শনিবার ০১ নভেম্বর ২০২৫, ১৬ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মালয়েশিয়ায় ই-কমার্স প্রতারণা: বাংলাদেশিসহ চক্রের ৭৯০ জন আটক

প্রকাশিত : ০৬:৪২ পূর্বাহ্ণ, ১ নভেম্বর ২০২৫ শনিবার ১৩ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত ই-কমার্স প্রতারণায় মালয়েশিয়ায় প্রায় ৫৪.১ মিলিয়ন রিঙ্গিত ক্ষতি রেকর্ড করা হয়েছে। অনলাইন প্রতারণার এই ক্রমবর্ধমান প্রবণতা এখন দেশজুড়ে উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে।

বুকিত আমান বাণিজ্যিক অপরাধ তদন্ত বিভাগ (জেএসজেকে)-এর পরিচালক দাতুক রুসদি মোহাম্মদ ইসা এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, এই অপরাধ দমন করতে জেএসজেকে-এর গোয়েন্দা ও অভিযান শাখা ২ থেকে ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ‘অপ মেরপাতি খাস বিল. ১/২০২৫’ নামের একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।

অভিযানের মূল লক্ষ্য ছিল ই-কমার্সভিত্তিক অনলাইন প্রতারণা রোধ করা। এতে প্রতারণার সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন সিন্ডিকেট সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়, যাদের ভূমিকার মধ্যে ছিল— প্রতারণার অর্থ গ্রহণে ব্যবহৃত ব্যাংক অ্যাকাউন্ট পরিচালনা, এ টি এম কার্ড সরবরাহ, টাকা উত্তোলনসহ নানা বেআইনি কার্যক্রম।

বুকিত আমান জেএসজেকে সদরদপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দাতুক রুসদি জানান, এসব মামলা দণ্ডবিধির ৪২০ ধারায় (প্রতারণা) তদন্তাধীন।

তিনি বলেন,অভিযানের মাধ্যমে জেএসজেকে মোট ৭৯০ জন ‘অ্যাকাউন্ট খচ্চর’ মালিককে আটক করেছে, যারা তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট প্রতারণামূলক লেনদেনে ব্যবহার করতে দিয়েছিল। এছাড়া আরও ৩০ জনকে আটক করা হয়েছে, যারা ই-কমার্স প্রতারণা পরিচালনাকারী কল সেন্টার পরিচালনায় সরাসরি জড়িত।

এই অভিযানে মোট ৮২০ জনকে আটক করা হয়েছে, যার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ৬৬০টি তদন্ত মামলা খোলা হয়েছে। এই সিন্ডিকেটের কার্যক্রমে ১১.৬ মিলিয়ন রিঙ্গিত ক্ষতির তথ্যও রেকর্ড করা হয়েছে।

রুসদি আরও জানান, অভিযানে গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ৪৭৫ জন পুরুষ এবং ৩১৫ জন নারী। জাতিগতভাবে দেখা গেছে, মালয় সম্প্রদায়ের আটক সংখ্যা সর্বাধিক (৪৮২ জন), এরপর অন্যান্য জাতিগোষ্ঠী (১৮১ জন), চীনা (৬৪ জন), ভারতীয় (৫৯ জন) এবং বিদেশি নাগরিক ৪ জন, যাদের মধ্যে ইন্দোনেশিয়া ও বাংলাদেশ থেকে আসা ব্যক্তি রয়েছেন।

তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত সারা মালয়েশিয়ায় ৪,২৪২টি প্রতারণা মামলা দায়ের হয়েছে, যা দণ্ডবিধির ৪২০ ধারায় তদন্তাধীন।

ই-কমার্সভিত্তিক অনলাইন প্রতারণা মালয়েশিয়ায় দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো এখন এই অপরাধ চক্র দমনে কঠোর অভিযান চালাচ্ছে এবং জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT