রবিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘বিশ্বাসঘাতকদের’ কারণেই রাশিয়া সাফল্য পেয়েছে

প্রকাশিত : ১০:৩৪ অপরাহ্ণ, ১৩ জুন ২০২২ সোমবার ১৯১ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

ইউক্রেনের মারিউপোলের নির্বাসিত মেয়র ভাদইয়াম বইচেনকো সোমবার গণমাধ্যম বিবিসির সঙ্গে শহরটি নিয়ে কথা বলেছেন।

তিনি জানিয়েছেন, যুদ্ধের শুরুতেই কিছু ইউক্রেনীয় ‘বিশ্বাসঘাতক’ রাশিয়ানদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর তথ্য তুলে দিয়েছিল। আর তাদের দেওয়া তথ্যের কারণেই মারিউপোলে সাফল্য পেয়েছে রাশিয়া।

এ ব্যাপারে নির্বাসিত মেয়র বলেন, তারা (রুশ সেনারা) জানত কোথায় গোলা ছুঁড়তে হবে। অনেক বিশ্বাসঘাতক ছিল তারা সহায়তা করেছে। আমাদের যা ছিল, যা আমাদের শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা হিসেবে বিবেচিত ছিল, তার সবই প্রথম সাতদিনে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছিল।

তিনি আরও বলেন, শহরে ১৫টি বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্র ছিল। এমনকি মেয়রও জানত না এগুলো কোথায় ছিল। কিন্তু তারা (রুশ বাহিনী) সব জেনে যায় এবং ১৫ দিনে সব ধ্বংস করে দেয়। শহরটি তখন বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে।

মেয়র আরও বলেন, পানি সরবরাহ ব্যবস্থা, যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং খাদ্য ও ওষুধের গুদামেও হামলা চালানো হয়েছিল।

মারিউপোলের ক্ষমতাবিহীন এ মেয়র বিসিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন, সিটি কাউন্সিলের ডেপুটি থেকে শুরু রুশপন্থি এবং বিরোধীরা বিশ্বাঘাতকতা করেছে।

তিনি আরও দাবি করেছেন, বর্তমানে তারা রাশিয়ার সঙ্গে মারিউপোল শহর চালাচ্ছে।

তবে মেয়রের বক্তব্যের সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি বিবিসি।

এদিকে ইউক্রেনে হামলা করার পর মারিউপোলের ওপর সবচেয়ে বেশি ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে রুশ সেনারা। শহরটি প্রায় ধ্বংসই করে দিয়েছে তারা। এখনো সেখানে পড়ে আছে মৃতদেহ। ফলে কলেরার মতো প্রাণঘাতী সংক্রমক রোগ ছড়িয়ে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

সূত্র: বিবিসি

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT