সোমবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩১শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম
◈ ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতিতে ধ্বংস হচ্ছে শিক্ষাব্যবস্থা: বদিউল আলম ◈ সার্কিট ব্রেকারের শীর্ষে চার কোম্পানির শেয়ার ◈ নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী ৬ মাসের মধ্যে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন ◈ গাজায় ইসরায়েলের জাতিগত নিধন অভিযানে যুক্তরাষ্ট্র জড়িত ◈ ইসরাইলের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে কাতারের প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান ◈ স্ত্রী-সন্তানকে হত্যার পর যুবকের আত্মহত্যা: পুলিশ ◈ ভারি বৃষ্টিপাতে প্লাবিত হতে পারে ৯ জেলার নিম্নাঞ্চল ◈ টাইফয়েডের টিকা পাবে ৪ কোটি ৯০ লাখ শিশু, দিবে যেদিন থেকে ◈ মেগাসিরিয়াল ‘খুশবু’র আইটেম গানে মাহি ◈ মৃত্যুর পাঁচ বছর পর এন্ড্রু কিশোরকে কর পরিশোধের নোটিশ

সুদান ছাড়ছে বিদেশি কূটনীতিকরা

প্রকাশিত : ০৬:৫৫ পূর্বাহ্ণ, ২৪ এপ্রিল ২০২৩ সোমবার ১২৪ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

সুদানের সশস্ত্র বাহিনী (এসএএফ) এবং আধাসামরিক বাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)-এর লড়াই অব্যাহত থাকায় দেশজুড়ে ইন্টারনেট বিভ্রাটের খবর পাওয়া গেছে। ইতিমধ্যে দেশটি ছেড়ে যাচ্ছেন বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা। কিছু কিছু দেশ তাদের কূটনীতিকদেরও সরিয়ে নিচ্ছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, সুদান থেকে মার্কিন সরকারি কর্মকর্তাদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, আমার নির্দেশে মার্কিন সামরিক বাহিনী খার্তুম থেকে আমাদের কর্মকর্তাদের বের করে আনতে অভিযান চালিয়েছে।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেন, সব মার্কিন কর্মী ও তাদের পরিবারকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। খার্তুমে মার্কিন দূতাবাসের কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। ১০০ জনেরও বেশি স্পেশাল অপারেশন ফোর্সের একটি দল তাদের সরিয়ে আনতে সক্ষম হয়।

মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেন, মার্কিন আফ্রিকা কমান্ডের নেতৃত্বে এবং স্টেট ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে এই অভিযান চালানো হয়। সুদানের সশস্ত্র বাহিনী এসএএফ এবং আরএসএফ-এর মধ্যে এক সপ্তাহ ধরে তীব্র লড়াইয়ের পর আমেরিকান সেনাদেরও সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এদিকে, ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা সুদান থেকে তাদের নাগরিক ও কূটনৈতিকদের সরিয়ে নিতে শুরু করেছে।

একইভাবে ব্রিটিশ কূটনীতিক ও তাদের পরিবারের সবাইকে সুদান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী ঋষি বলেছেন, ‘জটিল ও দ্রুত’ অভিযানে ব্রিটিশ কূটনীতিক ও তাদের পরিবারকে সুদান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সুদানে অবস্থানরত ব্রিটিশ নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ চলছে।

সুদানে কানাডার কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত:

সুদানে কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে কানাডা। দেশটি জানিয়েছে, তাদের কূটনীতিকরা সাময়িকভাবে দেশের বাইরে নিরাপদ অবস্থান থেকে কাজ করবেন।

কানাডীয় সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, খার্তুমে কার্যক্রম স্থগিত থাকলেও সীমিত আকারে কনস্যুলার সেবা অব্যাহত রয়েছে।

তুর্কিদের সরিয়ে নেওয়া শুরু হয়েছে:

তুরস্কের ইস্তাম্বুল থেকে আল-জাজিরার সাংবাদিক আমির লাফি বলেন, তুরস্কের নাগরিকদের পাশাপাশি অন্যান্য দেশের নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়া শুরু হয়েছে সুদান থেকে। তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের নাগরিকদের জন্য তিনটি অ্যাসেম্বলি এলাকা নির্দিষ্ট করেছে। তারা সেখানে নিরাপদে অবস্থান করবেন।

সুইডিশ পার্লামেন্ট সুদান থেকে তাদের নাগরিকদের সরিয়ে নিতে সশস্ত্র বাহিনী পাঠানোর জন্য সরকারকে প্রয়োজনীয় অনুমোদন দিয়েছে। এক বিবৃতিতে রিক্সড্যাগ সরকারকে এই কাজের জন্য ৪০০ সৈন্যের একটি ইউনিট পাঠানোর প্রস্তাব অনুমোদন হয়েছে।

দেশটির ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির প্রস্তাব অনুযায়ী, সুদান থেকে সুইডিশ ও বিদেশি নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হবে এ বাহিনীকে।

নাগরিকদের সরিয়ে নিতে যোগ দিয়েছে বেলজিয়াম:

বেলজিয়ামের শীর্ষ কূটনীতিকরা বলেছেন, সুদান থেকে বেলজিয়ামের নাগরিক এবং অন্যান্য যোগ্য ব্যক্তিদের সরিয়ে নিতে ফ্রান্স ও নেদারল্যান্ডসের সাথে কাজ করছে বেলজিয়াম।

বেলজিয়ামের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাদজা লাহবিব এক টুইটবার্তায় বলেছেন, যত দ্রুত সম্ভব ইউরোপীয় নাগরিকদের সরিয়ে নিতে সুদানে একাধিক অভিযান চলছে।

একইভাবে সৌদি আরবও ঘোষণা করেছে তারা ভ্রাতৃপ্রতিম কিছু দেশের নাগরিকদের সুদান থেকে সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করছে। সর্বশেষ খবরে বলা হয়, সৌদি মিশনের কূটনীতিকরা ইতোমধ্যেই সড়কপথে পোর্ট সুদান গিয়ে সেখান থেকে নিজ দেশের উদ্দেশে বিমান উঠেছেন।

প্রসঙ্গত, সুদানের সামরিক নেতৃত্বের দুই অংশের মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ্বের কারণে গত সপ্তাহে সহিংসতা শুরু হয়। এক সপ্তাহ ধরে চলা সহিংসতায় এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৪০০ লোক নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি মানুষ।

সুদানে কীভাবে বেসামরিক শাসন ফিরিয়ে আনা হবে, মূলত তা নিয়ে দুই ক্ষমতাধর সামরিক অধিনায়কের দ্বন্দ্ব থেকে এই লড়াই চলছে। বর্তমান সামরিক সরকার চলে মূলত সেনাপ্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহানের নেতৃত্বে। তার সঙ্গে উপনেতা হিসেবে আছেন আরেকটি আধা-সামরিক বাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) প্রধান মোহাম্মদ হামদান হেমেডটি ডাগালো।

বেসামরিক শাসনে প্রত্যাবর্তনের পরিকল্পনা অনুযায়ী, এই দুটি বাহিনীকে একীভূত করার কথা। কিন্তু আরএসএফ তাদের বিলুপ্ত করার বিপক্ষে এবং এই পরিকল্পনা থামানোর জন্য তাদের বাহিনীকে রাস্তায় নামায়। এরপর এটি সেনাবাহিনী এবং আরএসএফের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ লড়াইয়ে রূপ নিয়েছে।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, দশ হাজার থেকে বিশ হাজার মানুষ সুদান ছেড়ে পালিয়েছে পাশের দেশ চাদে আশ্রয় নেওয়ার জন্য। এদের বেশিরভাগ নারী ও শিশু।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT