সোমবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩১শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাকিস্তানের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা ইমরান খান

প্রকাশিত : ০৮:২০ অপরাহ্ণ, ১০ মার্চ ২০২৩ শুক্রবার ১৩৭ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

এ মুহূর্তে পাকিস্তানের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা ইমরান খান। জনসমর্থনের দিক থেকে তার ধারে কাছে নেই আর কোনো নেতা। এমনকি দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের চেয়েও জনসমর্থনের দিক থেকে প্রায় দ্বিগুণ এগিয়ে পিটিআই চেয়ারম্যান। সম্প্রতি গবেষণা সংস্থা গ্যালাপ পাকিস্তানের এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। খবর ডনের।

পাকিস্তানের চারটি প্রদেশের শহর ও গ্রাম উভয় অঞ্চলের প্রায় দুই হাজার মানুষের মতামতের ওপর জরিপ চালায় গ্যালাপ। জরিপের ফলাফল বলছে, অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৬১ শতাংশ মানুষই ইমরান খানকে ‘ইতিবাচক রেটিং’ দিয়েছেন। তার বিপক্ষে কথা বলেছেন মাত্র ৩৭ শতাংশ লোক।

প্রদেশগুলোর মধ্যেও অন্য নেতাদের তুলনায় সবচেয়ে বেশি সমর্থক রয়েছে ইমরান খানের। পাঞ্জাবে ২৯ শতাংশ, সিন্ধে ২৮ শতাংশ এবং খাইবার পাখতুনখাওয়ায় (কেপি) ১৪ শতাংশ অংশগ্রহণকারী তাকে ইতিবাচক রেটিং দিয়েছেন।

বিপরীতে, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফকে ইতিবাচক রেটিং দিয়েছেন মাত্র ৩২ শতাংশ পাকিস্তানি। আর নেতিবাচক রেটিং দিয়েছেন ৬৫ শতাংশ লোক। তার সবচেয়ে বেশি জনসমর্থন রয়েছে পাঞ্জাবে।

জরিপ বলছে, প্রতি পাঁচ অংশগ্রহণকারীর মধ্যে প্রায় তিনজনই (৫৯ শতাংশ) শাহবাজের ভাই নওয়াজ শরীফকে নেতিবাচক রেটিং দিয়েছেন। পিএমএল-এন সুপ্রিমোকে সবচেয়ে বেশি অপছন্দ করে কেপির লোকজন।

পাকিস্তানের বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পিপিপি চেয়ারম্যান বিলওয়াল ভুট্টো ইতিবাচক রেটিং পেয়েছেন ৩৬ শতাংশ মানুষের কাছ থেকে। তাকে নেগেটিভ রেটিং দিয়েছেন ৫৭ শতাংশ পাকিস্তানি। বিলওয়াল সবচেয়ে বেশি ইতিবাচক রেটিং পেয়েছেন সিন্ধ থেকে।

পিএমএল-এনের জ্যেষ্ঠ ভাইস প্রেসিডেন্ট মরিয়ম নওয়াজের ইতিবাচক রেটিং মাত্র ৩৪ শতাংশ, নেতিবাচক রেটিং ৬১ শতাংশ। তাকে অন্য প্রদেশগুলোর তুলনায় পাঞ্জাবের লোকজন কিছুটা বেশি পছন্দ করে।

জমিয়ত উলেমা-ই-ইসলাম ফজল (জেইউআই-এফ) প্রধান মাওলানা ফজলুর রহমান ৫৭ শতাংশ নেতিবাচক রেটিং পেয়েছেন। তার পক্ষে কথা বলেছেন মাত্র ৩১ শতাংশ লোক। তিনি সবচেয়ে বেশি ইতিবাচক রেটিং পেয়েছেন কেপি থেকে।

সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারির বিপক্ষে রেটিং দিয়েছেন ৬৭ শতাংশ মানুষ। তিনি ইতিবাচক ভোট পেয়েছেন মাত্র ২৭ শতাংশ অংশগ্রহণকারীর কাছ থেকে। সবচেয়ে বেশি নেতিবাচক ভোট পেয়েছেন পাঞ্জাব থেকে।

জরিপে আরও দেখা গেছে, পাকিস্তানের ৬২ শতাংশ মানুষ দেশটির বর্তমান অর্থনৈতিক সংকটের জন্য পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট (পিডিএম)/পিএমএল-এন’কে দায়ী করেছেন। বিপরীতে ইমরান খানের পিটিআই সরকারকে দায়ী করেছেন মাত্র ৩৮ শতাংশ লোক।

৫৩ শতাংশ পাকিস্তানি বলেছেন, ‘সৎ রাজনৈতিক নেতা’ পেলে তারা বর্তমান দল ত্যাগ করে নতুন কোনো দলকে ভোট দিতে প্রস্তুত। আশ্চর্যজনকভাবে, এ মনোভাব সবচেয়ে বেশি পিটিআই সমর্থকদের মধ্যে (৫২ শতাংশ)।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT