শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ভারতের অভিযোগ কাল্পনিক: টিকটক সিইও

প্রকাশিত : ১০:০৬ পূর্বাহ্ণ, ২৪ মার্চ ২০২৩ শুক্রবার ৫০ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

ভারত যে অভিযোগ তুলে টিকটক নিষিদ্ধ করেছে তা কাল্পনিক বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাপটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শাও জি চিউ। তিনি বলেন, ভারতের তথ্যপাচারের অভিযোগ অনুমানমূলক। আমি কোনো প্রমাণ দেখিনি। বৃহস্পতিবার মার্কিন কংগ্রেসে আইনপ্রণেতাদের জেরার মুখে এ কথা বলেন চিউ। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।

যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবহারকারীদের তথ্য সংগ্রহ করে টিকটক জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি তৈরি করছে- এটি ‍যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের অভিযোগ। এছাড়া এ অ্যাপের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের তথ্য চীন সরকারের কাছে চলে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা দেশটির। এসব কারণে যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক নিষিদ্ধ করতে আগ্রহী অনেক মার্কিন আইনপ্রণেতা। এর পরিপ্রেক্ষিতে টিকটকের কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানাতে মার্কিন হাউস এনার্জি অ্যান্ড কমার্স কমিটির সামনে উপস্থিত হন চিউ।

এসময় যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেন চিউ। তিনি আরও বলেন, চীন সরকারের অনুরোধে টিকটকের কোনো আধেয় মুছে ফেলা বা প্রচারণা চালানো হয় না।

জিজ্ঞাসাবাদের সময় ভারত ও অন্যান্য দেশের উদ্ধৃতি দিয়েছেন মার্কিন আইনপ্রণেতা ডেবি লেসকো। যারা সম্প্রতি কোনো না কোনোভাবে টিকটক নিষিদ্ধ করেছে।

ডেবি লেসকো বলেন, এটি (টিকটক) এমন একটি অ্যাপ যা শেষ পর্যন্ত চীন সরকারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তা উদ্বেগ নিয়ে এসব দেশ ও আমাদের এফবিআই কীভাবে ভুল হতে পারে?

জবাবে টিকটক সিইও বলেন, আমি মনে করি, উল্লিখিত অনেকগুলো অভিযোগ কাল্পনিক ও তাত্ত্বিক ঝুঁকি। আমি কোনো প্রমাণ দেখিনি।

এদিকে, গত ২১ মার্চ ফোর্বসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়- টিকটকের এক কর্মী বলেছেন, চীনের কাছে ভারতের কতজনের তথ্য রয়েছে, এ বিষয়ে দেশটির ধারণা নেই। সংস্থার যে কোনো কর্মী, যাদের কাছে ন্যূনতম ‘অ্যাক্সেস’ রয়েছে তারাই ওই তথ্য হাতিয়ে নিতে পারবেন। সেই তালিকায় তারকা থেকে সাধারণ মানুষ,সবাই রয়েছেন।

তবে এ অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করেছে টিকটক। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, তাদের কাছে কোনো ভারতীয় ব্যবহারকারীর তথ্য নেই।

২০২০ সালের জুনে লাদাখ সীমান্তে চীন ও ভারতের সেনাবাহিনীর মধ্যে এক সংঘর্ষে ভারতের ২০ সেনা নিহত হন। এরপরই ভারতে চীনের পণ্য ও বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ নিষিদ্ধ করতে বিভিন্ন দল ও সংগঠন আন্দোলন করে। পরে ৫৯টি চীনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করে ভারত সরকার। অ্যাপগুলোর বিরুদ্ধে তথ্যপাচারের অভিযোগ আনা হয়। এরপর আরও কয়েক দফায় শতাধিক চীনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করে ভারত। এসব অ্যাপের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ছিল টিকটক। তবে সংস্থাগুলোকে গোপনীয়তা এবং সুরক্ষার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। পরে নিষেধাজ্ঞাটি ২০২১ সালের জানুয়ারিতে স্থায়ী করা হয়।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।



এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT