মঙ্গলবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১লা আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম
◈ চাকসু নির্বাচন: দ্বিতীয় দিনে ১৪১ জনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ◈ নারায়ণগঞ্জে ফ্ল্যাটে স্বামী-স্ত্রী ও চার বছরের শিশুর লাশ ◈ ‘সরকারি বেতন-রেশন খাস না, গুলি করবি না কেন?’ ◈ প্রশাসনের ১৭ কর্মকর্তাকে বিভিন্ন দূতাবাসে বদলি, তালিকা প্রকাশ ◈ একদিনে ৩৫ কোটি ৩০ লাখ ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ◈ টানা ৫ দিন বৃষ্টির আভাস ◈ সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরের ফ্ল্যাট-জমি জব্দ, ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ ◈ শুধু নিন্দা জানিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকানো সম্ভব নয়: মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ◈ নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রীরও পদত্যাগ চায় জেন-জি ◈ গেমিং অ্যাপ ব্যবহার করে যেভাবে প্রধানমন্ত্রী বেছে নিল নেপালের জেন-জিরা

প্রতিদিন ২ হাজার বাস্তুহারা মানুষের রান্না করে জামিল পরিবার

প্রকাশিত : ১০:১৯ পূর্বাহ্ণ, ২৪ অক্টোবর ২০২৩ মঙ্গলবার ১২২ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

গাজার সংকটে প্রতিদিন দুই হাজার বাস্তুহারা মানুষের রান্না করেন জামিল আবু আসি (৩১)। থাকেন দক্ষিণ গাজার খান ইউনুস শহরের পূর্বের শহর বানি সুহাইলাতে।

তার চাচাতো ভাইয়েরাও আছেন তার সাথে। ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইলের বোমা হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে আবু আসি পরিবার বাস্তুচ্যুত হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে নিয়মিত খাওয়াচ্ছেন।

অনেক আগেও রান্না করতেন জামিল। ২০১৪ সালে গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বিমান হামলায় তার রান্নাঘর ধ্বংস হয়ে যায়। পরবর্তীতে তার পরিবার এ কাজ ধরে রাখলেও তিনি এ কাজ ছেড়ে দিয়েছিলেন। তিনি ও তার পরিবার এখন আবারও রান্না করছেন।

তবে অর্থ উপার্জনের জন্য নয়, অসহায় ক্ষুধার্ত মানুষদের খাওয়ানের জন্য। বিশেষভাবে যারা গাজায় ইসরাইলি আক্রমণ ও অবরোধের কারণে বাস্তুচ্যুত হয়েছে তাদের সাহায্য করার লক্ষ্যে। জামিল ও তার চাচাতো ভাইয়েরা নিজেদের কাজ ভাগ করে নিয়েছেন। একজন পেঁয়াজ কাটেন। আরেকজন রান্নার দায়িত্ব পালন করেন। তৃতীয়জন খাবারের প্যাকেজিংয়ের দায়িত্ব নিয়েছেন।

বেশির ভাগ সময় চাল, মসুর ডাল ও সবুজ সবজি দিয়ে খিচুড়ি রান্না করা হয়। আগে মাংস পাওয়া গেলেও ইসরাইলি আগ্রাসনের পর থেকে তা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

জামিল বলেন, ‘আমরা ক্ষুধার্ত মানুষদের খাবার খুঁজে না পাওয়ার যন্ত্রণাকে মেনে নিতে পারি না। এজন্য এ উদ্যোগটি নিয়েছি। সকাল ৭টায় খাবারের প্রস্তুতি শুরু করা হয়। রান্না চলে দুপুর ২টা পর্যন্ত। যাদের খাবার দরকার তাদের আমরা

দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৫টার মধ্যে আসতে বলেছি।’ এক বেলার খাবারের জন্য কিছু পরিবার বেশ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

ভিটেহারা পাঁচ সন্তানের মা কারামা মুসাল্লাম বলেন, ‘আমি আবু আসির পরিবারের কাছে খাবার নিতে গিয়েছিলাম। তারা আমাকে দুটি খাবার দিয়েছে যাতে এটি আমার বাচ্চাদের জন্য যথেষ্ট হয়। তারা আমাকে বলেছিল যে, আমি প্রতিদিন আসতে পারি। আমি অনেক খুশি হই।’

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT