সোমবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩১শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম
◈ ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতিতে ধ্বংস হচ্ছে শিক্ষাব্যবস্থা: বদিউল আলম ◈ সার্কিট ব্রেকারের শীর্ষে চার কোম্পানির শেয়ার ◈ নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী ৬ মাসের মধ্যে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন ◈ গাজায় ইসরায়েলের জাতিগত নিধন অভিযানে যুক্তরাষ্ট্র জড়িত ◈ ইসরাইলের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে কাতারের প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান ◈ স্ত্রী-সন্তানকে হত্যার পর যুবকের আত্মহত্যা: পুলিশ ◈ ভারি বৃষ্টিপাতে প্লাবিত হতে পারে ৯ জেলার নিম্নাঞ্চল ◈ টাইফয়েডের টিকা পাবে ৪ কোটি ৯০ লাখ শিশু, দিবে যেদিন থেকে ◈ মেগাসিরিয়াল ‘খুশবু’র আইটেম গানে মাহি ◈ মৃত্যুর পাঁচ বছর পর এন্ড্রু কিশোরকে কর পরিশোধের নোটিশ

রাশিয়ার গভীরে হামলায় সম্মতি দিতে যুক্তরাষ্ট্রকে চাপ কিয়েভের

প্রকাশিত : ০৮:০৭ পূর্বাহ্ণ, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ সোমবার ৮৯ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

ইউক্রেনে রুশ হামলা ঠেকাতে অনুরূপ পাল্টা হামলার বিকল্প নেই বলে প্রচার চালাচ্ছে ইউক্রেন। এজন্য দেশটি রাশিয়ার আরও অভ্যন্তরে সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাতে চায়। সামরিক বিমানবন্দর, ঘাঁটি ও অস্ত্রাগার ধ্বংসের মাধ্যমে মস্কোকে ঠেকানো সম্ভব বলে মনে করছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এজন্য যুক্তরাষ্ট্রের সম্মতি আদায়ে চাপ দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। শনিবার ওয়াশিংটনে মার্কিন কর্মকর্তা ও ইউক্রেনের প্রতিনিধির আলোচনায় বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়। খবর রয়টার্সের।

২০২২ সাল থেকে ইউক্রেনকে ৫ হাজার কোটি ডলারেরও বেশি সামরিক সহায়তা দিয়েছে ওয়াশিংটন। তবে এসব সামরিক সরঞ্জাম কেবল ইউক্রেনের মাটি ও সীমান্ত অঞ্চলে আত্মরক্ষার্থে ব্যবহারের শর্ত জুড়ে দিয়েছে হোয়াইট হাউস। এজন্য জেলেনস্কি চাইলেও রাশিয়ার অভ্যন্তরের ঘাঁটি বা অস্ত্রাগারে হামলা চালাতে পারছে না।

জেলেনস্কি বলেছেন, খারকিভে শুক্রবার রুশ বিমান হামলায় ছয়জন নিহত ও ৯৭ জন আহত হয়েছেন। শনিবারও ব্যাপক হামলা চালিয়েছে মস্কো। তাঁর মতে, কেবল রুশ ভূখণ্ডে তাদের সামরিক ঘাঁটি ও অস্ত্রাগার ধ্বংসের মাধ্যমেই এসব হামলা প্রতিহত করা সম্ভব। মিত্রদের সঙ্গে এই বিষয়গুলো নিয়ে প্রতিদিনই কথা হচ্ছে। আমরা আলোচনার মাধ্যমে তাদের সম্মতি আদায়ের চেষ্টা করছি।

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানির প্রতি জেলেনস্কির আবেদন, ‘দেশ ও জনগণকে রক্ষায় আমাদের পূর্ণ সক্ষমতা প্রয়োজন। আপনাদের দূরপাল্লার অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র এবং তা ব্যবহারের অনুমতি, দুটিই আমাদের প্রয়োজন।’

ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সম্পর্কে নির্দিষ্ট কিছু জানাননি জেলেনস্কি। তবে তাঁর প্রতিনিধি ইউক্রেনের মিত্রদের কাছে প্রয়োজনীয় সব দাবি তুলে ধরেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন।

ওয়াশিংটনে মার্কিন কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে শুক্র ও শনিবার বৈঠকে প্রতিনিধি দলের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুস্তেম উমেরভ। সিএনএনকে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনে হামলা চালাতে ব্যবহৃত রুশ বিমানঘাঁটিগুলো দেখানো হয়েছে। তাদের ত্রাস থেকে আমাদের জনগণকে নিরাপদ রাখতে কেমন সক্ষমতা প্রয়োজন, তা ব্যাখ্যা করেছি। আশা করি, আমরা তাদের বোঝাতে সক্ষম হয়েছি।’

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের আসন্ন বৈঠকে অংশগ্রহণ করবেন জেলেনস্কি। এ সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গেও তাঁর বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, সফরে ব্যক্তিগতভাবেও রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলা চালাতে সম্মতি আদায়ের আবেদন করবেন তিনি।

কিয়েভের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেওয়া অর্থমন্ত্রী ইউলিয়া সোভ্রিডেনকো এক্সে একটি পোস্টে জানান, ইউক্রেনের জ্বালানি ব্যবস্থা পুনরুদ্ধারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে গত জুনে ঘোষণা করা জ্বালানি খাতের জন্য ৮০ কোটি ডলার অর্থায়ন প্যাকেজ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। রুশ বিমান হামলায় ইউক্রেনের অর্ধেকেরও বেশি বিদ্যুৎ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

এদিকে রাশিয়ার তেল শোধনাগার ও বিদ্যুৎকেন্দ্রে সিরিজ ড্রোন হামলা হয়েছে। দেশটির কর্মকর্তাদের মতে, ইউক্রেন মস্কো অঞ্চল ও পাশের টিভারে বিদ্যুৎ ও তেল শোধনাগার কেন্দ্রগুলোকে লক্ষ্য করে একাধিক ড্রোন হামলা চালিয়েছে।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রায় ১৫৮টি ইউক্রেনীয় ড্রোন রুশ বিমান প্রতিরক্ষা বাধা ও ধ্বংস করেছে। এর মধ্যে মস্কো শহরে দুটি এবং আশপাশের বৃহত্তর অঞ্চলজুড়ে ৯টি হামলা শনাক্ত করা হয়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবর অনুসারে, ড্রোন হামলায় মস্কোর তেল শোধনাগার ও টিভার অঞ্চলের কোনাকোভো বিদ্যুৎকেন্দ্রে আগুন ধরে যায়।

রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কুরস্কের সীমান্ত অঞ্চলজুড়ে ৪৬, ব্রায়ানস্কে ৩৪, ভোরোনেজে ২৮ ও বেলগোরোদ অঞ্চলগুলোয় ১৪টি ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে। এ ছাড়া কালুগা, লিপেটস্ক, রিয়াজান ও অন্যান্য অঞ্চলে আরও বেশ কয়েকটি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করা হয়।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT