শুক্রবার ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ১লা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মারিয়া কোরিনা কি নিজ ভুবনে শান্তিতে আছেন?

প্রকাশিত : ০৬:২৩ অপরাহ্ণ, ১১ অক্টোবর ২০২৫ শনিবার ৬ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

ভেনেজুয়েলার গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষায় অবদানের জন্য শান্তিতে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেছেন বিরোধী নেতা মারিয়া কোরিনা মাচাদো। নরওয়ের নোবেল কমিটির মতে, তিনি দেশের বিরোধী দলগুলোর মধ্যে ঐক্য সৃষ্টি করেছেন এবং সামরিকীকরণের বিরুদ্ধে সবসময় সোচ্চার ছিলেন। গুরুতর হুমকি ও বিরোধে তিনি এখনো আচ্ছন্ন আছেন। শুধু তাই নয়, মাচাদো ভেনেজুয়েলায় নিজের দেশেই আত্মগোপনে রয়েছেন, যা লাখ লাখ মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছে।

উচ্চবিত্ত পরিবারে জন্ম নেওয়া মাচাদো ১৯৬৭ সালে কারাকাসে জন্মগ্রহণ করেন। ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রকৌশলে স্নাতক এবং অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন তিনি। ১৯৯২ সালে তিনি ‘অ্যাথেনিয়া ফাউন্ডেশন’ প্রতিষ্ঠা করেন, যা পথশিশুদের কল্যাণে কাজ করে।

রাজনীতিতে প্রবেশের আগে ‘সুমাতে’ ভোট পর্যবেক্ষণ সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১০ সালে জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন এবং ২০১২ সালে ‘ভেন্তে ভেনেজুয়েলা’ রাজনৈতিক দল গড়ে তোলেন। মাদুরো সরকারের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালে বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেওয়ার পর রাজনৈতিক নিপীড়নের শিকার হন। উদার অর্থনৈতিক সংস্কার, সরকারি প্রতিষ্ঠান বেসরকারীকরণ এবং দরিদ্রদের কল্যাণমূলক কর্মসূচিতে তিনি সক্রিয় ছিলেন।

২০২৩ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রাথমিক বাছাইয়ে মনোনীত হলেও নির্বাচনে অংশগ্রহণের অনুমতি পাননি। সহকর্মী অ্যাডমান্ডো গঞ্জালেসকে সমর্থন দিয়ে দেশের স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে অবদান রেখেছেন। কঠোর দমন, গ্রেপ্তার এবং হুমকির মাঝেও দেশে আত্মগোপনে থেকে তিনি গণতান্ত্রিক আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।

মাচাদো তিন সন্তানের জননী। জীবন ও নিরাপত্তার হুমকির কারণে তার সন্তানরা বিদেশে বসবাস করছেন। মানবাধিকার রক্ষায় তার অবদানের জন্য তিনি ‘ভাচলাভ হাভেল হিউম্যান রাইটস প্রাইজ’ ও ‘সাখারভ প্রাইজ’সহ বহু আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন।

মাচাদোর জীবন ও সংগ্রাম প্রমাণ করে যে, গণতন্ত্রের জন্য ধৈর্য, সাহস ও আত্মত্যাগই সবচেয়ে বড় শক্তি। আর সেটিই তার জীবনে শান্তি এনে দিয়েছে।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT