সোমবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩১শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সরকারি কর্মচারীদের ছাঁটাইয়ের তালিকা দিলেন ইলন মাস্ক

প্রকাশিত : ০৯:১৪ পূর্বাহ্ণ, ২৮ নভেম্বর ২০২৪ বৃহস্পতিবার ৮৬ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

ফেডারেল সরকারের জলবায়ু বিষয়ক চার নারী কর্মকর্তার পদ অপ্রয়োজনীয় উল্লেখ করে ছাঁটাইয়ের সুপারিশ করেছেন ইলন মাস্ক। সামাজিক মাধ্যম এক্সে দেয়া দুইটি পোস্ট শেয়ার করে এরকম আরও পদ বিলুপ্ত করা হবে বলে জানান তিনি। নির্বাচিত হওয়ার পর পরই ফেডারেল কর্মচারীদের রদবদলে হাত দিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। এ লক্ষ্যে নতুন একটি ডিপার্টমেন্টও চালু করেছেন তিনি। সেই রদবদলে সুপারিশ করতে পারবেন, ডিওজিই-এর কো-লিড ইলন মাস্ক ও ভিভেক রামাসোয়ামি। সরকারি ব্যয় কমানো এবং অপ্রয়োজনীয় পদ বিলুপ্ত করতে, কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।

সংখ্যা কমাতে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে কর্মচারীদের ওপর। প্রশাসনের হয়ে কাজ করা রিমোট এজেন্সিগুলো বন্ধ এবং পাঁচ দিনের কর্মসপ্তাহ চালুর পথে হাঁটছেন ডিওজিই প্রধানরা। এমন নানা সিদ্ধান্তে চাকরি নিয়ে দুশ্চিন্তায় অনেক সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী। ছাঁটাইয়ের সুপারিশ করা জলবায়ু বিষয়ক চার নারী কর্মকর্তার মধ্যে রয়েছেন, ক্লাইমেট ডাইভার্সিফিকেশনের ডিরেক্টর অ্যাশলি টমাস, চিফ ক্লাইমেট অফিসার অর্পিতা ভট্টাচার্য, সিনিয়র অ্যাডভাইযর অ্যানা মাসকারেনাস এবং ন্যান্সি পেলোসির ভাতিজি অ্যালেক্সিস পেলোসি।

একে একে নাম প্রকাশের পর শীর্ষ ধনকুবের ইলন মাস্কের ব্যক্তিগত রোষানলেও চাকরিচ্যুত হওয়ার শঙ্কায় রয়েছেন অনেকে। গত সপ্তাহে সামাজিক মাধ্যম এক্সে, সরকারের জলবায়ু সংক্রান্ত বিভাগের চার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার বেতনের খসড়াসহ নাম প্রকাশ করে দুইটি পোস্ট করা হয়। সেখানে বেতনের বিপরিতে তাদের পদ ও কাজ নিয়ে তোলা হয় প্রশ্ন।

সেই পোস্টগুলো ইলন মাস্ক আবারও রিপোস্ট করলে, নেতিবাচক মন্তব্যের ঝড় তোলেন রিপাবলিকান সমর্থকরা। এখন চাকরি হারানোর ভয়ের সঙ্গে মেগা সমর্থকদের উগ্রতায় জীবননাশের হুমকিতেও রয়েছেন অনেক কর্মকর্তারা। সরকারি চাকুরিজীবীদের সবচেয়ে বড় সংগঠন, অ্যামেরিকান ফেডারেশন অফ গভর্নমেন্ট এমপ্লি-এর ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট এভারেট কেলি বলেছেন, কর্মীদের মাঝে ভয়ভীতি তৈরি করতে এমন কৌশল সাজানো হয়েছে। এতে করে সরকারের অপকর্মের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস হারাবেন তারা।

ডেমোক্র্যাটিক বিশ্লেষক মারিয়া কার্ডোনা জানান, সরকারি কর্মকর্তাদের বদলি বা ছাঁটাইয়ে ডিওজিই-এর এই প্রক্রিয়াটি সঠিক নয়। ভয়ভীতি তৈরির পাশাপাশি একটি বিশৃংখল অবস্থার সৃষ্টি করবে এই সিদ্ধান্ত। তবে কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে আক্রমণ নয় বরং আমলাতন্ত্রকে গতিশীল করার স্বার্থে এমন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে, বলে জানিয়েছেন, ভিভেক রামাসোয়ামি।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT