইরাসটির সংক্রমণে এই প্রথম মৃত্যু ঘটল ভারতে। শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ‘হংকং ফ্লুতে’ (এটি ‘হংকং ফ্লু’ নামেও পরিচিত) আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বর্তমানে প্রায় ১০০ জন।

ভারতের সর্বোচ্চ মেডিকেল গবেষণা সংস্থা অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেসের (এআইআইএমস) তথ্য অনুযায়ী, হংকং ফ্লু’র জন্য দায়ী এইচ৩এন২ এবং এইচ১এন১— দু’টি ভাইরাস। ভারতে শনাক্ত হওয়া রোগীদের নমুনায় দুই ধরনের ভাইরাসেরই উপস্থিতি পাওয়া গেছে। ৯০ জনের নমুনায় পাওয়া গেছে এইচ৩এন২ ভাইরাস এবং ৮ জনের নমুনায় মিলেছে এইচ১এন১ ভাইরাস।

যে দুজনের মৃত্যুর সংবাদ শুক্রবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে তাদের মধ্যে কর্ণাটকে মৃত ব্যক্তির সম্পর্কে কিছু তথ্য জানা গেছে। ওই ব্যক্তির নাম হাসান। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি তিনি এই রোগের উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন এবং ৬ দিন পর ১ মার্চ মারা যান। ৮২ বছর বয়স্ক হাসান হংকং ফ্লুর উপসর্গ ছাড়াও ডায়াবেটিস ও উচ্চরক্তচাপের রোগী ছিলেন।

চলতি বছর শীতের শেষ দিকে ভারতে নতুন এই ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসটির সংক্রমণ শুরু হয়। এই রোগের উপসর্গগুলোর সঙ্গে ইনফ্লুয়েঞ্জা ও কোভিডের বেশ মিল আছে। উপসর্গগুলো হলো— কাশি, জ্বর, শ্বসকষ্ট, বুকে কফ জমে জাওয়া, বমি বমি ভাব, গলাব্যথা, শরীরব্যাথা এবং ডায়রিয়া।

এসব উপসর্গ প্রায় এক সপ্তাহ স্থায়ী হয়। তারপর রোগী হয় সুস্থ হয়ে উঠতে থাকেন, নয়তো গুরুতর অসুস্থতার দিকে ধাবিত হতে থাকেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতে এতদিন সর্দিজ্বর বা ইনফ্লুয়েঞ্জার জন্য দায়ী বলে শনাক্ত হওয়া ভাইরাসগুলোর তুলনায় অনেক শক্তিশালী এইচ৩এন২ এবং এইচ১এন১ নামের এই দু’টি ভাইরাস এবং এগুলোর সংক্রমণের ফলে যেসব উপসর্গ দেখা দেয়, সেগুলোও সাধারণ ইনফ্লুয়েঞ্জার চেয়ে অনেক ভোগান্তিকর হয়ে ওঠে রোগীদের জন্য। যাদের প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল, তারা এই ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান হলে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না।

প্রচলিত ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসগুলোর তুলনায় এইচ৩এন২ এবং এইচ১এন১ ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়ার ক্ষমতাও অনেক বেশি। ভারতের চিকিৎসা গবেষণা সংক্রান্ত অপর প্রতিষ্ঠান দ্য ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চের বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, করোনা প্রতিরোধের ক্ষেত্রে যে দুটি স্বাস্থ্যবিধি— সাবান বা জীবাণুনাশক দিয়ে হাত ধোয়া এবং মাস্ক পরিধান— সেগুলো এই রোগের বিস্তার ঠেকাতেও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT