বৃহস্পতিবার ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ৩১শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মাচাদো নোবেল পুরস্কার পাওয়ায় নরওয়েতে দূতাবাস বন্ধ করলো ভেনেজুয়েলা

প্রকাশিত : ০৭:০৫ পূর্বাহ্ণ, ১৬ অক্টোবর ২০২৫ বৃহস্পতিবার ৯ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

বিরোধীদলীয় নেতা মারিয়া কোরিনা মাচাদোকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়ার পর অসলোতে তাদের দূতাবাস বন্ধ করে দিয়েছে ভেনেজুয়েলা সরকার।

সোমবার কারাকাস থেকে এএফপি এ খবর জানিয়েছে। অসলোতে মাচাদোকে নোবেল শান্তি পুরষ্কার দেওয়ার তিন দিন পর ভেনেজুয়েলার এই পদক্ষেপ।

ভেনেজুয়েলার সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই বন্ধ তাদের বৈদেশিক পরিষেবার পুনর্গঠনের অংশ। তারা অবশ্য মাচাদোর পুরষ্কার সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেনি।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কারাকাস অস্ট্রেলিয়ায় তাদের দূতাবাসও বন্ধ করে দিয়েছে। জিম্বাবুয়ে এবং বুর্কিনা ফাসোতে কূটনৈতিক ফাঁড়ি খুলেছে। যে দেশগুলোকে তারা ‘আধিপত্যবাদী চাপের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কৌশলগত অংশীদার’ বলে মনে করে সেসব দেশে তারা তাদের দূতাবাস চালু রাখবে বলে জানিয়েছে।

নরওয়ের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সোমবার জানিয়েছে, ভেনেজুয়েলা কোনো কারণ না দেখিয়ে অসলোতে তাদের দূতাবাস বন্ধ করে দিয়েছে।

মুখপাত্র সিসিলি রোয়াং এএফপি’কে একটি ইমেলে জানিয়েছেন, ‘এটি দুঃখজনক। বেশ কয়েকটি বিষয়ে আমাদের মতপার্থক্য থাকা সত্ত্বেও নরওয়ে ভেনেজুয়েলার সাথে সংলাপ খোলা রাখতে চায় এবং এই দিকে কাজ চালিয়ে যাবে’।

সোমবার সন্ধ্যার মধ্যে ভেনেজুয়েলা দূতাবাসের ফোন পরিষেবা বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে।

২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মাচাদোকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বাধা দেওয়া হয়েছিল। সেখানে বিরোধীদের বিক্ষোভ সত্ত্বেও বর্তমান প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছিল।

রোববার মাদুরো মাচাদোর নোবেলের কথা উল্লেখ না করেই ৫৮ বছর বয়সী এই বিজয়ীকে ভেনেজুয়েলার সরকার ‘দানবীয় ডাইনি’ হিসেবে উল্লেখ করেন। ভেনেজুয়েলার সরকার তাকে প্রায়ই এই নামে ডাকে।

অসলোতে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটির চেয়ারম্যান জর্গেন ওয়াটনে ফ্রাইডনেস বলেছেন, ‘ভেনেজুয়েলার জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকারের প্রচারে তার অক্লান্ত পরিশ্রম এবং একনায়কতন্ত্র থেকে গণতন্ত্রে ন্যায়সঙ্গত ও শান্তিপূর্ণ রূপান্তর অর্জনের জন্য তার সংগ্রামের জন্য’ মাচাদোকে সম্মানিত করা হয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রোয়াং জোর দিয়ে বলেছেন, ‘নোবেল পুরস্কার নরওয়ে সরকারের ওপর নির্ভরশীল নয়’।

মাচাদো তার নোবেল ‘ভেনেজুয়েলার দুর্দশাগ্রস্ত জনগণ’ এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি উৎসর্গ করেছেন’।

মুখপাত্র বলেছেন, ‘আমাদের লক্ষ্যের প্রতি তার দৃঢ় সমর্থন’ রয়েছে।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT