শুক্রবার ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ১লা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফ্লোটিলার শেষ জাহাজটিও আটকে দিলো ইসরায়েলি সেনারা

প্রকাশিত : ০৮:৫৬ পূর্বাহ্ণ, ৪ অক্টোবর ২০২৫ শনিবার ১৯ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

গাজাগামী ত্রাণবাহী নৌবহরের শেষ বহরটিকে আটক করেছে ইসরায়েল। ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’র শেষ জাহাজ ‘ম্যারিনেট’ আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।

শুক্রবার (০৩ অক্টোবর) জেরুজালেম থেকে এএফপি এ খবর জানিয়েছে।

টেলিগ্রামে নৌবহরটি জানিয়েছে, ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার শেষ নৌবহর ম্যারিনেটকে স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ২৯ মিনিটে (০৭২৯ জিএমটি) গাজা থেকে প্রায় ৪২.৫ নটিক্যাল মাইল দূরে ইসরাইলি নৌবাহিনী আটক করেছে।’

নৌবহর সূত্র আরও জানিয়েছে, ইসরাইলি নৌবাহিনী ‘আমাদের ৪২টি নৌবহরের সবকটিকেই অবৈধভাবে আটক করেছে। প্রতিটি নৌবহর মানবিক সহায়তা, স্বেচ্ছাসেবক এবং গাজায় ইসরাইলের অবৈধ অবরোধ ভাঙার দৃঢ় সংকল্প নিয়ে যাত্রা করেছে।’

জানা গেছে, ম্যারিনেটে ৬ জন ক্রু ছিলেন। এটিই ফ্লোটিলার ৪৪টি জাহাজের বিশাল বহরের শেষ সক্রিয় নৌযান, যা গাজার অবরুদ্ধ জনগণের জন্য ত্রাণ নিয়ে যাচ্ছিল। ম্যারেনেট আটকের মধ্য দিয়ে ইসরায়েলি নৌবাহিনীর হাতে ফ্লোটিলার কার্যত সমাপ্তি ঘটল।

এর আগে ফ্লোটিলার লাইভ ট্র্যাকার অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (০২ অক্টোবর) মধ্যরাত পর্যন্ত ম্যারিনেট আন্তর্জাতিক জলসীমায় প্রায় ২.১৬ নট (প্রায় ঘণ্টায় ৪ কিমি) গতিতে গাজা উপকূল থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে অগ্রসর হচ্ছিল।

নৌবহরগুলোকে বাধা দেয়ার কারণে বিশ্বব্যাপী প্রতিবাদ-বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।

এদিকে ইসরাইলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দাবি, নৌবহরের যাত্রীরা সক্রিয় যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশ করছেন এবং বৈধ অবরোধ লঙ্ঘন করছেন। আটকদের ইউরোপে পাঠানো হবে বলেও জানানো হয়।

তেল আবিবের এমন পদক্ষেপে তুরস্ক, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ও কুয়েতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ নিন্দা জানিয়েছে। তবে ইতালি প্রশাসন বলছে, এই জাহাজভরা ত্রাণে কোনো প্রভাব পড়বে না উপত্যকাবাসীর।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT